৮। খাৎনা করানো
জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের নিকট এসে বলে, হে আল্লাহর রাসূল, আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি, তিনি বললেন, কুফরির চুল মুণ্ডিয়ে ফেল আর খাৎনা কর। (আবুদাউদ)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেছেন,
মানুষের প্রকৃতগত স্বভাব পাঁচটি।
ক. খাৎনা করা।
খ. নাভির নিচের পশম পরিস্কার করা।
গ. বগলের নিচের পশম উপড়ানো।
ঘ. আঙ্গুলের নখ কর্তন করা।
ঙ. মোচ ছোট করা। (বুখারি)
ইমাম নববি রহ. বলেন, এখানে প্রকৃতগত স্বভাবের অর্থ সুন্নত।
খাৎনার সময় : সপ্তম দিন খাৎনা করানো সুন্নত। জাবের রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম হাসান এবং হুসাইনের সপ্তম দিন আকিকা দিয়েছেন ও খাৎনা করিয়েছেন। (তাবরানি ফিল আওসাত ও বায়হাকি)
বুখারি-মুসলিমের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আশি বছর বয়সে খাৎনা করেছেন। আর ইবরাহিম আলাইহিস সালামের অনুসরণ করার জন্য আমরা আদিষ্ট। আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামকে সম্বোধন করে বলেন,
তারপর আমি তোমার প্রতি ওহী পঠিয়েছি যে, তুমি মিল্লাতে ইবরাহিমের অনুসরণ কর, যে ছিল একনিষ্ঠ এবং ছিল না মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা নাহল : ১২৩)
মূলতঃ খাৎনার বয়স জন্মের এক সপ্তাহ পর থেকে শরু হয়, তবে সাত বছর পুরো হওয়ার আগেই তা সেরে নেয়া ভাল, সাবালক হওয়ার পূর্বে খাৎনা করা অবশ্য জরুরি। ডাক্তারি বিদ্যা প্রমাণ করেছে যে, জন্মের এক সপ্তাহ পর থেকে তিন বৎসরের মধ্যে খাৎনা সম্পাদন করা উত্তম।
খাৎনার বিধানের ব্যাপারে ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন, খাৎনা সুন্নত। ইমাম শাফি, মালেক ও আহমদ রাহিমাহুমুল্লাহ বলেন, খাৎনা ওয়াজিব। এ ব্যাপারে ইমাম মালেক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আরো কঠোর অবস্থান নিয়ে বলেছেন, যে খাৎনা করবে না তার ইমামত ও সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। কাজি আয়াজ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, অধিকাংশ আলেমদের নিকট খাৎনা সুন্নত, এ সুন্নত পরিত্যাগ করা গোনাহ।
খাৎনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে নিচের লিঙ্কে যেয়ে পড়তে পারেন
https://plus.google.com/+SistersIslamsistersforuminislam/posts/88MxEe4Baa5
https://plus.google.com/u/0/collection/kePVFB