সন্তান গঠনে পর্যায়ক্রমিক শিক্ষাদানের ছোট একটি সিলেবাসঃ
অভিজ্ঞতার আলোকে একটি ছোট্ট সিলেবাস উল্লেখ করা হলো। এটা একটি পরামর্শভিত্তিক সিলেবাস। আপনারা নিজের মত করে এর আলোকে আরো কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে নিতে পারেন।
ইউনিসেফের একটি জড়িপের আলোকে শিশুদের ধারাবাহিক বয়সে বিভিন্ন স্বাভাবিক আচরনের পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন তুলে ধরে সাথে কিছু টিপস দেয়া হলো। সকল শিশুই এইভাবে একইরকম পরিবর্তন নাও আসতে পারে। বয়সের তারতম্যে কিছু আগে পরে হতে পারে তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়সে এই পরিবর্তন আশা করা যায়।
জন্মের ৪-৬ মাসঃ
একটি শিশুর স্বাভাবিক আচরন যা হওয়া উচিৎঃ
উবু হয়ে শুলে মাথা ও বুক উপরে তোলা
ঝুলছে এমন জিনিষ ধরার চেষ্টা
বিভিন্ন জিনিষ ধরা এবং ঝাঁকানো
ডান বা বাম কাতে পাশ ফেরা ও সাহায্য নিয়ে বসা
হাত ও মুখ দিয়ে সব জিনিষ যাচাই করা
হাতে মুঠোয় শক্ত করে কিছু ধরার চেষ্টা করে।
শব্দ করে হাসা শুরু করে।
শব্দ এবং মুখের ভাব নকল করতে শুরু করা
বেশিরভাগ স্বরধ্বনি বা vowel sound উচ্চারন করতে পারে এবং যেমন বাব্বা, আব্বা, বু ইত্যাদি।
কোলে উঠতে বেশি পছন্দ করে।
নিজের নাম শুনলে বা পরিচিত মুখ দেখলে প্রতিক্রিয়া হওয়া
অন্যদের মুখভঙ্গী দেখে অনুভুতি পড়ার চেষ্টা করা শুরু করে।
মা অথবা যিনি সর্বাধিক যত্ন নেন তার সাথে অন্যদের পার্থক্য করতে শেখে।
খাওয়া, গোসল করা, পোষাক বদলান ইত্যাদি এসবের চাহিদা তৈরী হয়।
লক্ষ্য রাখতে হবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াঃ
অনবরত মাথানাড়া (এটা কানে সংক্রমন থেকেও হতে পারে, চিকিৎসা না হলে বধিরতা
হতে পারে)
শব্দ শুনেও কোন প্রতিক্রিয়া না করা
সিলেবাস ও করনীয়ঃ
- এই সময় শিশুকে আল্লাহু আকবার,আলহামদুলিল্লাহ ও সুবহানা আল্লাহ শেখান বার বার বলে।
- যতবার সম্ভব শিশুর সাথে হাসিমুখে সুন্দর কথা বলুন, শব্দ করে কিছু (হাদীস বা জীবনী) পড়ুন বা
তেলাওয়াত শোনান।
- হাসি মুখে খেলা করুন। বিছানায় একা হাত পা নাড়তে দিন তাতে ব্যয়ামের কাজ হবে ও ক্ষুধা লাগবে।
- গোসলের আগে হালকা মেসেজ করে দিন।
- বাচ্চাকে একটা পরিস্কার, নিরাপদ সমতলে রাখুন, যেন মুক্তভাবে নড়াচড়া করতে পারে এবং জিনিষপত্র ধরতে পারে,
- বাচ্চাকে তুলে ধরুন এমনভাবে, যেন সে আশপাশে কী হচ্ছে দেখতে পায়
- দিনে রাত্রে, বুকের দুধ খাওয়ানো চালু রাখুন, তার সাথে অন্য খাবারও দিতে শুরু করুন ( ৬থেকে ৮ মাস বয়স পর্যন্ত দিনে দুবার, ৮ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত দিনে তিন থেকে চারবার)।