আমর বিন শুয়াইব তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
‘তোমাদের সন্তানদের সাত বছর হলে তাদের সালাতের নির্দেশ দাও, তাদের বয়স দশ বছর হলে এ জন্য তাদের প্রহার করো এবং তাদের পরস্পরে বিছানা পৃথক করে দাও।’ (আবূ দাউদ : ৪৯৫; মুসনাদ আহমদ : ৬৬৮৯)
মু‘আয বিন আব্দুল্লাহ বিন হাবীব আল-জুহানী সূত্রে হিশাম বিন সা‘দ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
‘আমরা হিশামের কাছে গেলাম। তিনি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, শিশু কখন সালাত আদায় করবে? তিনি বললেন, আমাদের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলতেন তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘যখন সে তার ডানকে বাম থেকে আলাদা করতে পারবে, তখন তাকে সালাতের নির্দেশ দাও’।’ (আবূ দাউদ : ৪৯৭; বাইহাকী, সুনান আল-কুবরা : ৫২৯৬)
‘অর্থাৎ শিশু যখন ডান ও বামের মাঝে পার্থক্য করতে পারবে। আর সাধারণত এ যোগ্যতা সপ্তম বছরে পৌঁছার পরই হয়।’ (আউনুল মা‘বুদ : ২/১৬৫)
ইবন আবিদ্দুনইয়া রহ. আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনি শিশুদের সালাত শেখাতেন যখন তারা ডান থেকে বাম শিখত। জুনদুব বিন আবী ছাবেত থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (সাহাবীদের) শিশুরা যখন বিশ পর্যন্ত গুনতে শিখতো তখনই তাঁরা তাকে সালাত শিক্ষা দিতেন। (আল-ইয়াল : ১/৪৭৩।)
শিশু পঞ্চম বছরে পৌঁছলে তাকে অযূর ফরয, সালাতের রুকন শেখাতে হবে। সূরা ফাতিহা মুখস্থ করাতে হবে। রুকূ‘ ও সিজদা শেখাতে হবে। শিশু হলো আদর্শ অনুকরণকারী। সে যখন তার পিতামাতাকে সালাত আদায় করতে দেখবে, তখন সেও তাদের অনুকরণ করতে শুরু করবে। এ জন্য পিতামাতার উচিত নিজেদের সালাতকে শুদ্ধ করা এবং সুন্নত তরীকায় ও সঠিক পদ্ধতিতে সালাত আদায় করা। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে সঠিক পদ্ধতিতে নিজে সালাত আদায় করা এবং সন্তানদের সালাত শিক্ষা দেবার তাওফীক দান করুন। আমাদের সন্তানগুলোকে সাহাবীদের সন্তানের মতো আদর্শ মানুষ বানিয়ে দিন। আমীন।