কুরআন তিলাওয়াত
তিলাওয়াত আরবী শব্দ। এর অর্থ পাঠ করা,আবৃত্তি করা,পুনরাবৃত্তি ,বর্ননা করা,অনুধাবন করা ইত্যাদি।
যে কোন পাঠকে তিলাওয়াত বলা যায় না। বরং যে পাঠ পাঠদানকারীর প্রদত্ত অনুশীলনের সম্পূর্ণ অনুরূপ হবে তাকেই তিলাওয়াত বলা হয়।
তাই আসমানী কিতাবের ক্ষেত্রেই তিলাওয়াত শব্দ ব্যবহ্ত হয়।
“যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি তারা তা যথার্থ ভাবে তিলাওয়াত করে এ সমস্ত লোকেরাই এ কিতাবের প্রতি ঈমান আনে।” (বাকারা—১২১)
উক্ত আয়াত হতে জানা যায়—
১। অর্থ বুঝে তিলাওয়াত করা
২।তাজবীদসহ তিলাওয়াত করা
৩।পড়ে আমল করা
তিলাওয়াত ও কিরাতের মধ্যে পার্থক্য
কিরাত ও তিলাওয়াত দুটোই আরবী শব্দ ।
কিরাত অর্থ পড়া বা পাঠ করা। সাধারন অর্থে দেখে দেখে পড়াকে কিরাত বলা হয়। কিন্তু তিলাওয়াত এর অর্থ পাঠ করা,আবৃত্তি করা,পুনরাবৃত্তি ,বর্ননা করা,অনুধাবন করা ইত্যাদি। তাই আমাদের জন্য কুরআন তিলাওয়াত ফরয কাজ এবং কিরাত করা নফল কাজ।
“আমি আপনার নিকট যে কিতাব নাযিল করেছি তা বরকতপূর্ণ।লোকেরা যেন এ আয়াতগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে এবং জ্ঞানী লোকেরা যেন অবশ্যই তা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে।” (সোয়াদ-২৯)
সর্বোত্তম ইবাদাত
“ইবাদাত সমূহের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদাত হচ্ছে কুরআন তিলাওয়াত করা।” (মুসলিম শরীফ)
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যদেরকে তা শেখায়”। (বুখারী শরীফ)
“তুমি যদি আল্লাহর কিতাব থেকে একটি আয়াত শেখ,তবে সেটা তোমার জন্য একশত রাকাত(নফল) নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। আর যদি তুমি ইসলামী জ্ঞানের একটি অধ্যায় ও মানুষকে শিখাও, তবে তা তোমার জন্য এক হাজার রাকাত নফল নামাজ পড়ার চেয়েও উত্তম,চাই তদনুসারে আমল করা হোক বা না হোক।” (ইবনে মাজাহ)