শিষ্ঠাচার সংক্রান্ত হাদীস—৪ (খাদেম -২)

                                 

  আবু মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আমার এক গোলামকে মারছিলাম। তখন একজন লোককে আমার পেছন থেকে বলতে শুনলাম, আবু মাসউদ, জেনে রাখ, আবু মাসউদ, জেনে রাখ! আমি পিছনের দিকে তাকাতেই দেখি রাসূল(সঃ)। তিনি বলেনঃ তুমি এর উপর যতটুকু ক্ষমতা রাখ, আল্লাহ তোমার উপর তদপেক্ষা অনেক বেশী ক্ষমতাশালী। আবু মাসউদ বলেন, এরপর থেকে আমি আমার গোলামকে আর কখনো মারিনি।

মুসলিম, তিরমিযী-আবওয়াবুল বিরর ওয়াস-সিলাহঃ১৮৯৮

এক ব্যক্তি নবী(সঃ) এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি খাদেমের অপরাধ কতবার ক্ষমা করবো? নবী (সঃ) তার কথায় চুপ থাকলেন। সে পুনরায় বলল ! হে আল্লাহর রাসূল! আমি খাদেমের অপরাধ কতবার ক্ষমা করবো? তিনি বলেন—প্রতিদিন সত্তর বার।                                                                                                              দাউদ-তিরমিযী-আবওয়াবুল বিরর ওয়াস-সিলাহঃ১৮৯৯

 

কত সুন্দর শিক্ষা ইসলামের। রাসুলের জীবনীতেও আমরা তার প্রমান দেখতে পাই।

এবার হাদীসের শিক্ষায় নিজেদের অবস্থান নিয়ে চিন্তা করি। অনেকে কাজের লোককে গালি-গালাজ করে থাকেন যা ছোট পরিবারের সদস্যটি শিখে নেয়। কাজের লোককেও পরিবারের একজন হিসাবে দ্বীনের শিক্ষা দিতে হবে। অনেকে হুজুর রেখে আরবী শেখান-মনে করেন অনেক কিছু করেছি। আসলে এটা আমাদের দায়িত্ব, শুধু কুর’আন পড়তে শেখান নয় বরং সেটা বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে।  আখেরাতের কথা জানাতে হবে, জীবন সম্পর্কে বুঝাতে হবে ওদেরকে।

রান্না ঘরে কাজের ফাঁকে ফাঁকে বা অবসরে একটু কাছে ডেকে ইসলামের মৌ্লিক শিক্ষা দিতে হবে।

যদি লেখা-পড়া জানে তবে সহজ বই দিতে হবে যেন ওরা নিজেরাই ইসলামকে জানতে পারে।

নিজের দুনিয়াবী কাজ আদায় করতে গিয়ে ওদের মন টেকানোর কথা বলে সিনেমা-নাটক গান দেখতে দিয়ে একদিকে যেমন গোনাহের ভাগ নিচ্ছেন অন্যদিকে এদেরকে খারাপ দিকে ঠেলে দিচ্ছেন—তাতে আপনার পরিবারের ছোট সদস্যরা নষ্ট হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

আর প্রায়ই না না রকম আত্মহানীর ঘটনা শুনা যাচ্ছে। অশ্লীলতা কখনো ভালো কিছু এনে দেয় না। ভালো দিয়ে ভালোকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয় , মন্দকে দুরিভূত করতে হয়।