হাদীসের আলোকে সাওম-১১

 

আবু সালামা(রঃ) বলেছেন, আমি আবু সাঈদকে-যিনি আমার বন্ধু ছিলেন-এক প্রশ্ন করলাম। তিনি জবাব দিলেন, আমরা নবী(সঃ) এর সঙ্গে রমযানের মধ্যের দশদিনে ই’তেকাফে বসলাম। অতঃপর বিশ তারিখের ভোরে নবী(সঃ) বেরিয়ে আসলেন, আমাদের সামনে ভাষন দিলেন এবং বললেন, আমাকে শবে কদর দেখান হয়েছে। তারপর আমি তা ভুলে গিয়েছি। কিংবা তিনি বলেছেন, আমাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। অতএব তোমরা (রমযানের) শেষ দশ দিনের বেজোড় তারিখে( অর্থাৎ ২১, ২৩,২৫,২৭ ও ২৯) লাইলাতুল কদর তালাশ কর। কেননা আমি দেখতে পেয়েছি যে, আমি স্বয়ং পানি ও কাদায় সিজদা করছি। তাই যে ব্যক্তি রাসূল(সঃ) এর সাথে ই’তেকাফে বসেছে সে যেন ফিরে আসে। সুতরাং আমরা ফিরে এলাম। আমরা আকাশে এক টুকরা মেঘও দেখলাম না। হঠাৎ এক খণ্ড মেঘ দেখা দিল এবং বর্ষণ শুরু হল। এমনকি মসজিদের ছাদ ভেসে গেল। এ ছাদ খেজুর পাতায় নির্মিত ছিল। অতঃপর নামায পড়া হল। আমি রাসুলুল্লাহ(সঃ)-কে পানি ও কাদায় সিজদা করতে দেখলাম। এমনকি আমি তাঁর কপালে কাদার চিহ্ন দেখতে পেলাম।   বুখারী-১৮৭৩

নবী(সঃ) রমযানের শেষ দশদিনে ই’তেকাফে বসতেন যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁকে উঠিয়ে নিলেন। তারপর তাঁর পত্নীগনও( শেষ দশকে) ই’তেকাফ করতেন।    বুখারী-১৮৮৪

 

কদরের রাতের মর্যাদা কি জানা থাকলে, মুমিন ও মুমিনাদের জন্য এই রাতগুলোকে পাওয়ার অদম্য প্রচেষ্টা থাকা খুবই আন্তরিক হতে বাধ্য। সারাটা বছরের মাঝে এই দশ দিনের রাতগুলোকেও যদি পরিকল্পিত ভাবে ইবাদতে কাজে লাগানো হয় এবং এই প্রচেষ্টাকে মহান আল্লাহ কবুল করে নিলে তার জীবনের যে পরিবর্তন ও প্রতিফলন ঘটবে যা জান্নাতে মহান রবের সান্নিধ্যই হবে একমাত্র পুরষ্কার ইন শা আল্লাহ।

তাই শুধু একটি রাত নয় শেষ দশদিনের রাতগুলোকে ইবাদাতে কাটানোর পরিকল্পনা রাখা দরকার। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।