আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
‘একদা এক ব্যক্তি (মাখরামা ইবনে নওফেল) নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে সাক্ষাতের অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তখন তিনি বললেন, তাকে আসার অনুমতি দাও, সে গোত্রের কতই না নিকৃষ্ট লোক। অতঃপর তিনি তার সাথে প্রশস্ত চেহারায় তাকালেন এবং হাসিমুখে কথা বললেন। অতঃপর লোকটি চলে গেলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তার সম্পর্কে এমন কথা বলেছেন, অতঃপর আপনিই প্রশস্ত চেহারায় তার প্রতি তাকালেন এবং হাসিমুখে কথা বললেন। এ কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আয়েশা, তুমি কি কখনো আমাকে অশ্লীলভাষী পেয়েছ ? নিশ্চয়ই কেয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালার কাছে মর্যাদার দিক দিয়ে সর্বাধিক নিকৃষ্ট সেই লোক হবে, যাকে মানুষ তার অনিষ্টের ভয়ে ত্যাগ করেছে। (বুখারি, মুসলিম)
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তায়মিয়াহ (রাহিঃ) বলেন, বিদ‘আতী নেতৃবৃন্দের মতই কুরআন ও হাদীসের বিরুদ্ধাচারণকারী ও ইবাদাতকারীগণের অবস্থা বর্ণনা করা এবং তাদের থেকে উম্মাতকে সতর্ক করা সর্বসম্মতিক্রমে ওয়াজিব। এমনকি ইমাম ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রাহিঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, একজন ব্যক্তি রোযা রাখে, নামায পড়ে, ইতেকাফে বসে ইত্যাদি। ঐ ব্যক্তির এ সমস্ত ভাল কাজগুলি আপনার নিকট বেশী প্রিয়, নাকি এটা বেশী প্রিয় যে, সে বিদআতীদের সম্পর্কে কথা বলবে ও মানুষকে সতর্ক করবে? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, যদি সে নাময, রোযা, ও ইতেকাফ ইত্যাদি ইবাদাত-বন্দেগী করে তবে সেটা তাঁর জন্যেই হবে। কিন্তু যদি সে বিদআতীদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তবে তা সমস্ত মুসলিমদের স্বার্থে হবে। সুতরাং এটাই তাঁর চেয়ে উত্তম………(মাজমূউল ফাতাওয়া ২৮/২২১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই এই প্রকার সমালোচনা করেছেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকজন লোক সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন,
“আমার মনে হয় না যে, অমুক অমুক লোক আমাদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কিছু জানে” (সহীহুল বুখারী হা/ ৬০৬৭)।