হজ্জ ও ওমরাহ সংক্রান্ত হাদীসঃ৫(তালবিয়া)

আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞাসিত হলেন, ‘কোন হজ্জ সর্বশ্রেষ্ঠ?’ তিনি বললেন, “উচ্চ কণ্ঠে তালবিয়্যাহ এবং কুরবানী বিশিষ্ট (হজ্জ)।” (তিরমিযী ৮২৭, দারেমী ১৭৯৭, হাকেম ১/৬২০)

খাল্লাদ বিন সায়েব আনসারী থেকে বর্ণিতঃ
খাল্লাদ বিন সায়েব আনসারী নিজ পিতা হতে বর্ণনা করে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আমার নিকট জিব্রীল এসে বললেন, আমি যেন আমার সঙ্গী সাহাবাগণকে উচ্চ স্বরে তালবিয়্যাহ পড়তে আদেশ করি। (আহমাদ ৫১৯২, আবূ দাঊদ ১৮১৬, তিরমিযী ৮২৯, নাসাঈ ২৮৫৩, ইবনে মাজাহ ২৯২৩)

ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ. রিয়াওয়াত করেছেন এই হাদীসটি।

সাহল বিন সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যখনই কোন মুসলিম তালবিয়্যাহ পাঠ করে, তখনই (তার সাথে) তার ডানে ও বামের পাথর, গাছপালা ও (পাথুরে) মাটি প্রত্যেকেই তালবিয়্যাহ পড়ে থাকে; এমন কি পূর্ব ও পশ্চিম হতে পৃথিবীর শেষ সীমান্তও (তালবিয়্যাহ পাঠ করে থাকে।)” (তিরমিযী ৮২৮, ইবনে মাজাহ ২৯২১)

 

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘ইসলামের ভিত পাঁচটি জিনিসের উপর স্থাপিত আছে। (১) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা’বূদ (উপাস্য) নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর প্রেরিত মহাপুরুষ, (২) নামায কায়েম করা, (৩) যাকাত  প্রদান করা, (৪) বায়তুল্লাহর হজ্জ করা এবং (৫) মাহে রমযানের সিয়াম (সিয়াম) পালন করা।’’ (বুখারী ৮, মুসলিম ১২২)