সালাতু তাসবীহ্‌

 

আমাদের সমাজে বিশেষ করে বাংলাদেশ ইণ্ডিয়া ও পাকিস্তানেই এই সালাতু তাসবিহ সালাতের কথা শুনা যায়। যেমন শুনা যায় শবে বরাতের কথা। বিতর্কিত আমল থেকে দূরে থাকাই উত্তম ও ঈমানী দায়িত্ব।

তারচেয়ে ফরয ও সহিহ হাদীস দিয়ে প্রমানিত নফল সালাতের প্রতি যত্নবান হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এবার চলুন জানার চেষ্টা করি হাদীসের ও স্কলার্সদের বক্তব্য।

সালাতুত্‌ তাসবীহ্‌ নামায নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।

ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) বলেন, এসম্পর্কিত হাদীছ সহীহ্‌ নয়।

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, ‘এসম্পর্কিত হাদীছ মিথ্যা। ইমাম আহমাদ এবং তাঁর অনুসারী ইমামগণ এ নামাযকে মাকরূহ মনে করতেন। কোন ইমামই এ নামাযকে মুস্তাহাব বলেন নি। আর অন্যান্য ইমামগণ আবু হানীফা, মালেক ও শাফেঈ এ সম্পর্কে কোন কিছু শোনেন নি তাই কোন মন্তব্যও করেন নি।”

শায়খুল ইসলামের এ কথা খুবই সত্য। কেননা এ নামায বিশুদ্ধ হলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে উম্মতের কাছে সন্দেহাতীতভাবে সহীহ্‌ সনদে বর্ণনা করা হত। কেননা তাতে রয়েছে বিরাট প্রতিদান ও উপকার। তাছাড়া সাধারণ নামাযের পদ্ধতি থেকেও তা সম্পূর্ণ আলাদা। বরং সমস্ত ইবাদত থেকে এটি মূলতঃ আলাদা ধরণের। কেননা এমন কোন ইবাদত আমরা দেখিনা, যা আদায় করার জন্য এধরণের এখতিয়ার দেয়া হয়েছে- প্রতিদিন আদায় করবে অথবা সপ্তাহে একবার অথবা মাসে একবার অথবা বছরে একবার অথবা সারা জীবনে হলেও একবার। তাছাড়া কোন বিষয় মৌলিকতা থেকে আলাদা হলে মানুষ তার প্রতি গুরুত্বারোপ করতো, বিষয়টি অন্যরকম হওয়ার কারণে মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রচলিত থাকতো। এর কোনটিই না হওয়ার কারণে বুঝা যায়, এ নামায শরীয়ত সম্মত নয়। আর এ কারণেই কোন ইমাম একে মুস্তাহাব বলেননি। (আল্লাহ্‌ই অধিক জ্ঞান রাখেন।) ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম

https://islamqa.info/en/14320

 

https://youtu.be/sO5gyDDT5fk

 

https://youtu.be/ndw-aJugMwI