হাদীসের আলোকে চিকিৎসা-১০

পানীয় দ্রব্য গ্রহনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা সম্ভব

রাসূল স: বলেছেন-তোমরা যখন পানি পান করবে তখন এক নিঃশ্বাসে পান করো না। আত তিরমিযীঃ ১৮৩৪।

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত,আল্লাহর রাসূল সা. তিনটি পৃথক নিঃশ্বাসে পানি পান করতেন এবং বলতেন,এ নিয়মে পানি পান করলে তৃষ্ণা ভালোভাবে নিবারণ হয়, খাদ্য ভালোভাবে হযম হয় এবং এটি অধিক আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর। সহিহ মুসলিম:৫১১৭, আবুদাউদ:৩৬৮৫, আত তিরমিযীঃ ১৮৩২।

উটের মতো একদমে গটগট করে পানি পান করোনা, বরং দুই বা তিন দমে (নিঃশ্বাসে) পান করো। পান করার সময় আল্লাহর না লও (বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম বলো)আর পান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করো। আত তিরমিযী: ১৮৩৪।

প্রথমত পানিতে মুখ ডুবিয়ে পানি পান করা পশুর স্বভাব। এতে নাক ও মুখের দূষিত পদার্থ পানিকে দূষিত করে ফেলে। বিশেষ করে যাদের গোঁফ বড় সেই চুলের ময়লা পানিকে দূষিত করে ফেলে।

ব্যস্ততার সাথে দৌড়ে এসে বিশ্রাম না নিয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করা সঠিক নয়। এটা উটের স্বভাব। এর ফলে পরিতৃপ্তিতো আসেই না বরং পানি হলকুমে আটকে যেতে পারে, হৃদযন্ত্রের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

সাধারনত আমাদের পাকস্থলির তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সে. এর মতো থাকে। অপরদিকে পানির তাপমাত্রা সাধারনত Room temperature এ থাকে অর্থাৎ ২৫-২৮  ডিগ্রি সে.। তাড়াতাড়ি ও দাঁড়িয়ে পানি পান করলে, পানির ঠান্ডা দ্রুত পাকস্থলিতে সরাসরি চলে যায় বিধায় পেটের কার্যক্রমকে প্রাভাবিত করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেকের বুকেও ব্যথা অনুভূত করে থাকেন।

https://www.youtube.com/watch?v=MBZ9jPaLVEE