“কোনো মুসলিম ভাইয়ের জন্য এটা হালাল নয় যে, সে তার অপর ভাইয়ের নিকট অবস্থান করবে এবং তাকে বিপাকে ফেলবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, তাকে কীভাবে বিপাকে ফেলবে? তিনি বললেন, “তার নিকট অবস্থান করতে থাকবে অথচ তার ঘরে তাকে মেহমানদারি করার মত কিছুই নেই” সহীহ মুসলিম: ১৩৫৩/৩
অতিথি আপ্যায়ন যেমন একটি ইবাদাত তেমনি যারা অতিথি হয়ে আসবেন তাদের জন্য যেন ইবাদাত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার।
“হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর ঘরসমূহে প্রবেশ করো না; অবশ্য যদি তোমাদেরকে খাবারের অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে (প্রবেশ কর) খাবারের প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে। আর যখন তোমাদেরকে ডাকা হবে তখন তোমরা প্রবেশ কর এবং খাবার শেষ হলে চলে যাও আর কথাবার্তায় লিপ্ত হয়ো না”। সূরা আল-আহযাব: ৫৩
ইসলামে সবদিকের শিষ্টাচারের শিক্ষা দেয়া আছে। যিনি অতিথি হবেন তাকেও কিছু দিক লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। যেমন-
-খুব বিনয় ও নম্র-ভদ্র হয়ে থাকবে। বাড়ীর লোকের অসুবিধা হয় এমন কোনো কাজ করবে না এবং তাকে বিপাকে ফেলবেন না।
–
-খাওয়ার জন্য কোনো খাওয়ার সামনে পেশ করলে, তাকে তুচ্ছ করবেন না।
– খাওয়ার পর দো‘আ করবেন। মনীষীরা দো‘আ করতেন। তারা বলতেন,
.
“হে আল্লাহ যদি এ খাদ্যগুলো হালাল হয়ে থাকে, তাহলে তার আরও প্রশস্ত করে দাও এবং তাকে তুমি উত্তম বিনিময় দান কর, আর যদি হারাম বা সন্দেহযুক্ত হয়, তাহলে তুমি আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করে দাও। কিয়ামতের দিন তুমি অনুসারী সাথীদের প্রতি সন্তুষ্ট হও। আমরা তোমার নিকট তোমার রহমত কামনা করি। হে পরম দয়ালু মেহেরবান”।
– খাওয়া দাওয়া শেষ হবার পর অযথা গল্প গুজবে বসে না থাকা।
– শরীয়তের পর্দা যারা রক্ষা করেন তা শ্রদ্ধার সহিত সহজ করে নেয়া। কারন অনেক অতিথি আছেন নিজেরা পর্দা মানেন না তাই বেড়াতে গিয়ে সেই বাসায় অনেক বিরক্ত প্রকাশমূলক আচরন করেন যা কোনভাবেই সমিচীন নয়।
– যতটুকু মেহমানদারি পেয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকা, অনেকে বাইরে বের হয়েই বদনাম শুরু করে দেন যা নিজের আমলকেই নষ্ট করে দেয়।
-সম্ভব হলে ভালো কথা বলা আর তা না হলে চুপ থাকা। সত্যের দাওয়াত দেয়া। সম্ভব হলে হাদিয়া নিয়ে যাওয়া।