সন্তান গঠনে পর্যায়ক্রমিক শিক্ষাদানের ছোট একটি সিলেবাসঃ
অভিজ্ঞতার আলোকে একটি ছোট্ট সিলেবাস উল্লেখ করা হলো। এটা একটি পরামর্শভিত্তিক সিলেবাস। আপনারা নিজের মত করে এর আলোকে আরো কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে নিতে পারেন।
ইউনিসেফের একটি জড়িপের আলোকে শিশুদের ধারাবাহিক বয়সে বিভিন্ন স্বাভাবিক আচরনের পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন তুলে ধরে সাথে কিছু টিপস দেয়া হলো। সকল শিশুই এইভাবে একইরকম পরিবর্তন নাও আসতে পারে। বয়সের তারতম্যে কিছু আগে পরে হতে পারে তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়সে এই পরিবর্তন আশা করা যায়।
জন্মের পর ২-৩ মাসঃ
একটি শিশুর স্বাভাবিক আচরন যা হওয়া উচিৎঃ
* রং এর প্রাথমিক পার্থক্য বুঝতে সক্ষম হয়।
* কান্নার পাশাপাশি শব্দ স্বর যেমন বু কু তৈরী করা শুরু করে।
* জোরে শব্দ শুনে চোখের পলক ফেলে।
* পায়ের নাড়া চাড়া হাত অপেক্ষা বেশি হয়।
* প্রাথমিক আবেগের( সুখ আনন্দ হাসি দুঃখ) প্রকাশ দেখা যায়।
* মুখে হাসির রেখা স্পষ্ট হয়।
* দুলুনি বা ঝুলুনি উপভোগ করে।
* অন্যদের মুখভঙ্গী বুঝার চেষ্টা করে।
* হাসি মুখ দেখে স্বস্তি বোধ করে।
লক্ষ্য রাখতে হবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াঃ
আড়ষ্টতা বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নড়াচড়ায় অসুবিধা
স্তন বা অন্য খাবার ফিরিয়ে দেওয়া
শব্দে, পরিচিত মুখ দেখে বা স্তন দেখে কোন প্রতিক্রিয়া না হওয়া বা অল্প হওয়া
সিলেবাস ও করনীয়ঃ
* এই সময়েও সন্তান যখন বিছানায় শুয়ে হাত পা নাড়াবে, তখন কুর’আন তেলাওয়াত ছেড়ে শুনানো।
- সন্তানের সাথে হাসি মুখে মহান আল্লাহর নাম সমূহ বার বার বলা।
- সন্তানকে যখন দুলাবেন তখন উপরে উঠানোর সময় আল্লাহু আকবার ও নীচে নামানোর সময় সুবহানা আল্লাহ শুনিয়ে শুনিয়ে বলুন।
- সুবহান আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার সহ কলেমার যিকিরসমূহ করা।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ স. বলা।
- ইসলামিক গান বা ছড়া( অবশ্যই মিউজিক ছাড়া) শুনাতে পারেন।
- হাসিমুখে আস্তে ধীরে কথা বলা।
- মায়ের সান্নিধ্যে ঘুমাতে দেয়া
বর্জনীয় কাজঃ
উত্তেজিত কণ্ঠে কোন কথা বলা বা শুনা থেকে দূরে রাখা।
বাদ্যযন্ত্র বা মিউজিক ও গান( তথাকথিত বাংলা ইংরেজী রাইমস) ছেড়ে শুনাবেন না।
মোবাইল বা টিভির সামনে মিউজিক ধরনের শব্দ থেকে দূরে রাখুন শিশুকে।
মাথার কাছে মোবাইল বা ডিভাইস যা ইন্টারনেট সম্বলিত রাখবেন না।