হাদীসের আলোকে আয় ব্যয়-১

আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

হাদীসে এসেছে:

عن رافع بن خديج، قال: قيل: يا رسول الله، أي الكسب أطيب؟ قال: «عمل الرجل بيده وكل بيع مبرور»

হযরত রাফে ইবনে খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, সর্বোত্তম উপার্জন কোনটি? জবাবে তিনি বলেন: ব্যক্তির নিজস্ব শ্রমলব্দ উপার্জন ও সততার ভিত্তিতে ক্রয়-বিক্রয়।’’ ইমাম আহমাদ, মুসনাদ, খ.৪, পৃ. ১৪১.

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, রাসুল ﷺ বলেছেন, অন্যান্য ফরযের ন্যায় হালাল কামাইয়ের ব্যবস্থা গ্রহণও একটি ফরয । মিশকাত ২৬৫০। (বায়হাকী শোআবুল ঈমান)

 

রাসুল [স] ইরশাদ করেন, সেই দিন(আখেরাতের ময়দানে) ৫টি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কোনো আদম সন্তান তার পা এক কদমও নাড়াতে পারবে না; চাই সে নবি হোক কিংবা অলি হোক। সেই ৫টি প্রশ্ন হলো-

১. সর্ব প্রথম তাকে প্রশ্ন করা হবে, ‘তুমি তোমার সারা জীবন কোন পথে কাটিয়েছো ?’

২.  ‘যৌবনকালে কোন আমল করেছো ?’

৩. ‘ধন-সম্পদ কোন পথে উপার্জন করেছো?’ এবং

৪. ‘কোন পথে ধন সম্পদ ব্যয় করেছো?’

৫., ‘দীন ইসলাম সম্পর্কে যতোটুকু জেনেছো, সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছো। তিরমিযি

এই হাদীসটি অত্যন্ত জরুরী সব সময় মনে রাখা। আজ সমাজের চিত্র দেখা যায় খাদ্য গ্রহন হালালের ব্যপারে যতটুকু সচেতন থাকেন ব্যক্তি কিন্তু উপার্জনের খাত হালাল কি না এবং অর্থ ব্যয়ের খাত হালাল বা জায়েয কিনা তা চিন্তাই করেন না। প্রত্যেককেই উপার্জন ও ব্যয় সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাই অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে যেমন চিন্তা রাখতে হবে তেমনি কোন পথে ব্যয় করছি টাকা সেটাও চিন্তা করতে হবে।

https://islamqa.info/en/answers/22203/what-are-the-questions-that-a-person-will-be-asked-on-the-day-of-resurrection