হজ্জ ও ওমরাহ সংক্রান্ত হাদীসঃ৪ (হজ্জ)

 

 

আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছার জন্য পথের সম্বল এবং বাহন যার আছে সে যদি হজ্জ না করে, তবে এ অবস্থায় তার মৃত্যু ইহুদী ও নাসারার মৃত্যুর সমান বিবেচিত হবে। সহীহ জামে আত তিরমিযী

যার কোনো প্রকাশ্য অসুবিধা নেই, কোন যালেম বাদশাও যার পথ রোধ করেনি এবং যাকে কোন রোগ অসমর্থ করে রাখেনি – এতদসত্ত্বেও সে যদি হজ্জ না করেই মরে যায়, তবে সে ইয়াহুদী বা খৃষ্টান হয়ে মরতে পারে। দারেমী,বায়হাকী,যাদে রাহ-৫২
ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
তোমরা ফরয হজ্জের জন্য তাড়াতাড়ি কর। কেননা তোমাদের কেউই এ কথা জানে না যে,তার ভাগ্যে কী রয়েছে।
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ. রিয়াওয়াত করেছেন এই হাদীসটি।

আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূল স.আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বলেন, হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহ তোমাদের উপর হজ্জ ফরয করেছেন। কাজেই তোমরা হজ্জ করবে। তখন এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! প্রতি বছর কি হজ্জ করতে হবে? তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। অত:পর রাসূল স. বললেন,আমি যদি হ্যা বলতাম,তাহলে তা (প্রতি বছরের জন্যেই) ফরয হয়ে যেত। কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হত না। তিনি আরো বললেন, যে ব্যাপারে আমি তোমাদেরকে কিছু বলিনি সে বিষয় সে রুপ থাকতে দাও। কেননা তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা বেশী বেশী প্রশ্ন করার ও তাদের নবীদের সাথে মতবিরোধ করার কারনেই ধ্বংস হয়েছে। কাজেই আমি যখন তোমাদের কোন নির্দেশ দেই, তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করবে, আর যখন কোন বিষয়ে নিষেধ করি তখন তা পরিত্যাগ করবে।  সহিহ মুসলিম:৩১২০