হাদীসের আলোকে গুনাহ মাফের আমলঃ২

 

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন:

“তোমরা কি মনে কর— যাদি তোমাদের কারো দরজায় একটি প্রবাহিত নদী থাকে এবং সে তাতে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে, তাহলে তোমার মতে কি এই গোসল তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট রাখবে? জবাবে সাহাবীগণ বললেন: না, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না; তখন তিনি বললেন: ‘এটাই হলো পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের দৃষ্টান্ত— এর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা (সালাত আদায়কারীর) গুনাহসমূহ মুছে ফেলেন।” বুখারী ৫০৫;  মুসলিম ১৫৫৪

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে আরও বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

“পাঁচ ওয়াক্ত সালাত এবং এক জুমু‘আর সালাত থেকে অপর জুমু‘আর সালাত সেসব গুনাহের জন্য কাফ্ফারা হয়, যা এর মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে থাকে, যে পর্যন্ত না কবীরা গুনাহ্ করা হয়।মুসলিম-৫৭২; তিরমিযী- ২১৪

 

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

“পুরুষ ব্যক্তির জামা‘য়াতে সালাত আদায় করার সাওয়াব তার ঘরে ও বাজারে ‌আদায় করা সালাত অপেক্ষা পঁচিশ গুণ বেশি; কারণ, যখন সে ভালভাবে অযু করে এবং শুধু সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যেই মাসজিদের দিকে বের হয়, তখন তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং তার একটি করে গুনাহ্ মাফ হয়ে যায়। আর যখন সে সালাত আদায় করে, তখন ফিরিশ্তাগণ তার জন্য ততক্ষণ দো‘আ করতে থাকে যতক্ষণ সে তার সালাত আদায়ের স্থানে অবস্থান করে— তাঁরা বলে: “হে আল্লাহ! আপনি তার উপর রহমত করুন; হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দিন; হে আল্লাহ! তার প্রতি দয়া করুন। আর যতক্ষণ সে সালাতের অপেক্ষায় থাকবে, ততক্ষণ সে সালাতের মাঝেই থাকে। বুখারী- ৬২০

 

“হে আবূ ফাতিমা! বেশি বেশি সাজদা কর; কারণ, যে কোনো মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলার উদ্দেশ্যে সাজদা করলে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলার তার বিনিময়ে জান্নাতে তার মর্যাদা উন্নত করেন এবং তার বিনিময়ে তার গুনাহ্ মাফ করেন।” ইবনু মাজাহ, হাদিস নং- ১৪২২

এখানে জানা থাকা প্রয়োজন যে এটা হলো সালাতের ভিতর সিজদাহকে অনেক সময় ধরে ও ধীর স্থির ভাবে করার কথা। তেলাওয়াতে সাজদাহ ও শুকরিয়া সাজদাহ ছাড়া আলাদা করে সালতের আগে পরে সাজদাহের কোন উদাহরন সহিহ হাদিসে আসে নাই। দু’আ করতে আলাদা করে সাজদাহ নয় বরং সালাতের ভিতরই সাজদাহতে দু’আ করবে।