শিষ্ঠাচার সংক্রান্ত হাদীস—২১ (মেহমানদের ব্যপারে-৬)

 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَوَّلُ خَصْمَيْنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ جَارَانِ »،

কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম বাদী বিবাদী হবে দুই প্রতিবেশী”। মুসনাদে আহমদ: ১৭৩৭২ হাদিসটি হাসান।

 

ছোট একটি হাদীস কিন্তু আমাদের জন্য অনেক বড় শিক্ষা ও সাবধানতা রয়ে গিয়েছে। আজ সমাজ জীবনে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক এতো বেশী দুনিয়ার স্বার্থ সম্বলিত হয়ে গিয়েছে যে মহান আল্লাহ ও রাসূল স. শিক্ষাকে ভুলে যেতে বসেছে। আর তাই একই পাড়ায়, এমনকি একই ফ্লাটে থেকেও অসুস্থ বা আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে অথচ প্রতিবেশী হিসেবে অনেকে জানেনই না।

দুনিয়ার জীবনে হয়তো কোনভাবে পার পেয়ে যাবে বা যাচ্ছেন কিন্তু মনে রাখতে হবে আখেরাতে কিন্তু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তখন প্রতিবেশী দাঁড়িয়ে যাবেন,বলবেন ইয়া আল্লাহ-এই ব্যক্তি আমার প্রতিবেশী ছিলেন কিন্তু কোনদিন ভালো বা খারাপ কিছুর জ্ঞান দেন নি বা সমস্যায় খবর নেননি, আজ আমি তার কাছ থেকে বিনিময় চাই, সুবহানা আল্লাহ, তখন হাশরের ময়দানে আটকে যেতে হবে এবং আমল দিয়ে মুক্তি পাওয়ার পথে আপনি হেরেও যেতে পারেন। তাই আমাদের করনীয়—

  • প্রতিবেশীর খোঁজ খবর রাখা:
  • হাদিয়া আদান-প্রদান করা:
  • প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ করা:
  • অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া:
  • সহযোগিতায় এগিয়ে আসা:
  • প্রতিবেশীর দোষ ঢেকে রাখা ও ইজ্জত সম্মান বজায় রাখা:
  • খাবারে প্রতিবেশীকে শরীক করা:
  • নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আদান-প্রদান করা:
  • প্রতিবেশীকে হক কথার উপদেশ দেয়া ও অন্যায় থেকে বিরত রাখা
  • নিকটতম প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকার দেওয়া যদিও সে বিধর্মী হয়
  • জমিনের প্রতিবেশী: হককে শুফ্আ (পরবর্তী পর্বে উল্লেখ হবে ইন শা আল্লাহ)

 

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে দীনের সঠিক জ্ঞানের অনলাইন উৎস জানিয়ে দেয়াটাও দীনের উপদেশ দেয়া হয়।

আবার প্রতিবেশীকে সিনামা নাটক নাচ গানসহ অশ্লীল পথে সন্ধান দেয়াটা হলো হক নষ্ট করা।

মহান আল্লাহ আমাদের ভালো প্রতিবেশী হবার তাওফিক দান করুন।