হজ্জ ও উমরা সংক্রান্ত হাদীসঃ৩ (হজ্জের ফায়দা)

হজ্জে গমনকারী ব্যক্তি আল্লাহর মেহমান।

আল্লাহর পথে জিহাদকারী এবং হজ্জ ও উমরা পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান।আল্লাহ তাদের ডেকেছেন,তারা সে ডাকে সাড়া দিয়েছে। অতএব, তারা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাই তাদের দিয়ে দিবেন।  ইবনে মাজাহ:২৮৯৩

তিন ব্যক্তি আল্লাহর মেহমান। হাজী, উমরা পালনকারী ও আল্লাহর পথে জিহাদকারী।  নাসাঈ:২৬২৫

হজ্জ জিহাদতূল্য ইবাদাত।

আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত,রাসূল স. বলেছেন, বয়স্ক,শিশু,দূর্বল ও নারীর জিহাদ হলো হজ্জ এবং উমরা পালন করা। নাসাঈ:২৬২৬

আয়িশাহ রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন,

হে আল্লাহর রাসূল,মেয়েদের উপর কি জিহাদ ফরয!

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন, মেয়েদের উপর এমন জিহাদ ফরয, যাতে লড়াই নেই-তা হচ্ছে হজ্জ ও উমরাহ পালন করা। আহমাদ:২৪৭৯৪ ও ইবনে মাজাহ

হজ্জ গুনাহমুক্ত করে।

আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হাদিস থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বলেন, নবী স. বলেছেন: “যে ব্যক্তি হজ্ব আদায় করেন, কিন্তু কোন পাপের কথা বা কাজ করেননি সে ব্যক্তি ঐদিনের মত হয়ে ফিরে আসবে যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল”।

সহীহ বুখারী:১৫২১ ও সহীহ মুসলিম ১৩৫০

হজ্জের বিনিময় হবে জান্নাত। দারিদ্রতা দূর হয়।

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত,রাসূল স. বলেছেন, তোমরা হজ্জ ও উমরা পালন কর। কেননা হজ্জ ও উমরা উভয়টি দারিদ্র্য ও পাপরাশিকে দূরিভূত করে যেমনিভাবে হাপর স্বর্ণ, রৌপ্য ও লোহার মরিচা দূর করে দেয়। আর মাবরুর হজ্জের বদলা হলো জান্নাত। তিরমিযী:৮১০

হজ্জ রিযিকে বরকত এনে দেয়।

বুরাইদা রা. তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন,তিনি বলেন,রাসূল স. বলেছেন, হজ্জে খরচ করা আল্লাহর পথে(জিহাদে) খরচ করার সমতূল্য সওয়াব।হজ্জে খরচকৃত সম্পদকে সাতশত গুন বাড়িয়ে এর প্রতিদান দেয়া হবে। আহমাদ:২২৪৯১ হাদীসটি সহিহ

জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভের ঘোষণা।

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. বলেন, আরাফার দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের এত অধিক সংখ্যক জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যা অন্য দিনে দেন না। তিনি এ দিনে বান্দাদের নিকটবর্তী হন ও তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করে বলেন, তোমরা কি বলতে পার আমার এ বান্দাগণ আমার কাছে কি চায় ? সহিহ মুসলিম: ১৩৪৮