হৃদয়স্পর্ষী হাদীসঃ২

আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে

 

আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল স. বলেছেন-(জাহান্নামের) আগুন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মুমিনদেরকে বেহেশত ও দোযখের মাঝখানে অবস্থিত একটি পুলের উপর এনে দাঁড় করনো হবে। আর ( তথায়) তাদের দুনিয়াতে একে অপরের প্রতি কৃত অন্যায় অবিচারের প্রতিশোধ গ্রহন করা হবে। এক পর্যায়ে তারা পাক-পবিত্র হয়ে গেলে তাদেরকে বেহেশতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। সেই সত্তার কসম! যাঁর হাতে মুহাম্মদ স.এর জীবন, প্রত্যেক ব্যক্তি তার জান্নাতের বাড়ী দুনিয়ার বাড়ীর চেয়েও উত্তমরুপে চিনতে সক্ষম হবে। সহিহ বুখারিঃ ৬০৮৫

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল স. বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি আপন ভাইয়ের উপর যুলুম করে থাকলে সে যেন তার কাছ থেকে(সে সময়ের) পূর্বেই মাফ করিয়ে নেয়, যখন (মযলুম) ভাইয়ের পক্ষ থেকে তার নেকীর অংশ কেটে নেয়া হবে, কিন্তু যদি নেকী তার (যালিমের) নিকট মওজুদ না থাকে তবে, তার(মযলুম) ভাইয়ের গুনাহ কেটে এনে-এর(যালিম) সাথে যোগ করে দেয়া হবে। কেননা সেদিন দীনার-দেরহামের কোন লেন-দেন কিংবা আদান প্রদান চলবে না। সহিহ বুখারিঃ ৬০৮৪

এই হাদীস দুটো সামনে রেখে চললে সমাজ কত সুন্দর হয়ে যেতে পারতো। স্থায়ী জীবনে শান্তি আমরা প্রত্যেকেই চাই কিন্তু অস্থায়ী জীবনের চাওয়া পাওয়াকেও যেন আঁকড়ে ধরে রাখি সেইভাবে যেন যেভাবেই হোক কারো হক নষ্ট করে হলেও প্রাপ্তি হতেই হবে।

যারা সমাজে অন্যের উপর বিভিন্ন কারনে জুলুম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন, পরিবারে আপনজনের হক নষ্ট করে যাচ্ছেন, আত্মীয়দের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে যাচ্ছেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস আদালতে যেভাবে হক নষ্টের মহড়া চলছে, তাতে ভয় হয় কতজন যে হাশরের মাঠে নিজের আমলগুলো দিয়ে জাহান্নামী হয়ে যাবে বা আমল না থাকলে অন্যের গুনাহের বোঝার ভার নিতে হবে যা জাহান্নামে ঠেলে দিতে পারে।

মহান আল্লাহ আমাদের মাফ করুন। সব সময় সচেতন থাকা দরকার যেন, কোন হক, তা ছোট হলেও যেন অন্যের প্রতি নষ্ট না করি। এহসান বা উপকার করতে না পারলেও অন্তত ক্ষতি করা থেকে নিবৃত্ত থাকাটা ও অনেক সওয়াবের কাজ। শয়তানের কূট ষড়যন্ত্র বুঝার মত অন্তর্দৃষ্টি খুলে চলা প্রয়োজন। বেশি বেশী মহান আল্লাহর সাহায্য চাওয়া দরকার।