ধূলা বালি ও মলিন হওয়া থেকে পরিচ্ছন্ন হয়ে যাওয়া প্রকৃতি মহান রবের পাঠানো সূর্যের মিষ্টি আলো ও তাপে যেন মিটিমিটি হাসছে আর যেন বলছে, কি! তুমিও কি সকল দুঃখ যন্ত্রণা, রাগ-হিংসা, মান অভিমান, অলসতা-ওয়াসওয়াসা থেকে নিজদের পরিচ্ছন্ন হয়ে কুর’আনের আলোকে আলোকিত হয়ে এসেছো?
হ্যা আমরাও চলুন কুর’আনের আলোতেই চলার শপথ নেই।
ছবি ব্লগ দুনিয়ার জীবন-৫ এর উত্তর হলো সূরা আলে ইমরান: ১৮৫-১৮৬।
এই সূরাতে এই বিষয়ে আরেক জায়গায় মহান আল্লাহ কি বলেছেন চলুন একটু ঘুরে আসি।
“মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী, সন্তান-সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য, চিহ্নিত অশ্ব, গবাদি পশুরাজি এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয় বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নিকটই হলো উত্তম আশ্রয়। বলুন, আমি কি তোমাদেরকে এসবের চাইতেও উত্তম বিষয়ের সন্ধান বলবো?-যারা পরহেযগার, আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে রয়েছে বেহেশত, যার তলদেশে প্রস্রবণ প্রবাহিত-তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আর রয়েছে পরিচ্ছন্ন সঙ্গিনীগণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন”। সূরা আলে ইমরান:১৪-১৫
মহান আল্লাহতা’আলা এই দুনিয়ার জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত ও আকর্ষনীয় সুখ সম্ভোগের বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থাপনা দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছেন। আবার সাথে সাথে অস্থায়ী জীবনের এই সকল উপায় উপাদানের প্রতি আমাদের ভোগবিলাসের মাত্রা যেন সেইরকম ভারসাম্যপূর্ণ ও মহান রবের আনুগত্য ও কৃ্তজ্ঞতাসম্বলিত হয় যা স্থায়ী জীবনের উন্নত সব ব্যবস্থাপনা পাইয়ে দিতে সহায়ক হবে-সেই পথের নির্দেশনাও বারবার স্মরন করিয়ে দিয়েছেন। তাই দীনের পথের পথিক , আমরা কি সেই নির্দেশনাগুলো স্মরন করে নিজেদের পথকে জান্নাতের দিকে চালিত করছি! মহান আল্লাহ আমাদের অন্তরকে কুর’আনের জ্ঞানে উদ্ভাসিত হয়ে দুনিয়ার জীবনকে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিন।