উমরা-———-ইহরাম করা—বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করা—-দু রাকাত সালাত আদায়(মাকামে ইবরাহীমের পিছনে)— যমযমের পানি পান করা—সাফা অ মারওয়ার মাঝে সাঈ করা—মাথা মুণ্ডন বা চুল কাটা।
ইহরাম-————–প্রয়োজনীয় ক্ষৌর কাজ করা—-গোসল বা অযু করা—-ইহরামের কাপড় পরিধান করা—পুরুষদের আত বা সুগন্ধি শরীরে গ্রহন করা—দুই রাকাত সালাত(তাহিয়াতুল অযু) আদায়—মুখে শব্দ
করে নিয়্যত করা(উমরা বা হজ্জ বা বদলী হজ্জ)—তালবিয়া পাঠ করা
নফল তাওয়াফ——-মনে মনে নিয়্যত থাকা—হযরে আসওয়াদ চুম্বন বা স্পর্শ বা ডান হাতে ইশারা করা(এখান থেকে শুরু)—– বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার(প্রথম চক্রের শুরুতে কিন্তু পরের চক্রগুলোতে শুধু
আল্লাহু আকবার বলা)—প্রথম চক্রে একটি দোয়াটা পড়া সুন্নাত—যে কোন দোয়া বা কুর’আন থেকে আয়াত পড়া—রুকনে ইয়ামানী শুধুমাত্র হাত দিয়ে স্পর্শ করা—দোয়া পড়া রাব্বানা আতিনা
ফিদ্দ..—-হযরে আসওয়াদ পৌছানো পর্যন্ত—৭বার চক্র শেষে পুনরায় আল্লাহু আকবার না বলে দুই রাকাত সালাত আদায়—যমযমের পানি পান করা।
(হজ্জ ও উমরার তাওয়াফে ইযতিবা ও রমল থাকবে, যমযমের পানি পান করার পর সাঈ ও চুল কাটা করতে হবে।)
হজ্জ—
হজ্জের ১ম দিন( ৮ই যিলহজ্জ)–-ইহরাম অবস্থায় মক্কা থেকে মীনায় রওয়ানা—মীনায় ৫ ওয়াক্ত সালাত কসর আদায়(আজকের যুহর,আসর,মাগরিব,ইশা ও পরদিন ফযর অথবা আজকের
ফযর,যোহর,আসর,মাগরিব ও ইশা)—মীনায় রাতে অবস্থান।
হজ্জের ২য় দিন(৯ই যিলহজ্জ আরাফার দিন )———-ফযরের সালাত পড়ে(বা অনেক ক্ষেত্রে ফযরের আগেই) আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে তাকবীরে তাশরীক পড়তে পড়তে রওয়ানা—আরাফার সীমানার মধ্যে
অবস্থান—ওয়াক্তমত যোহর ও আসরের কসর সালাত আদায়—-সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া ও যিকিরে মশগুল থাকুন( বিশেষ করে এই দোয়াটি পড়ুন লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা
শারীকা লাহু লাহুল মুলকু …)—সূর্যাস্তের পর মাগরিবের সালাত না পড়ে মুযদালিফার উদ্দেশ্য রওয়ানা —–মুযদালিফায় পৌছে মাগরিব ও ইশা সালাত কসর পড়ুন—-বড়
জামরায় মারার জন্য ৭টি কঙ্কর যোগাড় করুন—খোলা আকাশের নীচে বিশ্রাম নিন।
হজ্জের ৩য় দিন(১০ই যিলহজ্জ ঈদের দিন)—–মুযদালিফায় ফযরের সালাত পড়ে কিবলামুখী হয়ে তাসবিহ তাহলীল ও হাত উঠিয়ে দোয়া করা—আকাশ ফর্সা হয়ে গেলে সূর্য উঠার আগেই মিনার উদ্দেশ্যে
রওয়ানা(রাতে না পেরে থাকলে ৭টি কঙ্কর এখন যোগাড় করতে পারেন)—বেশী বেশি তালবিয়া ও আল্লাহু আকবার পড়তে পড়তে চলুন–ওয়াদী মুহাসসির স্থানে দ্রুত
হাটুন—মীনায় তাবুতে গিয়ে নাস্তা সেরে ও ব্যাগ গুছিয়ে হালকা করে নিন— সূর্য হেলার পূর্বেই বড় জামারায় পৌছা মাত্র তালবিয়া পড়া বন্ধ—৭টি কঙ্কর মারার পর কুরবানী
করুন— পুরুষেরা চুল মুণ্ডন ও মহিলারা চুল কাটবেন—মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা—তাওয়াফে ইফাদা বা ফরয তাওয়াফ করুন—সাঈ করুন—মীনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা—মীনায়
রাত্রী যাপন।
হজ্জের ৪র্থ দিন( ১১ই যিলহজ্জ)– ফরয তাওয়াফ, সাঈ,কুরবানী মাথা মুন্ডন না করে থাকলে আজ করুন—-সূর্য হেলার পরে এবং সূর্য ডুবার আগে ৩টি জামারাতে ধারাবাহিকভাবে কঙ্কর নিক্ষেপ করুন-১ম ছোট
জামারা কঙ্কর নিক্ষেপের পর দোয়া করুন—মেঝো জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের পর দোয়া করুন—বড় জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের পর দোয়া না করে তাড়াতাড়ি চলে আসুন—-
রাতে মীনায় অবস্থান করুন।
হজ্জের ৫মদিন(১২ই যিলহজ্জ)— ফরয তাওয়াফ, সাঈ,কুরবানী মাথা মুন্ডন না করে থাকলে আজ করুন——সূর্য হেলার পরে এবং সূর্য ডুবার আগে ৩টি জামারাতে ধারাবাহিকভাবে কঙ্কর নিক্ষেপ করুন-১ম ছোট
জামারা কঙ্কর নিক্ষেপের পর দোয়া করুন—মেঝো জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের পর দোয়া করুন—— বড় জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের পর দোয়া না করে তাড়াতাড়ি চলে আসুন—-
সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই মীনা ত্যাগ করতে হবে—সূর্যাস্তের পূর্বে মীনা ত্যাগ না করতে পারলে মীনার তাবুতে রাত্রী যাপন করতে হবে।
হজ্জের ৬ষ্ঠ দিন(১৩ইযিলহজ্জ)—–গতদিন সূর্যাস্তের পূর্বে মীনা ত্যাগ যারা করতে পারেন নি তারা আজ ৩টি জামারায় ধারাবাহিকভাবে কঙ্কর নিক্ষেপ করে সূর্যাস্তের পূর্বেই মীনা ত্যাগ করে মক্কায় চলে আসবেন—
আসরের সালাত পড়ে তাকবির তাশরীক পড়ুন, এরপর আর পড়তে হবে না।
মক্কার শেষ দিন-—– বিদায় তাওয়াফ করে দেশে রওয়ানা বা মদীনা যিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা
(তাকবীর হলো- “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার,লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহীল হামদ”।
তাকবীর কখন ও কতদিন পড়তে হবে এ ব্যাপারে অনেকগুলো মত রয়েছে। সাধারণভাবে যা বুঝা যায় তা হলো যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ (আরাফার দিন ফজর থেকে) থেকে ১৩ই যিলহজ্জ পর্যন্ত যে কোন সময়ে তাকবীর পড়া যেতে পারে এবং বিশেষভাবে ফরয সালাতের পর(বিশেষ সময়ের তাকবীর) পড়া মুস্তাহাব।)