রামাদান পূর্ব কিছু অনুশীলন–১

 

বিকালের অস্তমিত সূর্য দেখে মনে হয়  সূর্যটা ডুব দিয়ে লুকিয়ে যাচ্ছে তাঁর প্রভুর সান্নিধ্যে। তখন সেই অস্তমিত সূর্যের যে রংগের ছঁটা বিচ্ছুরিত হয় তা এক অসাধারন শিল্পির আঁকা এমন রংগের মিলনমেলা যা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়।। আলহামদুলিল্লাহ, সেই অসাধারন শিল্পি মহান আল্লাহ না জানি কত সুন্দর!

صِبْغَةَ اللَّهِ ۖ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ صِبْغَةً ۖ وَنَحْنُ لَهُ عَابِدُونَ

আল্লাহর রঙ ধারন কর। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে? আমরা তাঁরই এবাদত করি। সূরা আল বাকারাঃ ১৩৮

মহান রবের এই রঙ কিন্তু তুলির রঙ নয় আবেগের রঙ নয় রঙ্গীন চশমায় দেখা রঙ নয় বরং এই রঙ চিরন্তন সুন্দর, নিজ রংগেই রংগীন সুন্দর, বাস্তবতায় সুন্দর, দিব্য চোখে চিন্তা করলেই চলে আসে সেই সুন্দরময়তা, সেই রংগের আকর্ষন এতো বেশী মায়াময়, শান্তিময়, নিরাপদ, সুখময় যে, মহান রবের আনুগত্যে মন ও শরীর স্বাভাবিকভাবেই নত হতে চায়। কিন্তু কেউ নত করে কেউ করে না।

রামাদানকে সামনে রেখে মহান আল্লাহর নামগুলো জানি ও অর্থ বুঝে মহান পালনকর্তার সম্মান ও মর্যাদার কাছে নিজেকে আরো আন্তরিকতার সাথে  নত করে দেই। মহান রবকে লজ্জা করতে শিখি। পরিপূর্ন আত্মসমর্পন করে দেই মহান রবের আনুগত্যে।

“ আমি জ্বীন ও মানুষকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করি নাই, কেবল এইজন্য সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার বন্দেগী করিবে।” (যারিয়াত-৫৬)