হাদীসের আলোকে চিকিৎসা-১

%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%b8%e0%a6%be-%e0%a7%a7

রাসূল স. বলেছেন,

“মুসলমানের উপর যে কোন বিপদ-মুসীবতই আসে, আল্লাহতা’আলা এর বদলে তার গুনাহ মিটিয়ে দেন, এমনকি তার শরীরে কাঁটাবিদ্ধ হলে তার দ্বারাও।”

বুখারীঃ৫ম খণ্ড,৫২২৯

মুসলমান কোন যাতনা, রোগ-কষ্ট, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, নির্যাতন ও শোকের শিকার হলে,এমনকি তার শরীরে কাঁটাবিদ্ধ হলেও এর বদলে আল্লাহতা’আলা তার গুনাহ মাফ করে দেন।

বুখারীঃ ৫২৩০

আল্লাহ সূরা বাকারায় (১৫৫-১৫৬ নং আয়াতে) বলেছেন—

আর অবশ্যই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছু ভয় ও ক্ষুধা এবং সম্পদ ও জীবনের ক্ষয়-ক্ষতি আর ফল-ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে; তবে সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদের। যাদের কোনো বিপদ আসলে তারা বলে: আমরা তো আল্লাহর জন্যই, আর আমরা তো তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।  

অন্যায় ও গুনাহ করলে এর প্রতিফল আখেরাতে ভোগ করতে হবে। কিন্তু ঈমানদারের অপর কোন যাতনা, রোগ-কষ্ট, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, নির্যাতন ও শোকের শিকার হলে এর বদলে আল্লাহ গুনাহ মাফ করে দেন।

এইজন্য রোগ ও কষ্টকে গুনাহর কাফফারা বলা হয়।

আবার  এই সব কিছু আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করার জন্য দিয়ে থাকেন। তাই সব অবস্থায় ধৈর্য্য ধরা ও আল্লাহর সাহায্য চাওয়া আমাদের কর্তব্য।

আবু হুরাইরা(রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী(সঃ) বলেন, আল্লাহ তাআলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নি , যার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন নি। বুখারী কিতাবুত তিব্বঃ৫২৬৭

আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন ও ধৈর্য্যের গুন দান করুন-আমীন।