৭ম কুইজ (রমাদান মাস ও সাওম)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আসসালামু’আলাইকুম

 

১। রমাদান মাসে রাসূল স. বেশী বেশী কোন দুটি কাজ করতেন?

২। রমাদানের সাওম  এর নিয়ত ফজরের আগে করাটা কতটা জরুরী?

৩। সাওমের নিয়ত কি শব্দ করে উচ্চারন করে করতে হয়?

৪। আল্লাহর পথে ব্যয়  (দানের) উপমা একটি শস্যবীজ, যা উৎপাদন করে সাতটি শীষ এবং প্রত্যেক শীষে শতদানা-এটা কোন সূরার আয়াত?

৫। সেহরী ও ফযর সালাতের মাঝে ক্তটুকু ব্যবধান থাকা জরুরী?

 

১। গোটা মানব জাতির মধ্যে নবী সা. সবচেয়ে দানশীল ছিলেন। রামাদান মাসে জিবরাঈল আ. যে সময় তাঁর সাথে সাক্ষাত করতেন সে সময় তিনি সবচেয়ে বেশী দানশীল হয়ে উঠতেন। জিবরাঈল রামাদানে প্রতি রাতেই তাঁর সাথে সাক্ষাত করতেন। এভাবেই রামাদান মাস অতিবাহিত হত। নবী স. (এ সময়) তার সামনে কোরআন পড়ে শুনাতেন। যখন জিবরাঈল তাঁর সাথে সাক্ষাত করতেন তখন তিনি গতিবান বায়ুর চাইতেও বেশী দানশীল হয়ে উঠতেন।  সহীহ আল বুখারী: ১৭৬৭

তাহলে এই হাদিস থেকে জানা যায় নবী সা. রামাদানে কি করতেন:

  • বেশী বেশী দান করা
  • কোরআন পাঠ করা

২। যে ফজরের আগে সিয়ামের নিয়্যাত করলো না, তার কোন সিয়াম নেই। আত তিরমিযী: ৭৩০

৩। রামাদানের সিয়ামের নিয়্যাত, প্রতি রাতে করতে হবে। এটা হল অন্তরের কাজ বা মনে মনে সংকল্প করা।

৪। যারা নিজেদের অর্থ সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের (দানের) উপমা একটি শস্যবীজ, যা উৎপাদন করে সাতটি শীষ এবং প্রত্যেক শীষে শতদানা। (এভাবেই) যাকে ইচ্ছা আল্লাহ বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন। তিনি মহা প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞানী।

সূরা আল বাকারা: ২৬১

৫। সেহরী ও নামায এ দুয়ের মধ্যে ব্যবধান পঞ্চাশ আয়াত পাঠ করার পরিমান সময়। সহীহ মুসলিম: ২৪১৮