১। নিজেকে অনেক বড় আমানতদার ভাবুন, কারন মহান আল্লাহ আপনাকে অতি মূল্যবান একটি সম্পদের আমানত দেয়ার জন্য মনোনিত করেছেন- তাই অনেক বেশী মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করুন।
২। মহান আল্লাহ প্রতিটি মাকেই এই সময়ের কষ্ট সহ্য করার সামর্থ দিয়েছেন। তাই আপনিও পারবেন এই বিশ্বাসের জায়গাটা দৃঢ় রাখুন। আল্লাহর উপর ভরসা করুন ও সাহায্য চান।
৩। নিজেকে কখনোই অসুস্থ ভাববেন না, কেউ জিজ্ঞেস করলে সব সময়ই আলহামদুলিল্লাহ বলে মিষ্টি হাসি দিন। মহান আল্লাহ অনেক ভালো রেখেছেন এই সন্তুষ্টি অন্তরে ধারন করুন, যে অবস্থায় আছেন, এর চেয়ে খারাপ কিছুতো হতে পারতো। মুমিনের সব অবস্থায় কল্যানকর। তাই মুমিনা হওয়ার বাস্তব নমুনা রাখুন।
৪। মানসিক ও শারিরীক পরিবর্তনকে জয় করার চেষ্টা করুন নিজেকে সেলফ সাইকোথেরাপী দিয়ে। এটা করতে পারেন এইভাবে যে, নামাজের পর সহিহ হাদীসের আলোকে দোয়া ও যিকিরের মাধ্যমে এবং হাত তোলে দোয়া করুন একান্তভাবে নিজের রবের কাছে, মন খুলে সব বলুন এবং যা প্রয়োজন তাই চান। মহান আল্লাহ এমন এক রব যিনি এই হাত ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।
৫। এই পুরু ৯মাস একটি সুন্দর অধ্যয়নের সিলেবাস প্রস্তুত করে নিন। বিশেষ করে কুর’আন পু্রুটা তাফসীরসসহ একবার শেষ করার তীব্র আকাকঙ্খা রাখুন।
৬। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন বিভিন্নমুখী ভালো কাজের মাঝে।
৭। এই সময় কোন কারন ছাড়াই মন মেঘলা আকাশের মত হয়ে যেতে পারে, এটা স্বাভাবিক, সেই সময় ইসলামিক গান বা কবিতা বা প্রিয়জনের সাথে হালকা মজার মজার গল্প করুন শরীয়ার মাঝে থেকে।
৮। অনেকে অসুস্থ ভাবে থেকে দিনগুলো বেহুদা পার করে দেন, যা আফসোসের ব্যাপার। মনে রাখবেন এই ৯টা মাসের প্রতিটা সময়ের মূল্যায়ন করলে আপনার সন্তানও মূল্যায়ন করবে ইন শা আল্লাহ।
৯। এই সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম খুবই জরুরী। নিশ্চিন্ত ঘুম প্রয়োজন।