ঝরে পড়া শিউলী ফুলের ঝুড়ি নিয়ে জানাই একরাশ শুভেচ্ছা, আর যারা কষ্ট করে কুর’আন মাজীদ খুলে বা নেটে সার্চ দিয়ে আয়াতগুলোর উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়েছেন তাদের জন্য রইলো বকুল ফুলের ডালা। মহান আল্লাহ আমাদের এই সময়গুলোকে ইবাদাতের খাতায় কবুল করে নিন।
ছবি ব্লগ-৪ এর উত্তর সূরা লোকমান-৩৩।
এবার একটু আগে থেকে মহান আল্লাহ কি জানিয়েছেন তা জানি-
“তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহর অনুগ্রহে জাহাজ সমুদ্রে চলাচল করে, যাতে তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করেন? নিশ্চয় এতে প্রত্যেক সহনশীল, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
যখন তাদেরকে মেঘমালা সদৃশ তরংগ আচ্ছাদিত করে নেয়, তখন তারা খাঁটি মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে স্থলভাগের দিকে উদ্ধার করে আনেন, তখন তাদের কেউ কেউ সরল পথে চলে। কেবল মিথ্যাচারী, অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে।
হে মানব জাতি! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর এবং ভয় কর এমন এক দিবসকে, যখন পিতা পুত্রের কোন কাজে আসবে না এবং পুত্রও তার পিতার কোন উপকার করতে পারবে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতএব, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয় এবং আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারক শয়তানও যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে।
নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত”। সূরা লোকমান:৩১-৩৪
এখানে লক্ষ্য করুন, বিপদে মানুষ মহান আল্লাহকে ডেকে থাকে এবং মহান রব সেই ডাকে দ্রুত সাড়া দিয়ে উদ্ধার করে দেন কিন্তু এরপর সুখের সময় কতজন মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতায় আনুগত্যের পথে অটল থাকেন? ক্ষনস্থায়ী এই দুনিয়ার মোহে ভুলে গেলে চলবেনা যে আমরা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর নিকট ফিরে যেতে হবে।
ছবি ব্লগ-৪ এর অপরটির উত্তর সূরা আন নাযিয়াত-৪২-৪৬।
এই সূরায় মহান আল্লাহ আগের আয়াতে কি বলেছেন জানি-
“অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে,অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম স্মরণ করবে এবং দর্শকদের জন্যে জাহান্নাম প্রকাশ করা হবে, তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে; এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত।
তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে?
এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক ?
এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে।
যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন। যেদিন তারা একে দেখবে, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক সকাল অবস্থান করেছে”। সূরা আন নাযিয়াত: ৩৪-৪৬
নিজেদের জ্ঞান ও মেধা যা মহান রবের দেয়া অনুগ্রহ, সেটাকে অহীর জ্ঞানের আলোকে উদ্ভাসিত করে আখেরাতের জন্য প্রস্তুতি নেই প্রতিটি মুহুর্তের চিন্তা ও কর্মে।