ক্বদর রাতে করনীয় আমলঃ২০২৪

দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে।

Power point Presentation

লাইলাতুল ক্বদর-২০২১ ২০২৪

 

* প্রস্তুতি হিসেবে দিনে ভারী কাজ না করা,

* দিনে বিশ্রাম ও ঘুম স্বল্প সময় নেয়া

* প্রতিদিন সাদাকা ও ইফতার খাওয়ানোর সুযোগ করে রাখা

* কথা কম বলা, প্রয়োজনীয় কথা সুন্দর ভাবে বলা।

* মোবাইল সোসাল মিডিয়া থেকে সময় বাঁচিয়ে সাদাকা জারিয়ার কাজ করা

* মাগরিব থেকেই ক্বদর রাত শুরু-আমল শুরু করা

* মহান আল্লাহর কাছেই চাওয়া যেনো ক্বদর রাতের ফায়দা লাভ করা যায়।

আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় যদি কোন ব্যক্তি ইমামের সাথে ইমাম নামায শেষ করা পর্যন্ত নামায পড়ে তাহলে তার জন্য গোটা রাত কিয়ামুল লাইল আদায় করার সওয়াব হিসাব করা হবে।”[সুনানে আবু দাউদ (১৩৭২), সুনানে তিরমিযি (৮০৬); তিরমিযি বলেন: এটি একটি হাসান সহীহ হাদিস]

পক্ষান্তরে, কেউ যদি একাকী কিয়ামুল লাইল আদায় করে তার ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে আদায় করতেন সেভাবে মনোযোগের সাথে ১১ রাকাত আদায় করা; যাতে করে সে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় নামায পড়া বাস্তাবায়ন করতে পারেন।

আবু সালামা বিন আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত তিনি আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করেন: রমযান মাসে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায পড়া কেমন ছিল? তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযান মাসে ও রমযান ছাড়া ১১ রাকাতের বেশি নামায আদায় করতেন না। তিনি চার রাকাত নামায আদায় করতেন; এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না। এরপর তিনি আরও চার রাকাত নামায পড়তেন এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না। এরপর তিনি তিন রাকাত নামায পড়তেন।”[সহিহ বুখারী (১১৪৭) ও সহিহ মুসলিম (৭৩৮)]

যদি কেউ এর চেয়ে বাড়ায় তাতেও কোন অসুবিধা নাই। আরও জানতে দেখুন: 9036 নং প্রশ্নোত্তর।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

দু’আ করার ক্ষেত্রে কিছু আদবের প্রতি লক্ষ্য রাখাঃ

* আল্লাহর প্রশংসা (হামদ ও সানা) দিয়ে অতঃপর নবী (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করে দুআ শুরু করা এবং অনুরূপ শেষ করা।

* নিজের অপরাধ ও আল্লাহর অনুগ্রহকে স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন-পূর্বক দুআ করা।

* দুআ করার সময় মনকে সজাগ রাখতে হবে, তার দুআ কবুল হবে –এই একীন রাখতে হবে এবং কি চাইছে তাও জানতে হবে।

* খুব গুরুত্বপূর্ণ দুআ হলে ফিরিয়ে ফিরিয়ে ৩ বার করে বলা

* দুআর পূর্বে ওযু করা মুস্তাহাব।

* কেবলা-মুখ হয়ে দুআ করা। এ আদবটিও সকল দুআর ক্ষেত্রে জরুরী নয়।

* মুখ বরাবর দুই হাত তুলে দুআ করা। এ আদবটিও সেখানে ব্যবহৃত, যেখানে আল্লাহর রসুলের নির্দেশ আছে। অথবা যেখানে কোন নির্দেশ নেই সেখানে সাধারণ প্রার্থনার ক্ষেত্রে এ আদবের খেয়াল রাখা উচিত।

* অশ্রু বিসর্জনের সাথে দুআ করা।

* কাকুতি-মিনতি, বিনয়, আশা, আগ্রহ, মুখাপেক্ষিতা ও ভীতির সাথে দুআ করা।

* উচ্চ ও নিঃশব্দের মধ্যবর্তী চাপা স্বরে সংগোপনে প্রার্থনা করা।

* অপরের জন্য দুআ করলে নিজের জন্য প্রথমে দুআ শুরু করা।

* দুআয় সীমালংঘন ও অতিরঞ্জন না করা

* আল্লাহর সুন্দরতম নাম এবং মহত্তম গুণাবলীর অসীলায় অথবা কোন নেক আমলের অসীলায় দুআ করা

* আল্লাহ তাআলার ইসমে আযম দিয়ে দুআ শুরু করলে তিনি তা কবুল করেন।

যা কোনভাবেই যেনো বাদ না পড়ে—  দরুদে ইবরাহীম, সূরা ফাতিহা,সাইয়্যদুল ইস্তেগফার,দু’আর সমষ্টি,ক্বদরের রাতের বিশেষ দু’আটি, দু’আর বইতে উল্লেখিত সকল কুর’আনের দু’আ ও হাদীসের দু’আ সমূহ বুঝে চাওয়া।

নিজের জন্য চাওয়া

পরিবারের জন্য চাওয়া

আত্মীয়দের জন্য চাওয়া

অন্য মুমিন মুমিনাদের জন্য চাওয়া

 

ক্বদর রাতের সময়ের বিন্যাস(যার যার সামর্থ্যের চরম প্রচেষ্টা লাগিয়ে যতটুকু সম্ভব আন্তরিকতা ও ইখলাসের সাথে করনীয়)

সন্ধ্যা ৫–৭.০০ ইস্তিগফার ও দু’আ, ইফতার, মাগরিব সালাত
৭.০০-৭.৩০ দরুদ, তাহমিদ, তাহলিল, তাকবীর, মসজিদে গমন(৭.৩০)
৮.০০-৯.৩০টা ইশা ও তারাবীহ সালাত(মসজিদে গেলে ইতিকাফের নিয়্যতে প্রবেশ)
 ৯.৩০-১০.০০টা হালকা নাস্তা,চা/কফি/সরবত (কোন অপ্রয়োজনীয় গল্প নয়)  বিশ্রাম
১০.০০-১১.০০টা কুর’আন তেলাওয়াত(নির্দিষ্ট করা)
১১.০০-১২.০০টা ঘুম যদি প্রয়োজন হয়/ নফল সালাত
১২.০০-১.০০টা দরুদ/ইস্তেগফার/কুর’আন তেলাওয়াত
১.০০-২.০০টা তাওবা,ইস্তিগফার,দরুদ,দু’আ
২.০০-৩.০০টা নফল সালাত
৩.০০-৪.০০টা তাওবা,ইস্তিগফার,দরুদ,দু’আ
৪.০০- ৪.৩০ সাহরী খাওয়া
৪.৪০- ৪.৫০ ফযর সালাত
৪.৪০- ৫.৫৫ কুর’আন তেলাওয়াত/যিকর
 ৬.০৫- ৬.১০ ইশরাক সালাত (সময় দেখে নিবেন সুর্য পুর্ন উদয় হতে)
সকাল ৬.১০-১১টা ঘুম