‘তোমাদের কেউ ঘুমালে শয়তান তার ঘাড়ের পশ্চাতে তিনটি গিরা দিয়ে দেয়। প্রতিটি গিরায় সে বলে, এখনও অনেক রাত বাকি, ঘুমাও। যদি সে জাগ্রত হয় ও আল্লাহর নাম স্মরণ করে, একটি গিরা খুলে যায়। যদি সে অজু করে দ্বিতীয় ঘিরাটি খুলে যায়, যদি সে সালাত আদায় করে, তবে তৃতীয় ঘিরাটিও খুলে যায়। ফলে সে সকাল করে কর্মোদ্যম ও প্রফুল্ল চিত্ত নিয়ে, অন্যথায় সে সকাল করে আলস্য, অকর্মা ও অপবিত্র মন নিয়ে।’ (বুখারি : ১০৭৪ )
তাই ঘুমানোর পূর্বে দু’আ সুন্নাতের আলোকে করে ঘুমানো অত্যাবশ্যক। যুগে যুগে যত ব্যক্তি উন্নতিলাভ করেছে প্রত্যেকের জীবনী দেখুন সকালেই উঠে কাজ শুরু করেছে। রাসূল স. কত সুন্দর করে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন সুন্দর সফলতার পথ,অথচ আমরা মুসলিমরাই সকালে ঘুমিয়ে কাটাই। মহান আল্লাহ আমাদের বুধোদয় করান।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,‘পবিত্রতা ইমানের অর্ধেক আর আলহামদুলিল্লাহ তাকে সম্পূর্ণ করে, সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে পূর্ণ করে, সালাত নূর, সদকা দলিল ও ধৈর্য হচ্ছে দীপ্তি এবং কুরআন তোমার পক্ষের অথবা বিপক্ষে প্রমাণ ¯ (মুসলিম : ৩২৭)
খুবই জরুরী হাদীসটি, প্রতিটি কথাকে আমরা মূল্যায়ন করতে শিখি ও বাস্তবে আমল করি। মহান আল্লাহ তাওফিক দান করুন।