২য় কুইজ (হজ্জ ও উমরা)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আসসালামু’আলাইকুম

১। উমরাহ ফরজ কয়টি?

২। উমরাহতে ওয়াজীব কয়টি?

৩। হজ্জের ফরজ কয়টি?

৪। হজ্জের ওয়াজীব কয়টি?

৫। দম বা কাফফারা কি ও কখন দিতে হয়?

 

 

উত্তরঃ

 

 

উমরার ফরয বা রুকন ৩টি।

ইহরাম করা।

কাবাঘর তাওয়াফ করা।

সাঈ করা

উমরার ওয়াজিব ২টি।

মীকাত পার হওয়ার আগেই ইহরাম করা।

চুল কাটা বা মাথা মুণ্ডানো। মহিলাদের চুলের অগ্রভাগ কাটা।

হজ্জের ফরয বা রুকন ৩টি।

১। ইহরাম করা

২। আরাফাতে অবস্থান (৯ই যিলহজ্জ)

৩। তাওয়াফ করা (তাওয়াফে যিয়ারাহ বা ইফাদাহ)

হজ্জের ওয়াজিব ৯টি

১। ইহরাম করতে হবে মীকাত পার হয়ার আগেই।

২। সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ করা।

৩। আরাফাতে অবস্থান সূর্যাস্ত পর্যন্ত দীর্ঘায়ীত করা।

৪। মুযদালিফায় অবস্থান করা।

৫। মীনায় রাত্রি যাপন।

৬। জামরা সমূহে কঙ্কর নিক্ষেপ করা।

৭। হাদী (পশু) কুরবানী করা।

৮। চুল কাটা বা মাথা মুণ্ডানো। মহিলাদের চুলের অগ্রভাগ কাটা।

৯। বিদায়ী তাওয়াফ। ( হায়েয বা নেফাস শুরু হয়ে গেলে নারীদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে-বুখারী)

 

উল্লেখিত ওয়াজিবসমূহের মধ্যে কোন একটি যে কোন কারনেই ছুটে গেলেই বা বাদ পরে গেলে দম বা কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়।

দম বা কাফফারা আদায় করতে হয় যেভাবে—উমরা বা হজ্জের কোনো একটি ওয়াজিব ছুটে গেলে এর পরিবর্তে একটি খাসি,দুম্বা বা বকরি যবাই করে দিতে হয়।

এটি মিনায় বা মক্কায় দিতে হয়। এর গোশত শুধুমাত্র ফকির-মিসকীনরা খাবে, দমদাতা নিজে খাবে না।

অজানা ও অনিচ্ছাকৃত ভুলত্রুটির জন্য দম দিতে হয় না,শুধুমাত্র ওয়াজিব তরক করলে দম দিতে হবে।