১। তালবিয়া পড়া সুন্নাত।
২।
রাসূল স.কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন ধরনের হজ্জ সবচেয়ে উত্তম? তিনি বলেন, চিৎকার করা (উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ) ও রক্ত প্রবাহিত করা (কোরবানী দেওয়া)।জামে আত তিরমিযী:৭৭৫
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখনই কোনো মুসলিম (হজ্জ বা উমরাহ’র জন্য) তালবিয়া পাঠ করে, তখন তার ডান ও বাম দিকে পৃথিবী শেষ সীমা পযর্ন্ত যত পাথর, বৃক্ষ ও মাটির চাকা রয়েছে, সব কিছুই তার সাথে তালবিয়া পাঠ করে। (তিরমিযী, ১:১৭০/ইবনু মাজাহ, এই দোয়ার মাধ্যমে হজ্জে গমনকারী সেই স্বত্তার(আল্লাহর) কাছে নিজেকে উপস্থিত করছেন, এই বিশ্ব-চরাচরের সমগ্র রাজত্ব যার অধীনে। সেই স্বত্তার কাছে উপস্থিতি জানাচ্ছেন যার জন্যেই সকল প্রশংসা এবং সকল নিয়ামত যার কাছ থেকেই আমরা পেয়ে থাকি।
তালবিয়া পাঠ হজ-উমরার শোভা বৃদ্ধি করে। ইবন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘অমুকের ওপর আল্লাহর অভিশাপ! তারা হজের সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ দিনের ইচ্ছা করে তার শোভা মিটিয়ে দিল। আর নিশ্চয় হজের শোভা হল তালবিয়া।’ মুসনাদ আহমদ : ১/২১৭ ।
৩। তালবিয়া পাঠ কতক্ষন পর্যন্ত করবেন–
১। উমরার উদ্দেশ্যে ইহরামের নিয়্যত করা শেষ হলেই তালবিয়া পড়া শুরু করবে এবং হারাম শরিফে পৌছে তাওয়াফ শুরু করার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তালবিয়া পড়তে থাকবে।
২। হজ্জের বেলায় ১০ই যিলহজ্জে বড় জামরায় কংকর নিক্ষেপের পূর্ব পর্যন্ত তালবিয়াহ পাঠ করতে থাকবে।
৪।
পুরুষেরা জোরে তালবিয়া পড়বেন কিন্তু নারীরা পর-পুরুষের সামনে জোরে পড়বেন না।
সায়েব ইবনে খাল্লাদ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু)-এর হাদীছে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«جَاءَنِي جِبْرِيلُ فَقَالَ لِي يَا مُحَمَّدُ مُرْ أَصْحَابَكَ أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّلْبِيَةِ»
‘জিবরীল (‘আলাইহিস্সালাম) এসে আমাকে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি আপনার সঙ্গীগণকে উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পড়ার আদেশ করুন’ (নাসা‘ঈ, হা/২৭৫৩, সনদ ছহীহ)।
তবে মহিলারা নিম্নস্বরে তালবিয়া পাঠ করবে। ইমাম তিরমিযী ৯২৭ নং হাদীছ উল্লেখ করার পর বলেন, ‘মহিলাদের উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পড়া মাকরূহ’।
৫। তালবিয়া হলো—
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ»
লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক লা শারীকা লাক্।
আমি হাযির, হে আল্লাহ ! আমি হাযির, আমি হাযির, তোমার কোন শরীক নেই, আমি তোমারই কাছে এসেছি। নিষ্চয়ই সকল প্রশংসা ও নেয়ামত তোমারই দান, রাজত্ব আর প্রভুত্ব সবই তোমার। কেউ তোমার শরীক নেই।”