রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
সালাতেই আমার চোখের শান্তি রাখা হয়েছে। (মুসনাদু আহমাদ: ৩/১২৮)
সালাতকে বোঝা না মনে করে শান্তির অবলম্বন মনে করতে পারাতেই সালাতের মূল প্রান। নিজেকে প্রশ্ন করি সালাতকে কি শান্তির সময় হিসেবে নিতে পেরেছি!!
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “তোমাদের কারো ঘরের পাশে যদি একটি নদী থাকে আর সে সেই নদীতে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কি কোনো ময়লা থাকবে বলে মনে করো?” সাহাবাগণ বললেন, “কোনো ময়লাই থাকবে না।” তিনি বললেন, “সালাতের উদাহরণ এরই মতো। আল্লাহ এর দ্বারা বান্দার গুনাহসমূহ মুছে দেন।” (তিরমিযি)
‘পাঁচ ওয়াক্ত সালাত এবং এক জুমা থেকে অপর জুমা মধ্যবর্তী সময়ে কৃত গুনাসমূহের কাফ্ফারা। যাবৎ সে কবিরা গুনাহে লিপ্ত না হয়।’ (মুসলিম : ৩৪৪)
‘মুসলিম বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করে তখন তার গুনাসমূহ এমনভাবে ঝরে পড়ে, যেমন পড়ে যাচ্ছে এ গাছের পাতাসমূহ।’ (আহমদ : ২০৫৭৬)
মহান আল্লাহ কত দয়ালু যে এইভাবে আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন। মানুষ ভুল করতেই পারে কিন্তু মুমিনেরা ভুলের উপর অটল থাকতে পারে না। সালাতে নিজেকে মহান রবের কাছে সঁপে দিয়ে তাওবা করে ফিরে আসে রবের পথে। আর মহান রব গুনাহগুলোকে মুছে দেন সুবহানাল্লাহ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
”পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন। যে ভাল করে ওজু করবে, সময় মত সালাত আদায় করবে এবং রুকু-সেজদা ঠিক ঠিক আদায় করবে, আল্লাহর দায়িত্ব, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া। আর যে এমনটি করবে না, তার প্রতি আল্লাহর কোনো দায়িত্ব নেই। শাস্তিও দিতে পারেন, ক্ষমাও করতে পারেন। (আবু দাউদ : ৪২৫, সহিহ আল-জামে : ৩২৪২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
”যে সুন্দরভাবে ওজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে দু’রাকাত সালাত পড়ে, (অন্য বর্ণনায়-যে সালাতে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (অন্য বর্ণনায়- তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।)
(বোখারি : ১৫৮, নাসায়ি : ১/৯৫)