রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি অঙ্গ স্বীয় স্থানে ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন।
صحح إسناده في صفة الصلاة ص ১৩৪ط:১১، وعند ابن خزيمة نحوه كما ذكره الحافظ في الفتح (২/৩০৮).
সালাতে ভুলকারী ব্যক্তিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ”এভাবে না পড়লে তোমাদের কারো সালাত শুদ্ধ হবে না। আবু দাউদ
আবু কাতাদা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ”সালাতে যে চুরি করে, সেই সবচে নিকৃষ্ট চোর। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল সালাতে কীভাবে চুরি করে ? তিনি বললেন, রুকু-সেজদাহ ঠিক ঠিক আদায় করে না।’ ( আহমাদ ও হাকেম)
আবু আব্দুল্লাহ আশআরি রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
”যে ব্যক্তি রুকু অসম্পূর্ণ রাখে আর সেজদাতে শুধু ঠোকর মারে, সে ঐ খাদকের মত যে দুই-তিনটি খেজুর খেল অথচ কোনো কাজে আসল না। সহিহ আল জামে ৪/১১৫ ( তাবরানি)
ধীরস্থিরতা ছাড়া খুশু সম্ভব নয়। কারণ, দ্রুত সালাতের কারণে খুশু নষ্ট হয়। কাকের মত ঠোকর মারার কারণে, সাওয়াব নষ্ট হয়।
আমাদের সমাজে এইরকম সালাতী অনেক আছেন, যারা জানেনই না যে রুকু সাজদাহ ঠিকমত আদায় না করলে সালাত বাতিল হয়ে যায়। অনেকে দুনিয়ার কর্মকাণ্ডের প্রাধান্য দিতে যেয়েও এই কাজটি করে থাকেন, আর যারা লোক দেখানো সালাতী হতে চান তারাও এই কাজটি করে থাকেন যখন একাকী সালাত আদায় করেন।
ছোট শিশুদের সালাতে অভ্যস্থ হওয়ার জন্য ধীর স্থীরভাবে ফরয সালাত আদায় করা শেখানো প্রয়োজন প্রথমে আর তা না হলে সুন্নাত সালাতসহ আদায় করতে বললে তাড়াহুড়ো করে রুকু সাজদাহ ঠিকমত আদায় করে না।
সালাতকে মহান রবের সাথে সাক্ষাত বা ইন্টারভিউ মনে করলেই পুরু পদ্ধতিটাই সুন্দর হয়ে যাওয়ার কথা। মহান আল্লাহ হেফাজত করুন ও আমাদের সালাত সুন্দর করে দিন।