সন্তান গঠনে পর্যায়ক্রমিক শিক্ষাদানের ছোট একটি সিলেবাসঃ
অভিজ্ঞতার আলোকে একটি ছোট্ট সিলেবাস উল্লেখ করা হলো। এটা একটি পরামর্শভিত্তিক সিলেবাস। আপনারা নিজের মত করে এর আলোকে আরো কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে নিতে পারেন।
ইউনিসেফের একটি জড়িপের আলোকে শিশুদের ধারাবাহিক বয়সে বিভিন্ন স্বাভাবিক আচরনের পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন তুলে ধরে সাথে কিছু টিপস দেয়া হলো। সকল শিশুই এইভাবে একইরকম পরিবর্তন নাও আসতে পারে। বয়সের তারতম্যে কিছু আগে পরে হতে পারে তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়সে এই পরিবর্তন আশা করা যায়।
জন্মের ২-৩ বছরঃ
একটি শিশুর স্বাভাবিক আচরন যা হওয়া উচিৎঃ
* লাফ দিতে পারে। তিন চাকার সাইকেলে চড়তে পারে।
* রঙ পেনসিল ব্যবহারের প্রতি ঝোঁক বাড়ে।
* মোটামোটি পুরোপুরি অর্থবহ দুই-একটা বাক্য তৈরী করে কথা বলা শুরু করে।
* নতুন নতুন শব্দ শিখে সেগুলোকে বার বার প্রয়োগের প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।
* সব কাজ নিজ হাতে করার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়। আবেগ বৃদ্ধি পায়
* সমাজে তার নিজের অবস্থান আবিষ্কার করার চেষ্টা করে। নিজের বাসস্থান, ছোটখাট জিনিষ
যেমন জামা, জুতা, চিরুনী, খেলনা, আপন-পর ইত্যাদি বুঝতে শিখে।
* অভিভাবকদের আচরন আনুকরন করে, রোল প্লে জাতীয় খেলা খেলতে আনন্দ পায়।
* আদেশ দেওয়া উপভোগ করে।
* জোড়পুর্বক দাবী আদায়ের প্রবনতা প্রকাশ পায়।
* বহির্মুখী প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।
* সমবয়সীদের সাথে মেলামেশা করার ইচ্ছা জাগ্রত হয়।
লক্ষ্য রাখতে হবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াঃ
হাত ঘাড় বা পায়ের অতিরিক্ত কোন অস্বাভাবিক মুভমেন্ট করে কিনা
চলতে গিয়ে ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারে কি না
একা চুপ করে বসে থাকে কি না
রঙ ঠিক মত শেখানোর পর বলতে পারে কি না।
সিলেবাস ও করনীয়ঃ
- এই সময় সন্তানকে আরো বেশী কাছে রেখে সময় দিন।
- কলেমা ও ছোট সূরা শেখানোর পরিকল্পনা নিন।
- মহান রবের নাম শেখান।
- যেকোন সুন্দর দৃশ্য বা ছবি দেখে মহান রবের বড়ত্ব তুলে ধরুন।
- ছোট ছোট দু’আ যেমন খাবারের পূর্বে ও পরে, ঘুমের সময় ইত্যাদি শেখান ও অভ্যস্থ করুন।
- হাত ধুয়া ও টয়লেট থেকে পরিচ্ছন্ন হওয়ার আদব শেখান
- নিজের কাপড় চোপড়, জুতা ও খেলনা বই গুছিয়ে রাখানো শেখান।
- পরিবারের অন্যদের সাথে সহায়ক ভূমিকা রাখাও সাথে নিয়ে উদ্বঅদ্ধ করুন।
- বিকালে বাইরে খোলা আকাশের নীচে সবুজ ঘাসের সান্নিধ্যে নিয়ে যাওয়া মাঝে মাঝে।