আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা্(রাঃ) বলেছেন, সলাতের প্রতি রাক’আতে কুরআন থেকে পাঠ হবে (আমরা পাঠ করি)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সলাতে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন পাঠ করেছেন, আমরাও সে সলাতে তোমাদের শুনিয়ে কুরআন পাঠ করি এবং যে সলাতে চুপিসারে কুরআন পাঠ করেছেন সে সলাতে আমরাও চুপিসারে কুরআন পাঠ করি। একজন লোক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আমি যদি সূরাহ্ ফা-তিহাহ্র বেশি না পড়ি তবে কি আমার সলাত যথেষ্ট হবে? তিনি বললেন, তুমি যদি সূরাহ্ ফাতিহার পর আরো আয়াত পাঠ কর তবে এটা তোমার জন্য কল্যাণকর আর যদি তুমি সূরাহ্ ফা-তিহাহ্ পাঠ করেই থেমে যাও তবে সেটাও তোমার জন্য যথেষ্ট। (ই. ফা. ৭৬৬, ই. সে. ৭৭৮)
আবূ হাযিম তাম্মার (র) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল লোকের কাছে আসলেন, সে সময় তারা (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে) নামায আদায় করছিলেন এবং উচ্চকণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন। এটা দেখে তিনি বললেন, নামাযরত ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সাথে মোনাজাত করে, কাজেই তার খেয়াল রাখা উচিত যে, কিভাবে তার প্রভুর সাথে আলাপ করছে। আর তোমরা সরবে (নামাযে) কুরআন পাঠে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করো না। (সহীহ, আবূ দাঊদ ১৩৩২ (রঃ) তিনি আবূ সাঊদ খুদরী (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, আল্লামা আলবানী সহীহ আল জামে ২৬৩৯ গ্রন্থে সহীহ বলেছেন)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ সলাতে ‘আ-মীন’ বলল এবং আকাশমণ্ডলীর মালায়িকারাও (ফেরেশতারাও)‘আ-মীন’ বলল। একজনের ‘আ-মীন’ এর সাথে আরেকজনের ‘আ-মীন’ মিলে গেল। তার আগের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।(মুসলিমঃ ই.ফা. ৮০০ , ই.সে. ৮১২)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কারী (ইমাম) যখন সলাতে غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ বলে, তখন তার পিছনের লোকেরাও (মুক্তাদীগন)أمين (আ-মীন) বলবে। তাদের এ কথা আকাশমণ্ডলীর অধিবাসী মালায়িকাদের কথার সাথে একত্রে উচ্চারিত হলে, তাদের (মুক্তাদী) পিছনের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।(ই.ফা. ৮০৩, ই.সে. ৮১৫ )
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে (সলাতের ) শিক্ষা দিয়ে বলতেনঃ ইমামের আগে কোন কাজ করো না। সে যখন ‘আল্লা-হু আকবার’ বলে, তোমরা ‘আল্লা-হু আকবার’ বলো। সে যখন,’ওয়ালায্ যোয়া-ল্লীন’ বলে, তোমরাও তখন ‘আ-মীন’ বল। সে যখন রুকুতে যায়, তোমরাও তখন রুকুতে যাও। সে যখন “সামি ‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ” বলে তোমরা তখন “আল্ল-হুম্মা রব্বানা- লাকাল হামদ’ বলো। (মুসলিম ই.ফা.৮১৫,ই.সে.৮২৭)