হজ্জ ও উমরা সংক্রান্ত হাদীসঃ১

আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা।
জিজ্ঞেস করা হল , অতঃপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞেস করা হল, অতঃপর কোনটি? তিনি বলেনঃ হজ্জ-ই-মাবরূর (মাকবূল হজ্জ)। সহিহ বুখারীঃ১৫১৯

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ হতে বিরত রইল, সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে হজ্জ হতে ফিরে আসবে যেদিন তার মা জন্ম দিয়েছিল। সহিহ বুখারীঃ১৫২১

লক্ষনীয় যে নিষ্পাপ হতে পারার শর্ত কি কি——–

আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ হতে হবে(খালেস বা সহিহ নিয়্যত)

অশালীন কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা

গুনাহ থেকে বিরত থাকা

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইয়ামানের অধিবাসীগণ হজ্জে গমনকালে পাথেয় সঙ্গে নিয়ে যেতো না এবং তারা বলছিল, আমরা আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল। কিন্তু মক্কায় উপনীত হয়ে তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচনা করে বেড়াত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ অবতীর্ন করেনঃ (আরবি) “তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর, আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়”। (আল-বাকারাহঃ ১৯৭) হাদীসটি ইব্‌নু ‘উয়াইনাহ (রহঃ) ‘আমর (রহঃ) সূত্রে ‘ইক্‌রিমা (রহঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ননা করেছেন। (আঃপ্রঃ ১৪২৪, ইঃফাঃ ১৪৩০)
সহিহ বুখারীঃ১৫২৩