একটি সুখ-শান্তিময় সমাজের স্বপ্ন-৭

আমার সুপ্রিয় বোনেরা, এই প্রজন্মকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করতে হলে এখনই সচেতন হতে হবে। কুরআনের ও হাদীসের আনুগত্য করা ছাড়া কোন ভাবেই জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। ছোট বেলা থেকেই শরীয়তের নিয়মকে নিজের ইচ্ছেমতো না সাজিয়ে কুরআন-হাদিসের আলোকে অনুসরণ করতে হবে।

 

ছোট বলে অনেক নাজায়েয কাজকে উপেক্ষা করার মাধ্যমেই বড় গুনাহের দিকে সহজে চলে যাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা, আর এর দায়-দায়িত্ব অবশ্যই বাবা-মাকে নিতে হবে কারণ সময় থাকতে তারা কুরআনের শিক্ষা বাস্তবায়নের তাগিদে সন্তানদের দেননি।

 

ইবনে উমার রা: থেকে বর্ণিত। নবী সা: বলেন: তোমাদের প্রত্যেকেই রাখাল (অভিভাবক) এবং নিজ অধীনস্থ লোকদের ব্যপারে সে দায়ী। শাসক একজন অভিভাবক এবং কোন ব্যক্তি তার পরিবারের লোকদের অভিভাবক (দায়িত্বশীল)। কোন মহিলা তার স্বামী-গৃহের ও তার সন্তানদের অভিভাবক (রক্ষক)। অতএব তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং নিজ অধীনস্থ লোকদের ব্যপারে তোমাদের প্রত্যেককেই জবাবদিহি করতে হবে।

বুখারী: ৪৮১৮

মহান আল্লাহ বলেছেন:

হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা কর অগ্নি হতে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মম-হৃদয়, কঠোর-স্বভাব ফিরিশতাগন, যারা অমান্য করে না আল্লাহ যা তাঁদের আদেশ করেন এবং তাঁরা যা করতে আদিষ্ট হয় তাই করে। সূরা আত-তাহরীম: ৬

 

মুসলিম নারীরা আজকাল হিজাবের কিছু অংশ মেনে দেখা যায় আরো দু-একটা নিষিদ্ধ কাজকে মিশিয়ে নিজেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য থেকে দূরে রাখেন। এক্ষেত্রে শয়তান মানুষকে খুব সূক্ষভাবে প্রবঞ্চিত করে। তাকে প্রবোধ দেয় নানা ভাবে। কারণ শয়তানের কাজই হলো মানুষকে জাহান্নামের পথে নিবে, যাকে যেভাবে পারা যায়। যে কাউকেই জাহান্নামে যাওয়ার একটা কাজ ধরিয়ে দিতে পারলে বাকি কাজে সে (শয়তান) আর বাঁধা দেয়না।

 

তাই দেখা যায় কেউ হয়তো নামাযে খুব সুন্দরভাবে কায়েম আছেন-তাকে হয়তো শয়তান হারাম রোজগারে লিপ্ত করে রেখেছে, আবার কেউ হয়তো নামাজ, হালাল-রুজি, হিজাব করেন তাকে সে গীবত-পরচর্চা বা হক-নষ্টকারী কাজে ব্যস্ত রাখে, আবার অনেকে হিজাব করেন বাহ্যিক ভাবে কিন্তু ভ্রু-প্লাক করে সুগন্ধি মেখে পরপুরুষের সাথে গল্প করেন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরকীয়ায় ব্যস্ত থাকেন। এরকম আরো অনেকভাবেই শয়তান মানুষকে প্রতারনা করেই যাচ্ছে।

আমরা মহান আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব ও খলিফা। আমরা যদি এই প্রতারণাকে বুঝে আত্মরক্ষা না করতে পারি তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে নিজেদের কঠোর পরিণতির জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।

কারণ মহান আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা’লা বলেছেন:

তাহলে কি তোমরা কিতাবের একটি অংশের ওপর ঈমান আনছো এবং অন্য অংশকে অস্বীকার করছো? তারপর তোমাদের মধ্য থেকে যারাই এমনটি করবে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কি হতে পারে যে, তারা দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছিত ও পর্যুদস্ত হবে এবং আখেরাতে তাদেরকে কঠিনতম শাস্তির দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে? তোমাদের কর্মকাণ্ড থেকে আল্লাহ বেখবর নন। সূরা বাকারা: ৮৫

পরিষ্কার বলে দাও পথ মাত্র একটিই, যা আল্লাহ দেখিয়ে দিয়েছেন। অন্যথায় তোমার কাছে যে জ্ঞান এসেছে তারপরও যদি তুমি তাদের ইচ্ছা ও বাসনা অনুযায়ী চলতে থাকো। তাহলে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষাকারী তোমার কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী থাকবে না। সূরা বাকারা: ১২০

আমাদের ভাই-বোনেরা বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। আমার একান্ত অনুরোধ থাকবে নিজ নিজ অবস্থানে ক্ষণিকের এই জীবনের তুলনায় আখেরাতের জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে সত্য ও সুন্দরকে মেনে চলার জন্য এই মুহুর্ত থেকে প্রস্তুতি নিবেন। নিরপেক্ষ মন নিয়ে চিন্তা করুন, বিবেককে জাগ্রত রেখে ভাবুন, একান্তভাবে আল্লাহর সাহায্য চান, নিজেকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে দিন।

অনেকে বলে থাকেন যে, “আমার স্বামী হিজাব করা এই মুহুর্তে পছন্দ করেন না, বলেছেন আরো বয়স হোক। স্বামীর আনুগত্য না করলে গুনাহ হবে, তাই এখন সে যেভাবে চায় সেভাবেই সেজেগুজে বের হই। সংসারতো ঠিক রাখতে হবে।”

আবার দেখা যায় অনেক নারী, স্বামী শরীয়তের পর্দা মেনে চলেন না বিধায় নিজেকেও জিদ করে পর্দা থেকে দূরে রাখেন।

মহান আল্লাহ বলেছেন,

কাজেই সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা আনুগত্যপরায়ণ হয় (আল্লাহর ও তাদের স্বামীদের) এবং পুরুষদের অনুপস্থিতিতে আল্লাহর হেফাযত ও তত্ত্বাবধানে তাদের অধিকার সংরক্ষণ করে থাকে। সূরা নিসা: ৩৪

 

স্ত্রীর জন্য নিজের স্বামীর আনুগত্যের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রগণ্য হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্য। কাজেই কোন স্বামী যদি তাঁর স্ত্রীকে আল্লাহর নাফরমানীর হুকুম দেয় অথবা আল্লাহর অর্পিত কোন ফরয থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা চালায়, তাহলে সেক্ষেত্রে তার আনুগত্য করতে অস্বীকার করা স্ত্রীর জন্য ফরয হয়ে দাড়ায়। এই অবস্থায় স্বামীর আনুগত্য করা হারাম।

 

রাসূল সা: বলেছেন, স্রষ্টার অবাধ্য হয়ে সৃষ্টির কোন আনুগত্য নাই। আনুগত্য শুধু ভালো ও ন্যায় কাজে। বুখারী: ৭২৫৭, মুসলিম: ১৮৪০

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত। এক আনসারী মহিলা তার মেয়েকে বিয়ে দিলেন কিন্তু তার মাথার চুল উঠে যেতে লাগলো। আনসারী মহিলাটি নবী সা:এর কাছে এসে বিষয়টি বর্ণনা করে বলল, তার (মেয়েটির) স্বামী আমাকে বলেছে, আমি যেন আমার মেয়ের মাথায় কৃত্রিম চুল পরিধান করাই। নবী সা: বলেন: না, কারণ যেসব নারী মাথায় কৃত্রিম চুল পরিধান করে তা লম্বা করে, আল্লাহ তাদের অভিসম্পাত করেন। বুখারী: ৪৮২৩

লক্ষ্য করুন এক্ষেত্রেও স্বামীর আনুগত্য করা নিষেধ, যেহেতু পর্দা একটি ফরয ইবাদাত স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকের জন্য। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন স্বামী যদি স্ত্রীকে নফল নামায পড়তে বা নফল রোযা রাখতে নিষেধ করেন তাহলে স্বামীর কথা মেনে চলা এইক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে পড়ে।

 

দুনিয়ার সব সম্পর্ক মহান আল্লাহ তা’য়ালাই দিয়েছেন। তিনি বলে দিয়েছেন এই সম্পর্কের ধরন কতটুকু হতে হবে। আল্লাহর নিকটই আমাদের ফিরে যেতে হবে এবং একাকী যার যার কাজের জবাবদিহী করতে হবে। আমার আপনার কবরে আপনজনেরা কেউই যাবেনা আর সাফাই করাতো দূরে থাক বরং হাশরের মাঠে একজন আরেকজন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবে এই ভয়ে যে না জানি তার কাছে কেউ দাবি বা পাওনা চেয়ে বসে। সুতরাং নিজের কবরে আলো জ্বালাতে হলে নিজের কাজগুলোতে আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্যে কায়েম থাকতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:

হে নবী বলে দাও, যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান ও তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী,তোমাদের আত্মীয়স্বজন, তোমাদের উপার্জিত সম্পদ, তোমাদের যে ব্যবসায়ের মন্দা দেখা দেয়ার ভয়ে তটস্থ থাকো এবং তোমাদের যে বাসস্থানকে তোমরা খুবই পছন্দ কর-এসব যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং তাঁর পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর চাইতে তোমাদের কাছে বেশী প্রিয় হয়, তাহলে আল্লাহর ফয়সালা তোমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর, আল্লাহ ফাসিকদেরকে কখনো সত্য পথের সন্ধান দেন না। সূরা তাওবা: ২৪

রাসূল সা: বলেছেন, কোন ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ (আনন্দ) লাভ করবে না – যদি কাউকে তার ভালোবাসা কেবল আল্লাহর জন্য না হয়, যে কুফরী থেকে আল্লাহ তাকে মুক্তি দিয়েছেন সেই কুফরীর দিকে ফিরে যাওয়ার চেয়ে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া যদি তার কাছে বেশি প্রিয় না হয় এবং যদি আল্লাহ ও তাঁর রসুল তার নিকট অন্য সবকিছুর চেয়ে অধিক প্রিয় না হয়। বুখারী: ৫৬০৬

বোনেরা, আপনার স্বামীকে আপনি ভালোবাসেন- তাই উনাকে নিয়েই যেন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সা:এর পথে চলা জীবনের অঙ্গীকার হয় – এভাবে স্বামীকে বুঝাতে হবে। ভালো ও উত্তম আচরণ দিয়ে তাকে বুঝাতে হবে যে সংসার সুন্দর ও শান্তিময় করার জন্যই আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রয়োজন। আর আখেরাতের জান্নাতে একসাথে পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকতে হলে কুরআনের পথে চলা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। কোন নারী যদি খালেস ভাবে আল্লাহর ভয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করেন এবং পরিবারে তার নমুনা রেখে চলেন অবশ্যই আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন। এক্ষেত্রে সবর ও ইহসান করার গুণ প্রয়োজন। স্ত্রীকে অবশ্যই ভালো কাজে স্বামীর আনুগত্যের নমুনা রাখতে হবে, তাকে সহযোগিতা করতে হবে। একসময় স্বামীও বুঝতে পারবেন তার করণীয় দায়িত্ব সম্পর্কে। কিন্তু এরকম অনেক দেখা যায় যেই পরিবারে স্ত্রী ফরয কাজ তরক করেছেন স্বামীর আনুগত্যকে প্রাধান্য দিয়ে সেই পরিবারে সুখ-শান্তি দুনিয়াতেই থাকে নাই, আর পরকালতো বাকি রয়েছে।

 

বোন, আপনি নিজের মনকে প্রশ্ন করে দেখুন, আসলে কি স্বামীর নির্দেশের জন্য; না কি নিজের নাফসের চাহিদাও রয়েছে নিজের সৌন্দর্যকে বাইরে প্রকাশ করার পেছনে? আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজের অবস্থার জন্য তওবা করে সাহায্য চান। স্বামীর জন্যও অন্তর দিয়ে আল্লাহ তা’য়ালার কাছে দোয়া করুন।

 

সম্মানিত ভাইদের জন্য, একটু ভেবে দেখুন আপনি আপনার মূল‍্যবান জিনিষ কত যত্ন করে সাবধানে কোন কিছুর ভিতরে রেখে দেন এবং বাইরে বের হলে সেই জিনিষ সাথে নিতে হলেও অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আড়াল করে নেন যেন লোক-চক্ষুর অন্তরালে থাকে, যেন সেই মুল্যবান জিনিষটি আপনারই থাকে। একবারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার স্ত্রী কত সম্মানীতা, মূল্যবান ও অতি প্রিয়-যার সংরক্ষণ ও হেফাজত করা আরো বেশী জরুরী! আপনার কাছে কি এটা ভালো লাগে যে আপনার স্ত্রীর সৌন্দর্য আপনি ছাড়াও রাস্তার লোকেরাও ভোগ করুক? এটাতো একটা নোংরা মনোভাব যে নিজের স্ত্রীকে অন্য লোকের চোখে আকর্ষণীয়ভাবে দেখার সুযোগ দেয়া। দুনিয়া ও আখেরাতে সুখ পেতে হলে আল্লাহর বিধানকে আঁকড়ে ধরে চলতে হবে। এতে দুনিয়াতেই স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক আরো গভীর ভালোবাসা ও বিশ্বাসে পরিপূর্ণ এবং মমতাপূর্ণ হয়ে উঠে।

মহান আল্লাহ বলেছেন:

হে ইমানদারগন, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার ও সন্তান-সন্ততিকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর।সুরা তাহরীম: ৬

মহান আল্লাহ বলেছেন:

আর যে ব্যক্তি কোন সৎ কাজ করবে, সে পুরুষ বা নারী যেই হোক না কেন, তবে যদি সে মুমিন হয়, তাহলে এইধরনের লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের এক অণু পরিমাণ অধিকারও হরণ করা হবে না।

সূরা নিসা: ১২৪

যারা আল্লাহর সাথে নিজেদের সাক্ষাতের ঘোষনাকে মিথ্যা গণ্য করেছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যখন অকস্মাৎ সে সময় এসে যাবে তখন এরাই বলবে, হায় আফসোস! এ ব্যপারে আমাদের কেমন ভুল হয়ে গেছে। আর তারা নিজেদের পিঠে নিজেদের গোনাহের বোঝা বহন করতে থাকবে। দেখো কেমন নিকৃষ্ট বোঝা এরা বহন করে চলেছে। দুনিয়ার জীবনতো একটি খেল-তামাসার ব্যপার। আসলে যারা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে চায় তাদের জন্য আখেরাতের আবাসই ভালো। তবে কি তোমরা বুদ্ধি-বিবেচনাকে কাজে লাগাবে না? সূরা আন’আম: ৩১-৩২

পারস্পরিক পরামর্শ, সহযোগীতা, বিশ্বাস, ভালোবাসা, নির্ভরতা, সুন্দর আচরণ নিয়ে কুরআন হাদীসের জ্ঞানার্জনে স্বামী-স্ত্রী দুজনে পরিকল্পিতভাবে এগুতে থাকলে আল্লাহ তা’য়ালা সেই পরিবারের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ দান করবেন ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দুনিয়ায় শান্তি ও পরকালের চিরস্থায়ী জান্নাতে দাখিল করুন।

আল্লাহ তা’লা বলেছেন:

হে ঈমানদারগন, আল্লাহর কাছে তাওবা করো, প্রকৃত তাওবা। অসম্ভব নয় যে, আল্লাহ তোমাদের দোষ-ত্রুটি দূর করে দিবেন এবং এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশ দিয়ে ঝর্ণাসমূহ প্রবাহিত হতে থাকবে। সেটি হবে এমন দিন যেদিন আল্লাহ তাঁর নবীর সঙ্গী ঈমানদারদের লাঞ্ছিত করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডান দিকে দ্রুত অগ্রসর হতে থাকবে এবং তারা বলতে থাকবে, হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের নূর পূর্ণাংগ করে দাও ও আমাদের ক্ষমা করে দাও। তুমি সব কিছু করতে সক্ষম। সূরা তাহরীম: ৮