আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,“তোমরা একে অপরের সাথে হিংসা-বিদ্বেষ কর না” (সহীহ বুখারী)।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)আরো বলেছেন,
“তোমাদের মধ্যে প্রবেশ করেছে তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির রোগ তথা হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা।আর এ ঘৃণাবোধ হলো মুণ্ডনকারী বিষয়। এটা চুল মুণ্ডনকারী নয়; বরং দ্বীন অর্থাৎ ইসলাম ধর্মকে মুণ্ডনকারী” (সহীহুল জামে হা/৩৩৬১)।
হিংসা-বিদ্বেষের তাড়নায় অনেকে অপরের গীবতে জড়িয়ে পড়ে। কারো উন্নতি বা প্রশংসা দেখলে অনেকেই হিংসায় সেই ব্যক্তি সম্পর্কে কটু কথা বলে থাকেন বা ব্যক্তিজীবনের অনেক গোপন কথাও প্রকাশ করে দেন,উদ্দেশ্য ব্যক্তিকে হেয় করা। এই ধরনের অবস্থা থেকে মনকে পবিত্র রাখতে পারলে গীবত থেকে রক্ষা পাবে।
অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের কাজ কম, অফুরন্ত সময়, তখন সময়কে ব্যয় করার জন্য কিছু খুঁজতে থাকেন। তখন যারা অলস প্রকৃতির তারা শুয়ে বসে গল্প করেই পার করতে চায় সময়টি।
এধরণের মানুষই বেশী বেশী অপরের গীবত করে থাকে। কারণ তাদের কোন কাজ থাকে না। সময় কাটানোর মাধ্যম হিসাবে তারা ঐ নোংরা পথকে বেছে নেয়। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
“দুটি নেয়ামত এমন রয়েছে,যার ব্যাপারে অনেক মানুষ ধোঁকাগ্রস্ত রয়েছে।সুস্থতা ও অবসর।” (সহীহ বুখারী হা/২৯১)
আর এজন্যইরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অন্য একটি হাদীসে বলেছেন,
“তুমি ৫টি বস্তুকে ৫টি বস্তুর পূর্বে মূল্যায়ন করবে অর্থাৎ বিশেষভাবে গুরুত্ব দিবে।যৌবন কালকে বার্ধক্য আসার পূর্বে, সুস্থতাকে অসুস্থতার পূর্বে, সচ্ছল অবস্থাকে অসচ্ছল অবস্থা আসার পূর্বে, অবসর সময়কে ব্যস্ততার পূর্বে, জীবনকে মরণ আসার পূর্বে”। (সহীহুল জামে হা/১০৭৭)
এই ধরণের লোকদের উচিত হবে অবসর সময়কে আল্লাহর আনুগত্যে, ইবাদাতে, ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে এছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতের উপকারে আসে এমন কাজে ব্যয় করা। তাহলে তারা অন্যের সমালোচনা করার সময় পাবে না।