নামাযে পঠিত বিষয়গুলোর অর্থ ও শিক্ষা—৬(সাজদাহ)

                           দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে

 

ছোট থেকে আমরা একটি তাসবীহ শিখেই বড় হয়েছি আর তাই সালাতে কোনরকমভাবে সেই তাসবিহগুলোই রুকু ও সেজদাহতে পড়ে থাকি। জীবনের এই সালাতই আমাদের জন্য আখেরাতের পাথেয় ও সৌন্দর্য। দুনিয়ার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আমরা কোন একটি জিনিষকে আমরা ষ্টান্ডার্ড ও সুন্দর এবং অন্যদের তুলনায় ব্যতিক্রমী করার জন্য কত প্রচেষ্টা চালাই। মহান রবের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে আমরা কি রাসূল স.এর দেখানো পদ্ধতিগুলোকে রপ্ত করে সালাতকে আরো স্থির দীর্ঘ ও সুন্দর করতে পারি না!

তাই যে তাসবিহ আমরা পারি তার পাশা পাশি পরিকল্পিতভাবে একটি একটি করে শিখে নিয়ে নিজের সালাতকে উন্নীত করি।

سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى».

(সুবহা-না রব্বিয়াল আলা)

আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে। (তিনবার) আবূ দাউদঃ৮৭০; তিরমিযী২৬২;

 «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي».

(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফির লী)।

 হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন। বুখারী, নং ৭৯৪; মুসলিম, নং ৪৮৪

 «سُبوحٌ، قُدُّوسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ».

 (সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররূহ)।

 (তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর রব্ব। মুসলিম ১/৩৫৩, নং ৪৮৭; আবূ দাউদ, নং ৮৭২।

اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسنُ الْخَالِقينَ».

(আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়া সাওয়্যারাহু ওয়া শাক্কা সামআহু ওয়া বাসারাহু, তাবারাকাল্লাহু আহ্‌সানুল খালিক্বীন)।

 হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই সিজদা করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি, আপনার কাছেই নিজেকে সঁপে দিয়েছি। আমার মুখমণ্ডল সিজদায় অবনত সেই মহান সত্তার জন্য; যিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং আকৃতি দিয়েছেন, আর তার কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্‌ অত্যন্ত বরকতময়।মুসলিম ১/৫৩৪,

 «سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ».

 (সুবহা-নাযিল জাবারূতি, ওয়াল মালাকুতি, ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল আযামাতি)

 পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী।আবু দাঊদ ১/২৩০, নং ৮৭৩

 «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ: دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَعَلاَنِيَّتَهُ وَسِرَّهُ».

 (আল্লা-হুম্মাগফির লী যাম্বী কুল্লাহু; দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউয়ালাহু ওয়া আখিরাহু, ওয়া আলানিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু)

 হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন তার ক্ষুদ্র অংশ, তার বড় অংশ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ। মুসলিম ১/২৩০, নং ৪৮৩।