১ম কুইজ (রমাদান মাস ও সাওম)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

 

আসসালামু’আলাইকুম

১। প্রথম কোন সাওম মুসলমানদের জন্য ফরয ছিল?

২। রমাদান মাসের সাওম কোন বছর ফরয করা হয়?

৩। কোন সূরার কত নং আয়াতে সাওম ফরয নির্দেশ এসেছে?

৪। সাওম ফরয করার মূল উদ্দেশ্য কি?

৫। কাদের জন্য সাওম রাখা না রাখার বিকল্প ব্যবস্থার অনুমতি আছে?

 

উত্তরঃ         আশুরার সাওম বা ১০ইমহররম মুসলমানদের জন্য ফরয ছিল, যে বছর মদিনায় হিজরত করে রাসূল স. মুসলমানদের নিয়ে গিয়েছিলেন।

হিজরতের ২য় বছর রমাদানের সাওম ফরয করা হয়।

সূরা বাকারাঃ ১৮৩ নং আয়াত

মূল উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন।

মুসাফির ও অসুস্থ ব্যক্তির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা আছে।

মহান আল্লাহ বলেছেন—

হে ঈমানদাগণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল ৷ এ থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হয়ে যাবে ৷

এ কতিপয় নিদিষ্ট দিনের রোযা ৷ যদি তোমাদের কেউ হয়ে থাকে রোগগ্রস্ত অথবা মুসাফির তাহলে সে যেন অন্য দিনগুলোয় এই সংখ্যা পূর্ণ করে ৷ আর যাদের রোযা রাখার সামর্থ আছে (এরপরও রাখে না)তারা যেন ফিদিয়া দেয় ৷ একটি রোযার ফিদিয়া একজন মিসকিনকে খাওয়ানো৷ আর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ও সানন্দে কিছু বেশী সৎকাজ করে , তা তার জন্য ভালো ৷ তবে যদি তোমরা সঠিক বিষয় অনুধাবন করে থাকো ৷   তাহলে তোমাদের জন্য রোযা রাখাই ভালো ৷

  রমযানের মাস, এ মাসেই কুরআন নাযিল করা হয়েছে , যা মানব জাতির জন্য পুরোপুরি হিদায়াত এবং এমন দ্ব্যর্থহীন শিক্ষা সম্বলিত, যা সত্য –সঠিক পথ দেখায় এবং হক ও বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট করে দেয় ৷ কাজেই এখন থেকে যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাত পাবে তার জন্য এই সম্পূর্ণ মাসটিতে রোযা রাখা অপরিহার্য এবং যে ব্যক্তি রোগগ্রস্ত হয় বা সফরে থাকে, সে যেন অন্য দিনগুলোয় রোযার সংখ্যা পূর্ণ করে ৷    আল্লাহ তোমাদের সাথে নরম নীতি অবলম্বন করতে চান, কঠোর নীতি অবলম্বন করতে চান না ৷ তাই তোমাদেরকে এই পদ্ধতি জানানো হচ্ছে, যাতে তোমরা রোযার সংখ্যা পূর্ণ করতে পারো এবং আল্লাহ তোমাদের যে হিদায়াত দান করেছেন সে জন্য যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে ও তার স্বীকৃতি দিতে এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো ৷           সূরা বাকারাঃ ১৮৩-১৮৫