হজ্জ ও উমরা সংক্রান্ত হাদীসঃ২(ইহরামধারী বা মুহরিম)

আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মুহরিম ব্যক্তি কী প্রকারের কাপড় পরবে? আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে জামা, পাগড়ী, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে টাখ্‌নুর নিচ পর্যন্ত মোজা কেটে (জুতার ন্যায়) পরবে।[১] তোমরা জা’ফরান বা ওয়ার্‌স (এক প্রকার খুশবু) রঞ্জিত কোন কাপড় পরবে না।
আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, মুহরিম ব্যক্তি মাথা ধুতে পারবে। চুল আঁচড়াবে না, শরীর চুলকাবে না। মাথা ও শরীর হতে উকুন যমীনে ফেলে দিবে।(১৩৪, মুসলিম ১৫/১, হাঃ ১১৭৭, আহমাদ ৪৮৩৫) ( ইঃফাঃ ১৪৪৭)

[১] জুতা না পেলে মোজাকে টাখনুর নীচ থেকে কেটে তা পরার বিধানটি রহিত হয়ে গেছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোজা কাটার কথা পূর্বে বলেছিলেন এবং এটা তিনি বলেছিলেন মদীনায় থাকাকালীন। পক্ষান্তরে ইব্‌নু ‘আব্বাস কর্তৃক বর্ণিত হাদীস যাতে তিনি জুতা না থাকাবস্থায় সাধারণভাবে কাটার শর্ত না করেই মোজা পরার নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত হাদীসটি হজ্জের মাঠে তথা আরাফার মাঠে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন। সহিহ বুখারীঃ১৫৪২

আল্লাহর পথে জিহাদকারী এবং হজ্জ ও উমরা পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান।আল্লাহ তাদের ডেকেছেন,তারা সে ডাকে সাড়া দিয়েছে। অতএব, তারা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাই তাদের দিয়ে দিবেন।
ইবনে মাজাহ:২৮৯৩

তিন ব্যক্তি আল্লাহর মেহমান। হাজী, উমরা পালনকারী ও আল্লাহর পথে জিহাদকারী।নাসাঈ:২৬২৫