আন নাবার শাব্দিক অর্থ বিশেষ খবর। এখানে এই শব্দটি দিয়ে কিয়ামতকে বুঝানো হয়েছে।
কিয়ামত ও আখেরাত অবশ্যই সংঘটিত হবে তার প্রমান পেশ ও ঈমান না আনার পরিনতি সম্পর্কে এই সূরায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ এই পৃথিবীর সকল কিছুই একটি পরিকল্পিত সুশৃংখল নিয়মের অধীন করে সুন্দরভাবে ভারসাম্যপূর্ন করে প্রানিকূলের প্রয়োজন মিটানোর জন্য সাজিয়ে দিয়েছেন। প্রতিটি মানুষ একটু চিন্তশীল অন্তর চক্ষু দিয়ে তাকালেই বুঝতে পারবে যে মহান আল্লাহ এইগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি এবং যেভাবে এইগুলো সাজিয়ে দিয়েছেন আবার সেইভাবেই মহান শক্তিধর পরাক্রমশালী প্রতিপালক সকল কিছু ধ্বংস করে আবার সকলকে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য হাযির করবেন এক খোলা ময়দানে।
এখানে বর্ননা দেয়া হয়েছে কিভাবে এতো সুন্দর সাজানো গুছানো ও দৃঢ় অবস্থানে থাকা আকাশ,পৃ্থিবী,পাহাড়কে ধ্বংস করে দেয়া হবে।
এখানে শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার কথা বলা হয়েছে তা ২য় বা শেষ ফুঁকের কথা বলা হয়েছে।
কেয়ামত সংঘটনে দু বার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে যা কুর’আন ও হাদীস দিয়ে প্রমানিত।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ প্রসঙ্গে বলেন:
আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। ফলে আল্লাহ যাদেরকে ইচ্ছা করেন তারা ছাড়া আসমানসমূহে যারা আছে এবং পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই বেহুঁশ হয়ে পড়বে। তারপর আবার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তারা দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে। আর যমীন তার রবের নূরে আলোকিত হবে, আমলনামা উপস্থিত করা হবে এবং নবী ও সাক্ষীগণকে আনা হবে, তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে। এমতাবস্থায় যে, তাদের প্রতি যুলম করা হবে না।
(সূরা যুমার: ৬৮-৬৯)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ প্রসঙ্গে আরো বলেন:
আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা কবর থেকে তাদের রবের দিকে ছুটে আসবে। (সূরা ইয়াসীন: ৫১)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ প্রসঙ্গে আরো বলেন:
আর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, সেদিন আসমানসমূহ ও যমীনে যারা আছে সবাই ভীত হবে; তবে আল্লাহ যাদেরকে চাইবেন তারা ছাড়া। আর সবাই তাঁর কাছে হীন অবস্থায় উপস্থিত হবে। (সূরা আল নামল: ৮৭)
এ আয়াতসমূহ থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম :
১- প্রথম শিঙ্গা ফুৎকারে আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে যারা থাকবে সকলেই বেহুশ হয়ে যাবে। তবে আল্লাহ যাদের রক্ষা করবেন তারা বেহুশ হবে না।
২- দ্বিতীয় বার শিঙ্গা ফুঁক দিলে সকলেই জীবিত হয়ে উঠবে।
৩- দুই বার শিঙ্গা ফুকের বিষয়টি প্রমাণিত হল।
৪- দ্বিতীয় বার শিঙ্গায় ফুৎকারের পর পৃথিবী আলোকিত হবে। হিসাব-নিকাশ শুরু হবে।
৫- দ্বিতীয় আয়াতে যে শিঙ্গা ফুৎকারের কথা এসেছে সেটা দ্বিতীয় ও শেষ ফুঁৎকার।
৬- তৃতীয় আয়াতে যে ফুৎকারের কথা আলোচিত হয়েছে সেটা হল প্রথম ফুৎকার।
৭- শুধু পৃথিবীর অধিবাসীরা নয়। আকাশের অধিবাসীরাও কেয়ামতের ভয়াবহতায় কম্পিত হবে।
হাদীসে এসেছে :
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: দুই শিঙ্গায় ফুৎকারের মধ্যে সময় হল চল্লিশ। লোকেরা প্রশ্ন করল, হে আবু হুরাইরা উহা কি চল্লিশ দিন? আমি (আবু হুরাইরা) না বললাম। তারা জিজ্ঞেস করল, তাহলে কি চল্লিশ মাস? আমি বললাম, না। তারা জিজ্ঞেস করল তাহলে কি চল্লিশ বছর? আমি বললাম, না। রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: এরপর আল্লাহ তাআলা আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করবেন। তখন মানুষেরা জেগে উঠবে যেমন উদ্ভিদ উদগত হয়। মানুষের দেহের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। থাকবে শুধু মেরুদন্ডের একটি হাড্ডি। আর এটি দিয়েই কেয়ামতের দিন সৃষ্টিজীবকে আবার তৈরী করা হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
হাদীসটি থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম :
১- কেয়ামত সংঘটনে দু বার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত এ হাদীসটি থেকে আমরা তা জানতে পারলাম। অবশ্য বেশ কিছু আলেম তিন বার বা চার বার শিঙ্গা ফুকেঁর কথা বলেছেন। কিন্তু আল কুরআনের আয়াত ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত দু বার শিঙ্গা ফুকেঁর বিষয়টি অধিকতম বিশুদ্ধ।
২- দু ফুৎকারের মাঝে সময় চল্লিশ দিন না মাস না বছর? কোনটি আসলে উদ্দেশ্য? বিভিন্ন হাদীসে চল্লিশ বছরের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সে হাদীসগুলো দুর্বল সুত্রের। আসল কথা হলো বিষয়টি অস্পষ্ট রাখা হয়েছে।
৩- কেয়ামতের সময় কবরে মানুষের দেহের কোন কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। শুধু একটি মেরুদন্ডের হাড় ( যা বলা হয় কক্সিস) আল্লাহ তাআলা অক্ষত রাখবেন। সেটি দিয়ে মানুষকে আবার সৃষ্টি করবেন।
আরো জানার জন্য এই লিঙ্কে যেতে পারেন——- https://islamqa.info/en/49009
দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ’তায়ালার নামে
প্রশ্ন ও উত্তর
সূরা আন নাবা
১ম রুকু
১। সূরাটি পবিত্র কুর’আনের কততম সূরা? সূরাটির নামের অর্থ কি?
২। সূরাটিতে কতটি রুকু ও আয়াত আছে?
৩। সূরাটি রাসূল স.এর জীবনের কোন পর্যায়ে নাযিল হয়েছিল?
৪। এই সূরাতে নাবা শব্দটি দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন?
৫। এই সূরার মূল আলোচ্য বিষয় কি?
৬। এই সূরার ১ম রুকুতে মহান আল্লাহ কি কি নি’আমত নিদর্শন
হিসেবে উল্লেখ করেছেন?
৭। এই সকল নি’আমতের উল্লেখ করার উদ্দেশ্য কি?
৮। এখানে শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার কথা বলা হয়েছে তা কোন ফুঁকের
কথা বলা হয়েছে।
৯। মোট কতবার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার কথা কুর’আনে এসেছে?
১০। জাহান্নামের কোন শাস্তির কথা উল্লেখ হয়েছে এখানে?
১১। এই জাহান্নামে যাওয়ার কারন এখানে কি উল্লেখিত হয়েছে?
১২। এই রুকু থেকে আমরা কি শিক্ষা পেলাম?
১৩। আমাদের করনীয় কি?
আল কুরআনের ৩০তম সূরা
(সূরা আন নাবা)
১ম রুকুর প্রশ্নের উত্তর সমূহঃ
৮নং প্রশ্নের উত্তরঃ এখানে শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার কথা বলা হয়েছে তা ২য় বা শেষ ফুঁকের কথা বলা হয়েছে।
৯নং প্রশ্নের উত্তরঃ কেয়ামত সংঘটনে দু বার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে যা কুর’আন ও হাদীস দিয়ে প্রমানিত।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ প্রসঙ্গে বলেন:
আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। ফলে আল্লাহ যাদেরকে ইচ্ছা করেন তারা ছাড়া আসমানসমূহে যারা আছে এবং পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই বেহুঁশ হয়ে পড়বে। তারপর আবার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তারা দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে। আর যমীন তার রবের নূরে আলোকিত হবে, আমলনামা উপস্থিত করা হবে এবং নবী ও সাক্ষীগণকে আনা হবে, তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে। এমতাবস্থায় যে, তাদের প্রতি যুলম করা হবে না। (সূরা যুমার: ৬৮-৬৯)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ প্রসঙ্গে আরো বলেন:
আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা কবর থেকে তাদের রবের দিকে ছুটে আসবে। (সূরা ইয়াসীন: ৫১)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ প্রসঙ্গে আরো বলেন:
আর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, সেদিন আসমানসমূহ ও যমীনে যারা আছে সবাই ভীত হবে; তবে আল্লাহ যাদেরকে চাইবেন তারা ছাড়া। আর সবাই তাঁর কাছে হীন অবস্থায় উপস্থিত হবে। (সূরা আল নামল: ৮৭)
এ আয়াতসমূহ থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম :
১- প্রথম শিঙ্গা ফুৎকারে আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে যারা থাকবে সকলেই বেহুশ হয়ে যাবে। তবে আল্লাহ যাদের রক্ষা করবেন তারা বেহুশ হবে না।
২- দ্বিতীয় বার শিঙ্গা ফুঁক দিলে সকলেই জীবিত হয়ে উঠবে।
৩- দুই বার শিঙ্গা ফুকের বিষয়টি প্রমাণিত হল।
৪- দ্বিতীয় বার শিঙ্গায় ফুৎকারের পর পৃথিবী আলোকিত হবে। হিসাব-নিকাশ শুরু হবে।
৫- দ্বিতীয় আয়াতে যে শিঙ্গা ফুৎকারের কথা এসেছে সেটা দ্বিতীয় ও শেষ ফুঁৎকার।
৬- তৃতীয় আয়াতে যে ফুৎকারের কথা আলোচিত হয়েছে সেটা হল প্রথম ফুৎকার।
৭- শুধু পৃথিবীর অধিবাসীরা নয়। আকাশের অধিবাসীরাও কেয়ামতের ভয়াবহতায় কম্পিত হবে।
হাদীসে এসেছে :
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: দুই শিঙ্গায় ফুৎকারের মধ্যে সময় হল চল্লিশ। লোকেরা প্রশ্ন করল, হে আবু হুরাইরা উহা কি চল্লিশ দিন? আমি (আবু হুরাইরা) না বললাম। তারা জিজ্ঞেস করল, তাহলে কি চল্লিশ মাস? আমি বললাম, না। তারা জিজ্ঞেস করল তাহলে কি চল্লিশ বছর? আমি বললাম, না। রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: এরপর আল্লাহ তাআলা আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করবেন। তখন মানুষেরা জেগে উঠবে যেমন উদ্ভিদ উদগত হয়। মানুষের দেহের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। থাকবে শুধু মেরুদন্ডের একটি হাড্ডি। আর এটি দিয়েই কেয়ামতের দিন সৃষ্টিজীবকে আবার তৈরী করা হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
হাদীসটি থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম :
১- কেয়ামত সংঘটনে দু বার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত এ হাদীসটি থেকে আমরা তা জানতে পারলাম। অবশ্য বেশ কিছু আলেম তিন বার বা চার বার শিঙ্গা ফুকেঁর কথা বলেছেন। কিন্তু আল কুরআনের আয়াত ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত দু বার শিঙ্গা ফুকেঁর বিষয়টি অধিকতম বিশুদ্ধ।
২- দু ফুৎকারের মাঝে সময় চল্লিশ দিন না মাস না বছর? কোনটি আসলে উদ্দেশ্য? বিভিন্ন হাদীসে চল্লিশ বছরের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সে হাদীসগুলো দুর্বল সুত্রের। আসল কথা হলো বিষয়টি অস্পষ্ট রাখা হয়েছে।
৩- কেয়ামতের সময় কবরে মানুষের দেহের কোন কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। শুধু একটি মেরুদন্ডের হাড় ( যা বলা হয় কক্সিস) আল্লাহ তাআলা অক্ষত রাখবেন। সেটি দিয়ে মানুষকে আবার সৃষ্টি করবেন।
কেয়ামতের ভয়াবহতা
যখন মানুষ কবর থেকে উঠে দাড়াবে তাদের বলা হবে, তোমরা আসো তোমাদের প্রতিপালকের কাছে, আর থামো, তোমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তখন সকল মানুষ হতাশায় আতঙ্কিত হয়ে পড়বে। পরাক্রমশালী এক অদ্বিতীয় প্রভুর সামনে সকলে মাথা নত করে দেবে। তারা সেদিন এ আহবানে সাড়া দিতে দৌড়াদৌড়ি আরম্ভ করে দেবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
সেদিন তারা আহ্বানকারীর (ফেরেশতার) অনুসরণ করবে। এর কোন এদিক সেদিক হবে না এবং পরম করুণাময়ের সামনে সকল আওয়াজ নিচু হয়ে যাবে। তাই মৃদু আওয়াজ ছাড়া তুমি কিছুই শুনতে পাবে না। (সূরা তা-হা, আয়াত ১০৮)
আর চিরঞ্জীব, চিরপ্রতিষ্ঠিত সত্তার সামনে সকলেই অবনত হবে। আর সে অবশ্যই ব্যর্থ হবে যে যুল্ম বহন করবে। এবং যে মুমিন অবস্থায় ভাল কাজ করবে সে কোন জুলুম বা ক্ষতির আশংকা করবে না।
(সূরা তা-হা আয়াত ১১১-১১২)
অতএব তাদেরকে ছেড়ে দাও, তারা (বেহুদা কথায়) মত্ত থাকুক আর খেল-তামাশা করুক যতক্ষণ না তারা দেখা পায় সেদিনের, যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হয়েছে। যেদিন দ্রুতবেগে তারা কবর থেকে বের হয়ে আসবে, যেন তারা কোন লক্ষ্যের দিকে ছুটছে অবনত চোখে। লাঞ্ছনা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে! এটিই সেদিন যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছিল। (সূরা মাআরিজ, আয়াত ৪২-৪৪)
পরকাল অস্বীকারকারীদের দুর্দিন
আমাদের মানব সমাজে বহু মানুষ আছে যারা পরকালকে অস্বীকার করে থাকে। তারা বলে থাকে দুনিয়ার জীবনই জীবন। যা দেখি না তা বিশ্বাস করি না। পরকাল
অস্বীকার করার ফলে তারা যে পরকালের শিকার হবে না তা কিন্তু নয়। কেহ আগুনের দাহ্য শক্তি অস্বীকার করলেও আগুন তাকে পেলে দগ্ধ করবেই।
আল্লাহ তাআলা এদের সম্পর্কে বলেন :
সেদিন ধ্বংস অস্বীকারকারীদের জন্য। যারা প্রতিদান দিবসকে অস্বীকার করে। আর সকল সীমালঙ্ঘনকারী পাপাচারী ছাড়া কেউ তা অস্বীকার করে না। যখন তার কাছে আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয় তখন সে বলে, পূর্ববর্তীদের রূপকথা। কখনো নয়, বরং তারা যা অর্জন করত তা-ই তাদের অন্তরসমূহকে ঢেকে দিয়েছে। কখনো নয়, নিশ্চয় সেদিন তারা তাদের রব থেকে পর্দার আড়ালে থাকবে। তারপর নিশ্চয় তারা প্রজ্জ্বলিত আগুনে প্রবেশ করবে। তারপর বলা হবে, এটাই তা যা তোমরা অস্বীকার করতে। (সূরা আল মুতাফফিফিন, আয়াত ১০-১৭)
আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা কবর থেকে তাদের রবের দিকে ছুটে আসবে। তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠালো? (তাদেরকে বলা হবে) এটা তো তা যার ওয়াদা পরম করুনাময় করেছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন। তা ছিল শুধুই একটি বিকট আওয়াজ, ফলে তৎক্ষণাৎ তাদের সকলকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে। সুতরাং আজ কাউকেই কোন যুলম করা হবে না এবং তোমরা যা আমল করছিলে শুধু তারই প্রতিদান তোমাদের দেয়া হবে। (সূরা ইয়াসীন, আয়াত ৫১-৫৪)
আর যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে কিয়ামতের দিন তুমি তাদের চেহারাগুলো কালো দেখতে পাবে। অহঙ্কারীদের বাসস্থান জাহান্নামের মধ্যে নয় কি? (সূরা যুমার, আয়াত ৬০)
আর তারা বলেছিল, আমাদের এ দুনিয়ার জীবন ছাড়া কিছু নেই এবং আমরা পুনরুজ্জীবিত হব না। আর যদি তুমি দেখতে যখন তাদেরকে দাঁড় করানো হবে তাদের রবের সামনে এবং তিনি বলবেন, এটা কি সত্য নয়? তারা বলবে, হ্যাঁ, আমাদের রবের কসম! তিনি বলবেন, সুতরাং তোমরা যে কুফরী করতে তার কারণে আযাব আস্বাদন কর। যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকার করেছে তারা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমনকি যখন হঠাৎ তাদের কাছে কিয়ামত এসে যাবে, তারা বলবে, হায় আফসোস! সেখানে আমরা যে ত্রুটি করেছি তার উপর। তারা তাদের পাপসমূহ তাদের পিঠে বহন করবে; সাবধান! তারা যা বহন করবে তা কত নিকৃষ্ট! আর দুনিয়ার জীবন খেলাধুলা ও তামাশা ছাড়া কিছু না। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। অতএব তোমরা কি বুঝবে না? (সূরা আল আনআম, আয়াত ২৯-৩২)
মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ! (তাদেরকে বলা হবে), তোমরা যা অস্বীকার করতে সেদিকে গমন কর। যাও তিন শাখা বিশিষ্ট আগুনের ছায়ায়, যা ছায়াদানকারী নয় এবং তা জাহান্নামের জ্বলন্ত অগ্নিশিখার মোকাবেলায় কোন কাজেও আসবে না। নিশ্চয় তা (জাহান্নাম) ছড়াবে প্রাসাদসম স্ফুলিঙ্গ। তা যেন হলুদ উষ্ট্রী। মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ! (সূরা আল মুরসালাত, আয়াত ২৮-৩৪)
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীসমূহ মুষ্ঠিবদ্ধ করা
মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা এরপর আকাশসমূহকে ডান হাতে আর পৃথিবীগুলোকে অন্য হাতে মুষ্ঠিবদ্ধ করবেন। অত:পর বলবেন, কোথায় শক্তিধর স্বৈরাচারীরা? কোথায় অহংকারীরা?
আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে বলেন:
আর তারা আল্লাহ-কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়নি। অথচ কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবীই থাকবে তাঁর মুষ্ঠিতে এবং আকাশসমূহ তাঁর ডান হাতে ভাঁজ করা থাকবে। তিনি পবিত্র, তারা যাদেরকে শরীক করে তিনি তাদের ঊর্ধ্বে। (সূরা যুমার, আয়াত ৬৭)
সে দিন আমি আসমানসমূহকে গুটিয়ে নেব, যেভাবে গুটিয়ে রাখা হয় লিখিত দলীল-পত্রাদি। যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম সেভাবেই পুনরায় সৃষ্টি করব। ওয়াদা পালন করা আমার কর্তব্য। নিশ্চয় আমি তা পালন করব। (সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত ১০৪)
হাদীসে এসেছে
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা পৃথিবী মুষ্ঠিবদ্ধ করবেন আর আকাশকে নিজ ডান হাতে ভাজ করে ধরবেন অতঃপর বলবেন, আমিই বাদশা। কোথায় আজ পৃথিবীর রাজা-বাদশাগণ? (বর্ণনায় : বুখারী ও মুসলিম)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা আকাশসমূহকে ভাঁজ করে ফেলবেন। অতঃপর তা ডান হাতে ধারণ করবেন আর বলবেন, আমি বাদশা। কোথায় আজ স্বৈরাচরীরা? কোথায় আজ অহংকারীরা? এরপর পৃথিবীগুলোকে বাম হাতে ভাঁজ করে ধরবেন। অত:পর বলবেন, কোথায় আজ স্বৈরাচরীরা? কোথায় আজ অহংকারীরা? (বর্ণনায় : মুসলিম)
হাশরের ময়দানের অবস্থা
হাদীসে এসেছে:
সাহল ইবনে সাআদ রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: কেয়ামতের দিবসে মানুষকে সাদা পোড়ামাটি রংয়ের উদ্ভিদহীন একটি যমীনে একত্র করা হবে। যেখানে কারো জন্য কোন আলামত থাকবে না। (বর্ণনায়: মুসলিম, হাদীস নং ২১৫০)
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি তিনি বলতেন: কেয়ামতের দিন মানুষকে উলঙ্গ, খালি পায়ে ও খতনাবিহীন অবস্থায় একত্র করা হবে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! পুরুষ ও নারী সকলকে একত্র করা হবে আর একজন অপর জনের দিকে তাকাবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: হে আয়েশা! সেদিন অবস্থা এমন ভয়াবহ হবে যে একজন অপর জনের দিকে তাকানোর ফুরসত পাবে না। (বর্ণনায়: বুখারী ও মুসলিম)
কাফেররা অন্ধ ও চেহারার উপর ভর করে উপস্থিত হবে :
আল্লাহ তাআলা বলেন:
আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়। সে বলবে, হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন? তিনি বলবেন, এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ১২৪-১২৬)
তিনি আরো বলেন:
আর আমি কিয়ামতের দিনে তাদেরকে একত্র করব উপুড় করে, অন্ধ, মূক ও বধির অবস্থায়। তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম; যখনই তা নিস্তেজ হবে তখনই আমি তাদের জন্য আগুন বাড়িয়ে দেব। (সূরা আল ইসরা, আয়াত ৯৭)
হাদীসে এসেছে:
আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিয়ামতের দিন কাফেরদের কিভাবে চেহারার উপর উপুর করে উঠানো হবে? তিনি বললেন: যে মহান সত্ত্বা দুনিয়াতে দু পা দিয়ে চলাচল করিয়েছেন, তিনি কি কিয়ামতের দিন মুখ-মন্ডল দিয়ে চলাচল করাতে পারবেন না? কাতাদা বললেন : অবশ্যই তিনি পারবেন, মহান রবের সম্মানের কসম করে বলছি। (বুখারী ও মুসলিম)
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: কেয়ামতের দিন মানুষ ঘর্মক্ত হবে। এমনকি যমীনের সত্তর হাত ঘামে ডুবে যাবে। তাদের ঘামে তারা কান পর্যন্ত ডুবে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন: কিয়ামত দিবসে সূর্য মানুষের খুব নিকটবর্তী হবে। এমনকি এর দুরত্ব এক মাইল পরিমাণ হবে। এ সম্পর্কে সুলাইম ইবনে আমের বলেন, আল্লাহর শপথ! মাইল বলতে এখানে কোন মাইল তিনি বুঝিয়েছেন আমি তা জানি না। জমির দূরত্ব পরিমাপের মাইল বুঝিয়েছেন, না সুরমাদানির মাইল (শলাকা) বুঝিয়েছেন? মানুষ তার আমল অনুযায়ী ঘামের মধ্যে থাকবে। কারো ঘাম হবে পায়ের গিরা বরাবর। কারো ঘামের পরিমাণ হবে হাটু বরাবর। কারো ঘামের পরিমাণ হবে কোমর বরাবর। আবার কারো ঘামের পরিমাণ হবে তার মুখ বরাবর। (বর্ণনায়: মুসলিম ২১৯৬)
হে আল্লাহর বান্দা! আপনি এভাবে চিন্তা করে দেখতে পারেন, আমার অবস্থা তখন কেমন হবে? আমি কি সেদিন সৌভাগ্যবান হবো না দুর্ভাগা? আমার জীবনের অধিকাংশ কাজ কি সৎ কাজ হয়েছে না পাপাচার বেশী হয়েছে? আমি কি মদ, ব্যভিচার, জুয়া, প্রতারণা, মিথ্যা কথা, দুর্নীতি, আমানতের খেয়ানত, অপরের সম্পদ আত্নসাৎ, অপরের মানহানি, অপরের দোষ চর্চা, অপবাদ, মিথ্যা মামলা-মুকাদ্দামা, সূদী কারবার, ঘুষ লেনদেন, খাবারে ভেজাল, ওয়াদা খেলাফী, ঋণ খেলাফী, ইসলামের শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব, ইসলাম অনুসারীদের নিয়ে উপহাস তামাশা ইত্যাদি অনৈতিক কাজগুলো পরিহার করে চলতে পেরেছি, না এগুলো ছিলো আমার জীবনের নিত্য দিনের সঙ্গী? কাজেই কেয়ামতের এ কঠিন দিনের মুখোমুখী হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ-কে ভয় করুন। সকল বিষয়ে আল্লাহ-কে ভয় করে সাবধানতার সাথে পথ চলুন। দুনিয়ার জীবনে একবার ব্যর্থ হলে তা কাটিয়ে উঠা যায়। কিন্তু কেয়ামতের সময়ের ব্যর্থতার কোন প্রতিকার নেই। কাজেই এখন থেকেই নিজের আমলের হিসাব নিজে করতে থাকুন।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
كَلَّا إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا ﴿21﴾ وَجَاءَ رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا ﴿22﴾ وَجِيءَ يَوْمَئِذٍ بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الْإِنْسَانُ وَأَنَّى لَهُ الذِّكْرَى ﴿23﴾ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي ﴿24﴾
কখনো নয়, যখন পৃথিবীকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হবে পরিপূর্ণভাবে। আর তোমার রব ও ফেরেশতাগণ উপস্থিত হবেন সারিবদ্ধভাবে। আর সেদিন জাহান্নামকে উপস্থিত করা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু সেই স্মরণ তার কী উপকারে আসবে? সে বলবে, হায়! যদি আমি কিছু আগে পাঠাতাম আমার এ জীবনের জন্য!’(সূরা আল ফাজর, আয়াত ২১-২৪)
যারা সে দিন আল্লাহ তাআলার ছায়াতে আশ্রয় পাবে
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : إن الله يقول يوم القيامة : أين المتحابون بجلالي . اليوم أظلهم في ظلي . يوم لا ظل إلا ظلي. (رواه مسلم 1988)
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন বলবেন, যারা পরস্পরকে ভালোবেসেছে আমারই জন্য তারা আজ কোথায়? আজ আমি তাদেরকে আমার ছায়ায় ছায়া দান করবো। আজ এমন দিন আমার ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া নেই। (বর্ণনায় : মুসলিম ১৯৮৮)
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ- رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ- صَلَّى الله ُعَلَيْهِ وَسَلَّمَ- قَالَ : سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللهُ فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لَا ظِلَّ إلَّا ظِلُّهُ: إمَامٌ عَادِلٌ، وَشَابٌّ نَشَأَ فِيْ عِبَادَةِ اللهِ، وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِيْ المَسَاجِدِ، وَرَجُلَانِ تَحَابَّا فِيْ اللهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ، وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتَ مَنْصَبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ : إنِّي أخَافُ اللهَ، وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لَا تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِيْنُهُ، وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ ) متفق عليه(
আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: কেয়ামত দিবসে সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা তার আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দিবেন, যেদিন তার ছায়া ব্যতীত ভিন্ন কোন ছায়া থাকবে না- ন্যায়পরায়ন বাদশা; এমন যুবক যে তার যৌবন ব্যয় করেছে আল্লাহর ইবাদতে; ঐ ব্যক্তি যার হৃদয় সর্বদা সংশিষ্ট থাকে মসজিদের সাথে ; এমন দু ব্যক্তি, যারা আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালোবেসেছে, এবং বিচ্ছিন্ন হয়েছে তারই জন্য ; এমন ব্যক্তি, যাকে কোন সুন্দরী নেতৃস্থানীয়া এক রমণী আহ্বান করল অশ্লীল কর্মের প্রতি, কিন্তু প্রত্যাখ্যান করে সে বলল, আমি আল্লাহকে ভয় করি ; এমন ব্যক্তি, যে এরূপ গোপনে দান করে যে, তার বাম হাত ডান হাতের দান সম্পর্কে অবগত হয় না। আর এমন ব্যক্তি, নির্জনে যে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার দু-চোখ বেয়ে বয়ে যায় অশ্রুধারা। (বুখারী ও মুসলিম)
عن أبي اليسر كعب بن عمرو رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من أنظر معسرا أو وضع له ، أظله الله يوم القيامة تحت ظل عرشه ، يوم لا ظل إلا ظله. (رواه مسلم 103)
আবু ইয়াসার কাআব ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
যে কোন ঋণগ্রস্ত বা অভাবী ব্যক্তিকে সুযোগ দেবে অথবা তাকে ঋণ আদায় থেকে অব্যাহতি দেবে আল্লাহ তাআলা তাকে নিজ ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। (মুসলিম ১০৩)
সংগ্রহঃআব্দুল মালেক আল কুলাইব কুয়েত (বই)আহওয়ালুল কিয়ামাহ