সূরা কাহফঃ (কাহফবাসীর ঘটনাঃ১ম পর্ব) ১ম রুকুর ২য় পর্ব ( ৯-১২ আয়াত)

সূরা কাহফ

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

১ম রুকুঃ ১-১২ আয়াত

আসহাবে কাহফের ঘটনা (৯-২৬ আয়াত পর্যন্ত)

আসহাবে কাহফের ঘটনাঃ ৯-২৬ আয়াত পর্যন্ত

(১ম রুকুর ৯-১২,২য় রুকুর ১৩-১৭,৩য় রুকুর ১৮-২২ + ৪র্থ রুকুর ২৩-২৬ আয়াত)

এখানে আলোচিত হয়েছে ১ম রুকুর (৯-১২ আয়াত)

আসহাবে কাহফের ঘটনাঃ১ম পর্ব

১৮:৯ اَمۡ حَسِبۡتَ اَنَّ اَصۡحٰبَ الۡکَهۡفِ وَ الرَّقِیۡمِ ۙ کَانُوۡا مِنۡ اٰیٰتِنَا عَجَبًا ﴿۹

৯. আপনি কি মনে করেন যে, কাহফ ও রাকীমের অধিবাসীরা আমাদের নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর?

كهف এর অর্থ বিস্তীর্ণ পার্বত্য গুহা। বিস্তীর্ণ না হলে তাকে غار বলা হয়। [কুরতুবী]

رقيم এর শাব্দিক অর্থ مرقوم বা লিখিত বস্তু। এ স্থলে কি বোঝানো হয়েছে, এ সম্পর্কে তাফসীরবিদগণের বিভিন্ন উক্তি বর্ণিত রয়েছে-

(এক) সাঈদ ইবন জুবাইর বলেন, এর অর্থ একটি লিখিত ফলক। সমসাময়িক বাদশাহ এই ফলকে আসহাবে কাহফের নাম লিপিবদ্ধ করে গুহার প্রবেশপথে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এ কারণেই আসহাবে কাহফকে রকীমও বলা হয়।

(দুই) মুজাহিদ বলেন, রকীম সে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত উপত্যকার নাম, যাতে আসহাবে কাহফের গুহা ছিল।

(তিন) ইবন আব্বাস বলেন, সে পাহাড়টিই রকীম।

(চার) ইকরিমা বলেনঃ আমি ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাকে বলতে শুনেছি যে, রকীম কোন লিখিত ফলকের নাম না কি জনবসতির নাম, তা আমার জানা নেই।

(পাঁচ) ক’ব আহবার, ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বেবাহ, ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন যে, রকীম রোমে অবস্থিত আয়লা অর্থাৎ আকাবার নিকটবর্তী একটি শহরের নাম। [ইবন কাসীর]

মূলতঃ আসহাবে কাহফ ও আসহাবে রকীম একই দলের দুই নাম, না তারা আলাদা দু’টি দল? এ মতভেদ নিয়েই উপরোক্ত মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে।

যদিও কোন সহীহ হাদীসে এ সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট বর্ণনা নেই, কিন্তু ইমাম বুখারী ‘সহীহ’ নামক গ্রন্থে আসহাবে কাহফ ও আসহাবে রকীমের দুটি আলাদা আলাদা শিরোনাম রেখেছেন। ইমাম বুখারীর এ কাজ থেকে বোঝা যায় যে, তার মতে আসহাবে কাহফ ও আসহাবে রকীম পৃথক পৃথক দু’টি দল। হাফেজ ইবনে হাজার ও অধিকাংশ তাফসীরবিদের মতে কুরআনের পূর্বাপর বর্ণনা অনুযায়ী আসহাবে কাহফ ও আসহাবে রকীম একই দল।

(৩) অর্থাৎ যে আল্লাহ্ এ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, রাত-দিনের ব্যবস্থা করেছেন, সূর্য ও চন্দ্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং সমস্ত গ্রহ-নক্ষত্ররাজিকে তাদের কক্ষপথে আবর্তন করা, তিনশতের অধিক সময় পর্যন্ত ঘুম পাড়িয়ে রাখা তারপর তাদেরকে ঘুমাবার আগে তারা যেমন তর-তাজা ও সুস্থ-সবল ছিল ঠিক তেমনি অবস্থায় জাগিয়ে তোলা কি তোমরা কিছুমাত্র অসম্ভব বলে মনে কর? যদি চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে কেউ কখনো চিন্তা-ভাবনা করে তাহলে একথা কেউ মনে করতে পারে না যে, আল্লাহর জন্য এটা কোন কঠিন কাজ। মহান আল্লাহর জন্য তো এটা ক্ষুদ্র ব্যাপার। [দেখুন, ইবন কাসীর]

১৮:১০ اِذۡ اَوَی الۡفِتۡیَۃُ اِلَی الۡکَهۡفِ فَقَالُوۡا رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً وَّ هَیِّیٴۡ لَنَا مِنۡ اَمۡرِنَا رَشَدًا

১০. যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল তখন তারা বলেছিল, হে আমাদের রব! আপনি নিজ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।

যেকোন কঠিন সময়, অনিশ্চিত অবস্থায় এই দু’আটা করা যায়।

এই দুয়ার প্রথম অংশে যে জিনিষ চাওয়া হয়েছে তা হলো মহান রবের পক্ষ থেকে রাহমা/ দয়া/ অনুগ্রহ পাওয়ার জন্য।

আমরা হাদীস থেকে জানি—

নিশ্চয় আল্লাহর একশটি রহমত আছে, যার মধ্য হতে একটি মাত্র রহমত তিনি মানব-দানব, পশু ও কীটপতঙ্গের মধ্যে অবতীর্ণ করেছেন। ঐ এক ভাগের কারণেই (সৃষ্টজীব) একে অপরকে মায়া করে, তার কারণেই একে অন্যকে দয়া করে এবং তার কারণেই হিংস্র জন্তুরা তাদের সন্তানকে মায়া করে থাকে। বাকী নিরানব্বইটি আল্লাহ পরকালের জন্য রেখে দিয়েছেন, যার দ্বারা তিনি কিয়ামতের দিন আপন বান্দাদের উপর রহম করবেন।

এ হাদীসটিকে ইমাম মুসলিমও সালমান ফারেসী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলার একশটি রহমত আছে, যার মধ্য হতে মাত্র একটির কারণে সৃষ্টিজগৎ একে অন্যের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে। আর নিরানব্বইটি (রহমত) কিয়ামতের দিনের জন্য রয়েছে।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহ তা’আলা আসমান যমীন সৃষ্টি করার দিন একশটি রহমত সৃষ্টি করলেন। প্রতিটি রহমত আসমান ও যমীনের মধ্যস্থল পরিপূর্ণ (বিশাল)। অতঃপর তিনি তার মধ্য হতে একটি রহমত পৃথিবীতে অবতীর্ণ করলেন। ঐ একটির কারণেই মা তার সন্তানকে মায়া করে এবং হিংস্র প্রাণী ও পাখীরা একে অন্যের উপর দয়া করে থাকে। অতঃপর যখন কিয়ামতের দিন হবে, তখন আল্লাহ এই রহমত দ্বারা সংখ্যা পূর্ণ করবেন।

বুখারীঃ ৬০০০, মুসলিমঃ ৭১৪৮-৭১৫১

আল কুর’আনে ইরশাদ হয়েছে–

৬:৫৪ وَ اِذَا جَآءَکَ الَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِاٰیٰتِنَا فَقُلۡ سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ کَتَبَ رَبُّکُمۡ عَلٰی نَفۡسِهِ الرَّحۡمَۃَ ۙ اَنَّهٗ مَنۡ عَمِلَ مِنۡکُمۡ سُوۡٓءًۢ ابِجَهَالَۃٍ ثُمَّ تَابَ مِنۡۢ بَعۡدِهٖ وَ اَصۡلَحَ فَاَنَّهٗ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ

আর যারা আমাদের আয়াতসমূহে ঈমান আনে, তারা যখন আপনার কাছে আসে তখন তাদেরকে আপনি বলুন তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, তোমাদের রব তার নিজের উপর দয়া লিখে নিয়েছেন। তোমাদের মধ্যে কেউ অজ্ঞতাবশত যদি খারাপ কাজ করে, তারপর তওবা করে এবং সংশোধন করে, তবে নিশ্চয় তিনি (আল্লাহ) ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সূরা আনয়ামঃ৫৪

قَالَ عَذَابِيْۤ اُصِيْبُ بِهٖ مَنْ اَشَآءُ  وَ رَحْمَتِيْ وَ سِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ.

আল্লাহ বললেন, আমি আমার শাস্তি যাকে ইচ্ছা করি দিয়ে থাকি আর আমার দয়া সে তো প্রত্যেক বস্তুতে ব্যাপ্ত। সূরা আ‘রাফ (৭) : ১৫৬

এ ধরনের দো’আ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও করতেন এবং উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলতেনঃ

اللَّهُمَّ مَا قَضَيْتَ لَنَا مِنْ قَضَاءٍ فَاجْعَلْ عَاقِبَتَهُ رُشْدًا

“হে আল্লাহ! আমাদের জন্য আপনি যা ফয়সালা করেছেন সেগুলোর সুন্দর সমাপ্তি দিন”। [আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৩৯;মুসনাদে আহমাদ: ৪/১৮১]

হযরত মুসা আ এর জীবনেও আমরা দেখতে পাই যে, তিনি যখন দূর্ঘটনা হয়ে যাওয়া(একজন কিবতী মারা যায় তার হাতের আঘাতে) পর দেশ থেকে পালিয়ে দূরে চলে গেলেন এবং মূসা আলাইহিস সালাম বিদেশে অনাহারে কাটাচ্ছেন। তিনি এক গাছের ছায়ায় এসে আল্লাহ তা’আলার সামনে নিজের অবস্থা ও অভাব পেশ করলেন। এটা দোআ করার একটি সূক্ষ পদ্ধতি। خير শব্দটির অর্থ কল্যাণ। এখানে তিনি আহার্য হতে শুরু করে যাবতীয় কল্যাণের জন্য আল্লাহ তা’আলার মুখাপেক্ষী হলেন। [কুরতুবী]

মূসা (আলাইহিস সালাম) কল্যাণ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হয়ে বলেছিলেন,

رَبِّ اِنِّیۡ   لِمَاۤ  اَنۡزَلۡتَ اِلَیَّ  مِنۡ خَیۡرٍ  فَقِیۡرٌ.

‘হে আমার রব! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবেন আমি তার কাঙ্গাল’ (সূরা আল-ক্বাছাছ : ২৪)।

রাসূল সা যখন হিজরতের সময় সওর গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই বর্ণনা আমরা জানতে পারি–

কুর’আনে বলা হয়েছে–

যদি তোমরা তাকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ তো তাকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফেররা তাকে বহিস্কার করেছিল এবং তিনি ছিলেন দুজনের দ্বিতীয়জন, যখন তারা উভয়ে গুহর মধ্যে ছিল; তিনি তখন তার সঙ্গীকে বলেছিলেন, বিষন্ন হয়ে না, আল্লাহ তো আমাদের সাথে আছেন। অতঃপর আল্লাহ তার উপর তার প্রশান্তি নাযিল করেন এবং তাকে শক্তিশালী করেন এমন এক সৈন্যবাহিনী দ্বারা যা তোমরা দেখনি এবং তিনি কাফেরদের কথা হেয় করেন। আর আল্লাহর কথাই সমুন্নত এবং আল্লাহ পরক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। সূরা তাওবাঃ ৪০

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) বলেছেন, (হিজরতের সময়) আমি আমাদের মাথার উপরে মুশরিকদের পা দেখতে পেলাম, যখন আমরা গুহায় ছিলাম। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যদি তাদের কেউ স্বীয় পায়ের দিকে তাকায়, তবে সে আমাদেরকে দেখে ফেলবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, হে আবূ বকর! তুমি এমন দুই লোক সম্পর্কে কি ধারণা পোষণ কর, যাদের তৃতীয়জন হলেন স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা। সহীহ: বুখারী ৩৬৫৩, ৪৬৬৩, মুসলিম ১-(২৩৮১),

১৮:১১ فَضَرَبۡنَا عَلٰۤی اٰذَانِهِمۡ فِی الۡکَهۡفِ سِنِیۡنَ عَدَدًا

১১. অতঃপর আমরা তাদেরকে গুহায় কয়েক বছর ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম,

فَضَرَبْنَا অতঃপর আমরা (ঘুমের পর্দা) দিলাম

ءَاذَانِهِمْ কানগুলোর তাদের   سِنِينَ বছর    عَدَدًا কয়েক

(فَضَرَبْنَا عَلَىٰ آذَانِهِمْ) এর শাব্দিক অর্থ কর্ণকুহর বন্ধ করে দেয়া। অচেতন নিদ্রাকে এই ভাষায় ব্যক্ত করা হয়। কেননা, নিদ্রায় সর্বপ্রথম চক্ষু বন্ধ হয়, কিন্তু কান সক্রিয় থাকে। আওয়াজ শোনা যায়। অতঃপর যখন নিদ্রা পরিপূর্ণ ও প্রবল হয়ে যায়, তখন কানও নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে। জাগরণের সময় সর্বপ্রথম কান সক্রিয় হয়। আওয়াজের কারণে নিদ্রিত ব্যক্তি সচকিত হয়, অতঃপর জাগ্রত হয়। [দেখুন, কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর]

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ‘কানে ঘুমের পর্দা দেওয়া’ বাক্যের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কেননা মানুষের ‘অষ্টম ক্রানিয়াল নার্ভ’( The vestibulocochlear nerve consists of the vestibular and cochlear nerves,)   (করোটি-ইন্দ্রিয়)-এর ভেতরের অংশ দুই ভাগে বিভক্ত, যার এক অংশ শ্রবণশক্তি হিসেবে কাজ করে এবং অপর অংশ শরীর ও দেহের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে। ঘুমের মধ্যে এই ‘নার্ভ’ সচল থাকে। ফলে শব্দ হলে ঘুম ভেঙে যায় এবং ঘুমের মধ্যে আমরা অবস্থান পরিবর্তন করি। (https://bit.ly/2T3LOci)| কোরআনের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ক্রানিয়াল নার্ভের একটি ফাংশন বন্ধ ছিল; ফলে বাইরের শব্দ তাঁদের ঘুম ভাঙত না আর একটি ফাংশন সক্রিয় ছিল ফলে তাঁরা পার্শ্ব পরিবর্তন করতেন। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, কিন্তু তারা ছিল নিদ্রিত। আমি তাদের পার্শ্ব পরিবর্তন করাতাম ডান দিকে ও বাঁ দিকে। …’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ১৮) সংগৃহিত

১৮:১২ ثُمَّ بَعَثۡنٰهُمۡ لِنَعۡلَمَ اَیُّ الۡحِزۡبَیۡنِ اَحۡصٰی لِمَا لَبِثُوۡۤا اَمَدًا

১২. পরে আমরা তাদেরকে জাগিয়ে দিলাম জানার জন্য যে, দু’দলের মধ্যে কোনটি তাদের অবস্থিতিকাল সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে।

এই দু’টি দল বলতে তারা, যারা মতবিরোধ করেছিল। এরা হয়তো সেই যুগেরই মানুষ ছিল, যাদের মধ্যে এদের ব্যাপারে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। অথবা নবী (সাঃ)-এর যুগের মু’মিন ও কাফেররা। আবার কেউ বলেছেন, এরা ছিল গুহারই অধিবাসী। তাদের মধ্যে দু’টি দল হয়ে গিয়েছিল। একদল বলল, আমরা এত দিন এখানে ঘুমিয়ে ছিলাম। অন্য দল এ কথা অস্বীকার করে প্রথম দলের চেয়ে কিছু কম-বেশী সময়-কাল বলল।

সংগৃহিত তাফসিরে যাকারিয়া, আহসানুল বায়ান, তাফহিমুল কুর’আন

সূরা কাহফের ১০ আয়াত মুখস্থের জন্য-

https://www.youtube.com/watch?v=jmTvWYN6pDo