সূরা আবাসা সংক্ষিপ্ত তাফসীর-৩

 

ذْكِرَةٌ শব্দটি দিয়ে উপদেশবানী যা আল কুর’আনকে নির্দেশ করেছে।

আমাদের সমাজে এমনও কিছু মুসলিম আবেদ আছেন যারা বলে থাকেন, কুর’আন মহান আল্লাহর বানী এটা বুঝা সবার পক্ষে সম্ভব নয় তাই কুর’আনের বানী নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বা তাফসীরের অধ্যয়ন করেন না, শুধুমাত্র তেলাওয়াতে সীমাবদ্ধ থাকেন। অথচ মহান আল্লাহ স্বয়ং জানিয়ে দিয়েছেন এই কুর’আন সম্পর্কে। চলো আপুরা আজ সেই সম্পর্কে একটু বিস্তারিত যাই-

এই সূরাতে বলা হয়েছে সাধারনভাবে সবার জন্য যে, কুর’আন মহান রবের পাঠানো উপদেশবানী সুতরাং যার ইচ্ছা গ্রহন করুক। তাহলে উপদেশ বানী না পড়লে কিভাবে বুঝবে যে উপদেশবানী?

কুরআনের পঠন-পাঠন, তিলাওয়াত ও অধ্যয়ন এবং কুরআনের অনুশাসন মেনে চলাকে আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন বলে সূরা আল-কামারে মোট চারবার ঘোষণা দিয়েছেন।

মহান আল্লাহতা’আলা বলেছেন-

আমরা এই কোরআনকে উপদেশ গ্রহনের জন্য সহজ মাধ্যম বানিয়েছি। এ হতে উপদেশ গ্রহনের কেউ আছে কি?                সূরা আল ক্বামারঃ ১৭

আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবর্তীর্ণ করেছি; এতে তোমাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে। তোমরা কি বুঝ না?                 সূরা আম্বিয়াঃ ১০

সুতরাং সৃষ্টি কর্তা নিজেই বলে দিয়েছেন এই কুর’আন সহজ মাধ্যম তাহলে আমাদের এর বিপরীত কথা বলে এর অধ্যয়ন থেকে দূরে থাকাটা অবশ্যই মহান প্রতিপালক ভিন্ন অন্য কোন তাগুদের আহবান! ঈমানের শর্তের মাঝে কিতাবের প্রতি বিশ্বাসের জায়গাটি এখানে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।

কুরআনকে সহজ করে দিয়ে আল্লাহ আমাদের উপর বড়ই অনুগ্রহ করেছেন। তা না হলে এটা অন্য ধর্মের মত পুরোহিতদের কঠিন নিয়ন্ত্রণেই আবদ্ধ থাকত। অতএব আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কে আছেন কুরআনের দিকে সর্বান্তকরণে এগিয়ে আসবেন, কুরআনের উপদেশ গ্রহণ করবেন, কুরআন শিখবেন এবং কুরআনের মর্মবাণী উপলব্ধি করে জীবনকে কুরআনের রঙে রঙিন করবেন?

মহান আল্লাহ আরো জানিয়েছেন-

এটি এক বহু বরকতসম্পন্ন কিতাব যা আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যেন লোকেরা এর আয়াতগুলো সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে এবং জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিবেকসম্পন্ন লোকেরা তা হতে সতর্কবানী গ্রহন করে।

সূরা সাদঃ ২৯

এই আয়াতেও বলা হয়েছে সাধারন সব লোকেরাই এই আয়াতগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে এবং শুধুমাত্র যে গ্রহন করবে তাকে বলা হয়েছে জ্ঞান বুদ্ধি সম্পন্ন ও বিবেক সম্পন্ন।

রাসূল(স:) বলেছেন: মহান রাব্বুল ইজ্জত বলেন, কুরআন(চর্চার ব্যস্ততা) যাকে আমার যিকির ও আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করতে বিরত রেখেছে আমি তাকে আমার কাছে যারা চায় তাদের চেয়ে অনেক উত্তম পুরস্কার দিব। সব কালামের উপর আল্লাহর কালামের মর্যাদা এত অধিক যত অধিক আল্লাহর মর্যাদা তাঁর সকল সৃষ্টির উপর।                  জামে আত তিরমিযীঃ২৮৬১

এই হাদীসে কুর’আনের জ্ঞান চর্চার ব্যস্থতায় যদি কেউ যিকির বা দু’আ করতে সময় না পায় তাহলে মহান আল্লাহ তাদেরকে যারা চায় তাদের থেকে বেশী উত্তম পুরষ্কার দিবেন বলে জানিয়েছেন। এখান থেকেও বুঝা যায় কুর’আনকে অধ্যয়নের জন্য সময় দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ বলেছেন-

আমরা যাদেরকে কিতাব দিয়েছি, তারা তা যথোপযুক্তভাবে পড়ে, তারা তার প্রতি নিষ্ঠা সহকারে ঈমান আনে। তার প্রতি যারা কুফরী করে মূ্লতঃ তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।            সূরা আল বাকারাঃ ১২১

এখানেও কুর’আনের হক আদায় করে যথোপযুক্তভাবে পড়ার কথা বলা হয়েছে। এখানে তিলাওয়াতের হক বলতে বুঝায়-

কুর’আনের অর্থ বুঝে তাজবিদের সাথে তিলাওয়াত করা ও সেই অনুযায়ী আমল করা।

আলিফ-লাম-রা; এটি একটি গ্রন্থ, যা আমি আপনার প্রতি নাযিল করেছি-যাতে আপনি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন-পরাক্রান্ত, প্রশংসার যোগ্য পালনকর্তার নির্দেশে তাঁরই পথের দিকে।

সূরা ইবরাহীমঃ১

আজ সমাজে মানুষ সুখ শান্তি ও আলোর সন্ধানে মরিয়া হয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ছুটে বেড়াচ্ছে, কেউ কি সঠিকভাবে তা পাচ্ছে? আরো হন্যে হয়ে খুঁজে খুঁজে বিভিন্নভাবে নিজেদের এমন এমন পদ্ধতিতে ব্যস্থ রেখে অন্যকেও বলে যাচ্ছে- এসো এইভাবে শান্তি লাভ হয় কিন্তু আসলে তারাও জানে সত্যিকার শান্তির পথ তারা পায়নি। অথচ মহান আল্লাহ ঘোষনা দিয়ে জানিয়ে আহবান করেছেন বিভিন্নভাবে, উপমার সাহায্যেও কোন্ পথে শান্তি বা আলো। সেই আলোর ও শান্তির পথ পেতে চাইলে কুর’আনকে পড়ে বুঝতে হবে, চিন্তা করে অনুধাবন করতে হবে এবং আনুগত্য ও অনুসরন করে যেতে হবে ও মহান আল্লাহর দরবারে সাহায্য চাইতে থাকতে হবে।

একজন ঈমানদারের নিকট কুর’আনের ৫টি দাবী-

  • মেনে নেয়া
  • পাঠ করা
  • অনুধাবন বা উপলব্ধি করা
  • নির্দেশ অনুযায়ী আমল করা
  • অন্যের কাছে এর বানী পৌছানো।

কুরআন বুঝা এবং কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা শুধু আলেমদের মধ্যেই ইসলাম সীমাবদ্ধ রাখেনি। বরং প্রত্যেক মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে ঐ পরিমাণ কুরআন চর্চা করা, যতটুকু সাধ্য আল্লাহ তাকে দিয়েছেন এবং যতটুকু জ্ঞান, বুদ্ধি ও বুঝ তার রয়েছে। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সকলকেই কুরআন বুঝা ও তা নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার প্রতি আহবান করেছেন। কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীকে তিনি বিশেষভাবে এ দায়িত্ব দেননি। কুরআন বুঝা ও গবেষণা যদি কোন একদল লোকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করা হত তাহলে কুরআনের কল্যাণ সীমিত হয়ে যেত এবং আয়াতের আহবান স্পষ্টভাবে শুধু তাদের ব্যাপারেই ব্যক্ত করা হত, কিন্তু কুরআনের আহবান এমনটি নয় – এটা উম্মাহর সকলেরই জানা।

ইবন আববাস রা. বলেন, কুরআনের তাফসীর চারভাগে বিভক্ত;

একভাগ আরবরা তাদের নিজেদের কথা থেকেই জানে।

দ্বিতীয় প্রকার তাফসীর না বুঝার ওজর কারো পক্ষ থেকেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তৃতীয় প্রকার তাফসীর অনুধাবন শুধু আলেমগণের পক্ষেই সম্ভব।

আর চতুর্থ প্রকার আল্লাহ ছাড়া আর কেই জানেন না।                ইমাম ইবন জারীর, তাফসীর ইবন জারীর, ১/৫৭

তন্মধ্যে যে তাফসীর না বুঝার ক্ষেত্রে কারো ওজর শরীয়তে গ্রহণযোগ্য নয় তা হলো কুরআনে যে সব আহকাম ও বিধান স্পষ্ট, হৃদয়কে নাড়া দেয়া সুন্দর উপদেশাবলী, শক্তিশালী ও সুস্পষ্ট দলীল ও প্রমাণসমূহ এবং সে সব সাধারণ বক্তব্য যা আয়াত থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায়।

কিভাবে আমরা সঠিকভাবে কুরআন বুঝব?

কুরআন সঠিকভাবে বুঝার জন্য কুরআন গবেষণার সঠিক নিয়ম-নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। নিম্নে সে সব নিয়ম-নীতির  গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরছি।

১।   কুরআন বুঝার সহজ পথ অনুসরণ। এ পথটির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে :

এক :   কুরআনের তাফসীর প্রথমত কুরআন দিয়ে করা, তারপর সুন্নাহ দিয়ে এবং তারপর সাহাবাগণের বক্তব্যের মাধ্যমে। তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হল কুরআন দিয়ে কুরআনের ব্যাখ্যা করা। যদি কেউ কুরআনকে

বিশুদ্ধরূপে বুঝতে চায় তাহলে তার উচিত সামগ্রিকভাবে কুরআনের প্রতি দৃষ্টি দেয়া এবং পুরো আয়াতের পূর্বাপর বক্তব্যের প্রতি খেয়াল রাখা। পাশাপাশি অন্য সূরায় যদি একই বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত

আয়াত থাকে তাহলে সে আয়াতের অর্থ কি তা জেনে নেয়া।

দুই :    আসবাবুন নুযূল তথা নাযিলের কারণ ও প্রেক্ষাপট জানা। আল-কুরআন মূলত আল্লাহর কালাম বা বক্তব্য, যার একটি শাব্দিক অর্থ রয়েছে। অনেক সময়ই সে শাব্দিক অর্থ বুঝার জন্য প্রয়োজন সার্বিক

প্রেক্ষাপট ও যাদের উদ্দেশ্যে সম্বোধন তাদের বিষয়টি অবগত হওয়া।

তিন :    আরবী ভাষা জানা আবশ্যক। কুরআন সুস্পষ্ট আরবী ভাষায় নাযিল হয়েছে। আরবী ভাষা জানা থাকলে  সঠিকভাবে কুরআন বুঝা সহজ হয়। সাথে সাথে কথায়, কাজে ও কুরআন নাযিলের নানা

প্রেক্ষাপটে  আরবদের ‘আদাত ও প্রথার সাথে পরিচিত হতে হবে।

এ তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে যে তাফসীরগুলো করা হয়েছে  সেগুলোর অধ্যয়ন আমাদেরকে কুরআন সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। ( ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী)

২।  যা উপকারী ও সবার জন্য মঙ্গলজনক কুরআন বুঝা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সবসময় তাতেই নিজেকে সম্পৃক্ত ও নিয়োজিত রাখতে হবে। আর যা উপকারী ও প্রয়োজনীয় নয় তা এড়িয়ে যেতে হবে। আল্লাহ নিজেও

মানুষের নানা অপ্রয়োজনীয় প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে উত্তরে এমন বিষয় সমূহ তুলে ধরেছেন যা মানুষের জন্য কল্যাণকর। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ পাই আমরা নিম্নোক্ত আয়াতটিতে। আল্লাহ বলেন,

‘‘তারা তোমাকে নতুন চাঁদসমূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘তা মানুষের ও হজ্জের জন্য সময় নির্ধারক’। আর ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা পেছন দিক দিয়ে গৃহে প্রবেশ করবে। কিন্তু ভাল কাজ হল, যে

                         তাকওয়া অবলম্বন করে। আর তোমরা গৃহসমূহে তার দরজা দিয়ে প্রবেশ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও। সূরা আল-বাকারাহ : ১৮৯

এ আয়াতটিতে লোকেরা চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। হয়তো তারা জানতে চেয়েছে চাঁদটা শুরুতে কেন ছোট থাকে তারপর বড় হয়, অথবা চাঁদের হাকীকত কি কিংবা চাঁদের উপকারিতা কি ইত্যাদি। কিন্তু

আল্লাহ সরাসরি তাদের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন যা জানার মাধ্যমে সবাই উপকৃত হয়। এমন উদাহরণ কুরআনে আরো অনেক আছে।

৩।    কুরআনের মৌলিক মাকাসিদ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে রাখা, যা কুরআনিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এবং যা কুরআনে পৌনপুনিকভাবে এসেছে। যেমন কুরআন সবচেয়ে বেশী আলোচনা করেছে ও গুরুত্ব

দিয়েছে তাওহীদের বাস্তবায়ন, শির্ককে প্রত্যাখ্যান, ঈমান ও ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহের উপর। অতএব এগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা রেখেই কুরআন বুঝার চেষ্টা করতে হবে।

৪।    আল্লাহর সুন্দর নামগুলো এবং যে সকল আয়াতে সেগুলো এসেছে এতদুভয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন ও সমন্বয় সাধন। অনেক সময় দেখা যায় আয়াত শেষ হয় আল্লাহর কোন একটি নাম দিয়ে। মনে রাখতে হবে

আল্লাহর ঐ বিশেষ নাম আয়াতের শেষে উল্লেখ করার একটা Significance আছে যেমন রহমতের আয়াত শেষ করা হয় আল্লাহর রহমতসূচক নাম দিয়ে, আবার আযাব ও শাস্তির আয়াতগুলো শেষ হয় শক্তি,

ক্ষমতা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও কর্তৃত্বসূচক নাম দ্বারা। আরো বেশী সতর্ক থাকতে হবে যাতে আল্লাহর গুণবাচক কোন নামকে তার প্রকৃত অর্থ থেকে তাবীল করা না হয়।

৫।      আয়াতের প্রাসঙ্গিক ও আনুষাঙ্গিক অর্থ সহ আয়াতকে বুঝতে হবে অর্থাৎ যে সব বিষয়ের উপর আয়াতের অর্থ বুঝা নির্ভরশীল সেগুলো সহ আয়াতটিকে বুঝার চেষ্টা করতে হবে। যেমন আল্লাহ বলেছেন,

‘‘হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। সূরা আল-মায়িদাহ : ৬

এখানে অযুর ফরযিয়াতের কথা বলা হয়েছে। তবে জানা কথা অযুর জন্য পানি দরকার, সে পানি অর্জনের জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা প্রয়োজন। অতএব অযু করার জন্য যত কাজের প্রয়োজন সবকিছু এ

নির্দেশটির অন্তর্ভূক্ত হবে।

৬।           বৈজ্ঞানিক তথ্য ও সাম্প্রতিক কালের আবিষ্কারের বিষয়গুলোকে কুরআনের বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সঙ্গতিপূর্ণ করা। তবে সতর্ক থাকতে হবে যে কুরআন বৈজ্ঞানিক তথ্য দেয়ার জন্য নাযিল করা হয়নি।

সুতরাং সকল বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের ভান্ডার এটি নয়। আর এ বিশ্বাসও জরুরী যে, কুরআনের সকল বৈজ্ঞানিক তথ্যই সঠিক। তবে সমস্যার সৃষ্টি হয় যখন বৈজ্ঞানিক Facts নয় এমন বিষয়গুলোকে বিজ্ঞানের বিষয়

মনে করে আমরা কুরআনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় প্রবৃত্ত হই। এক্ষেত্রে পাঠকের কাছে কুরআন ও বিজ্ঞানের মধ্যে Contradiction আছে বলে মনে হতে পারে এবং এ জন্য পাঠকের অসতর্কতাই দায়ী। কুরআনে

মহাসত্যের বিপরীত কিছু নেই। বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে আমাদের কুরআন বুঝার চেষ্টা করতে হবে। ( ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী)

 

আল কুর'আনের পরিচয়-১

 

আল কুর'আনের পরিচয়-২আল কুর'আনের পরিচয়-৩