আমাদের রাসূল স. এই রামাদানে দানের গতি বাড়িয়ে দিতেন অনেক বেশী। আমরা কি প্রস্তুতি নিয়েছি এই দানের গতিকে বাড়ানোর জন্য!
রামাদানকে সামনে রেখে এখনই যা করা যেতে পারে তার কিছু টিপস দেয়া হলো—
- গরীব ও মিসকীন আত্মীয়দের জন্য শুকনো ইফতার (যেমন খেজুর, চিড়া, গুড়া দুধ, সেমাই, ছোলা,চিনি, তেল,আটা) সহ একটি ৩০ পারা সূরার তাফসীর খন্ডটি পৌছে দিতে পারেন।
- এমন পরিবার যাদের খাবারই জুটেনা, তাদের মাসের পুরু চালের ডালের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।
- ধনী আত্মীয়দের মাঝে একটি টুপি, সালাতের হিজাবের ওড়না, মোজা(সালাতের জন্য) সহ কুর’আন ও হাদীসের একটি বইসহ খেজুর উপহার হিসেবে দিতে পারেন।
- সহিহ কুর’আন পরিবার/আত্মীয়ের মাঝে কারা পারেন না, সেটার খোঁজ নিয়ে তাকে শেখানোর ব্যবস্থা করে দিতে পারেন এখনই।
- খোঁজে দেখুন কোথায় পানির সমস্যা আছে,সহযোগীতায় সমাধান করার উদ্যোগ নিন যেন রামাদানে ইফতার ও সেহরীতে সহজে পানি পায়।
- যারা অসুস্থ তাদের ফিদইয়া আদায়ের ব্যবস্থা করে নিন, যারা জানে না তাদের স্মরন করিয়ে দিন।
- ঈদের জন্য কোন উপহার দিতে চাইলে এখনই শপিং শেষ করে পাঠিয়ে দিন।
- যাকাতের ব্যপারে পরিকল্পনা করে নিন যেন একটি পরিবারের পরবর্তীতে যাকাত না নিতে হয় সেই রকপ ব্যবস্থা করে দেবার। প্রয়োজনে কয়েকজন মিলে ফান্ড করে কাজ করুন।
- কোন বস্তিতে বা গরীবদের জন্য সহিহ কুর’আন ও সহিহ সালাত শেখার ব্যবস্থা করে দিন, মাসিক হাদিয়া দেয়ার খরচ বহন করুন।
- পরিবারে ঈদের শপিং খরচ সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে না করে সামর্থের মাঝে করাতে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি তা নিজে বুঝুন ও সন্তানকে শেখান।
- সন্তানকে দান করতে ও নিজ উদ্যোগে একটি ব্যক্তিগত পাঠাগার গড়ার উৎসাহ দিন।
- মসজিদের ইমাম খতিবকেসহ সহিহ আকীদার বই উপহার দিন।
- মসজিদেও কুর’আন ও হাদীসের সামগ্রী উপহার দিতে পারেন।
- হাসপাতালে গরীব রোগীদের সহায়তা করতে পারেন।
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই সকল কাজ যেন হয় সেই ব্যপারে নিজের অন্তরকে সচেতন রাখা ও মহান আল্লাহর কাছে বেশী বেশী ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন।