আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত। তিনি শুনেছেন যে, রাসূল স. এর নিকট যখন তাঁর চাচা আবু তালিবের উল্লেখ করা হয়, তখন রাসূল স. বলেন,কিয়ামতের দিবসে আমার শাফায়াত হয়তবা তার উপকারে আসবে, তাকে স্বল্প গভীর অগ্নিতে রাখা হবে, যা তার পায়ের গিরা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, তাতে তার মাথার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে। সহিহ বুখারিঃ ৬১১০
একটু চিন্তা করে দেখুন, যেই আবু তালিব রাসুল স.কে ভালোবেসে লালন পালন করেছেন এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে ছায়ার মত সহযোগীতা করে গিয়েছিলেন, যিনি ৩টি বছর রাসূল স.এর সাথে পাহাড়ে (যখন মক্কার কাফিররা বয়কট করেছিল, শাবে আবি তালিব) অবস্থান করেছিলেন, সেই চাচা শুধুমাত্র ঈমান না আনার কারনে জাহান্নামে যাবে এবং রাসূল স. জান্নাতে নেয়ার সুপারিশ করবেন না। তবে শাস্তি কিছু লাঘব করা হবে।
আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন খালেস ঈমান হলো জান্নাতে যাওয়ার ও রাসূল স. এর সুপারিশ পাওয়ার পূর্ব শর্ত। তাই ঈমান বিনষ্টকারী জিনিষ থেকে দূরে থাকতে হবে।
জাহান্নামের লঘু শাস্তির অবস্থা দেখুন, তাহলে বছরের পর বছর এই জাহান্নামের শাস্তি সহ্য করতে হবে পাপীদেরকেও। ভয়ানক গুনাহের ভয়ানক শাস্তি তাহলে কি হতে পারে ভাবলেই ভয়ে শিউড়ে উঠতে হয়। সেই তুলনায় চিন্তা করে দেখুন, দুনিয়ার জীবনের চাওয়া পাওয়াকে সংযত করে মহান রবের আনুগত্যে থাকাটাই সহজ নয় কি!!