সন্তান গঠনে পর্যায়ক্রমিক শিক্ষাদানের ছোট একটি সিলেবাসঃ জন্মের পর ৭-৯ মাসঃ

সন্তান গঠনে পর্যায়ক্রমিক শিক্ষাদানের ছোট একটি সিলেবাসঃ

অভিজ্ঞতার আলোকে একটি ছোট্ট সিলেবাস উল্লেখ করা হলো। এটা একটি পরামর্শভিত্তিক সিলেবাস। আপনারা নিজের মত করে এর আলোকে   আরো কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে নিতে পারেন।

ইউনিসেফের একটি জড়িপের আলোকে শিশুদের ধারাবাহিক বয়সে বিভিন্ন স্বাভাবিক আচরনের পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন তুলে ধরে সাথে কিছু টিপস দেয়া হলো। সকল শিশুই এইভাবে একইরকম পরিবর্তন নাও আসতে পারে। বয়সের তারতম্যে কিছু আগে পরে হতে পারে তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়সে এই পরিবর্তন আশা করা যায়।

জন্মের ৭-৯ মাসঃ

একটি শিশুর স্বাভাবিক আচরন যা হওয়া উচিৎঃ

*  হাতের উপর আয়ত্ব আসে। কোন জিনিস হাত দিয়ে ধরে তা আবার মুঠো ছেড়া ফেলে দিতে

শেখে এবং এটাকে তারা একটা খেলা ভেবে মজা পায়।

*  নিজে নিজে বসতে শেখে।

*  হামা দেয় বা দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চারা হামা নাও দিতে পারে।

*  দুই হাত মিলিয়ে হাতে তালি দিতে চেষ্টা করে।

*  মায়ের প্রতি বা যিনি সর্বদা যত্ন নেন তার প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায়।

মা বা যিনি সর্বদা যত্ন নেন তার সাথে সামান্য বিচ্ছেদেও অভিমান প্রকাশ করা শুরু করে।

*  নিজের নাম শুনলে বুঝতে পারে।

* এই সময় দুলুনী বা লুকোচুরি খেলায় বিশেষভাবে আনন্দিত হয়।

 

লক্ষ্য রাখতে হবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াঃ

অন্যদের শব্দের প্রতিক্রিয়ায় শিশু শব্দ করে না

নড়াচড়া করা বস্তুর দিকে শিশু তাকায় না

শিশু যত্নকারীর প্রতি প্রতিক্রিয়া নেই

শিশুর ক্ষিধেবোধ নেই বা খাবার ফিরিয়ে দেয়

 

সিলেবাস ও করনীয়ঃ   

  • এই সময় ছোট ছোট যিকির শুনিয়ে হাসিমুখে খেলা করা,
  • ছোট ছোট সূরা শুনিয়ে বার বার তেলাওয়াত করা
  • আযানের সময় চুপ করে আযান শুনতে দেয়া ও শুনিয়ে আযানের জবাব দেয়া
  • সন্তানের গোসল খাওয়াসহ সকল কাজেই আনন্দের সাথে মহান আল্লাহর নামে করা যা সন্তানকেও বুঝতে দিতে হবে।
  • ছোট ছোট বর্ণ বা ব্লক দিয়ে কনস্ট্রাকটিভ খেলায় সময় দিতে হবে মা বা বাবাকেই।
  • এই সময় নিজেদের বিছানাসহ শিশুর বিছানা ফ্লোরে নীচে কিছুদিনের জন্য করে নিতে পারেন যেন শিশু পড়ে না যায়।
  • ছোটদের নবী কাহিনী থেকে শব্দ করে পড়ে শুনানো, শিশু না বুঝলেও শুনার অভ্যাস গড়ে উঠবে।

বর্জনীয় কাজঃ  

  • উপহার পাওয়া মিউজিকসহ খেলনা দিয়ে খেলা করা।
  • গৃহকর্মীর কাছে একা খেলতে ছেড়ে দেয়া।
  • নিজ কাছের বা দূরের আত্মীয় বিশেষ করে বিপরীত লিংগের কাছে একা ছেড়ে দেয়া।
  • একা ঘরে ঘুমন্ত রেখে চলে যাওয়া(সজাগ হয়ে হামা দিয়ে পড়ে যেতে পারে)