বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মহান আল্লাহর শুকরিয়া যিনি গুরুত্বপুর্ণ মাস শা’বান কে আমাদের মাঝে দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।
power point presentation:
শা’বান মাস ও মধ্য শা’বান ও আমাদের করনীয়
সপ্তাহের করণীয়ঃ (২৮শে মার্চ- ৩রা এপ্রিল)(১৪ ই শা’বান-২০শে শা’বান)
১। আইয়্যামে বিদের সাওম রাখা(২৮-৩০ মার্চ) ইন শা আল্লাহ।
২। শুকনো ইফতার ( মিসকীন আত্মীয়, অধিনস্থঃদের পরিবার,বস্তিগুলো,গ্রামের পরিবার ) দেয়ার জন্য এখনই প্রস্তুতি নিন।
৩। বাসার কোন ভারী কাজ গুছিয়ে নিন,যেন রমাদানে ইবাদাতে সময় দিতে পারেন।
৪। যিনি রমাদানে সাওম রাখতে পারবে না, পরিবারের এমন সদস্যের ফিদিয়া আদায়ের ব্যবস্থা ঠিক করা।
৫। যাকাতের ব্যপারে হিসেব নিকেশ করেছি কি?
৬। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখি—
রাগ কমিয়েছি কি?
গীবত ছেড়েছি কি?
বেহুদা সময় নষ্ট করা থেকে বিরত হয়েছে কি?
গান, নাটক সিনেমা দেখা বন্ধ করেছি কি?
হারাম আয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে এনেছি কি?
পরিবারে খারাপ আচরন করা থেকে দূরে থাকতে পারছিতো?
যেকোন নেশা থেকে বিরত থাকছিতো?
কোন ধরনের হারাম সম্পর্ক থেকে নিজেকে পবিত্র করেছি কি?
শিরক ও বিদয়াত থেকে মুক্ত আছিতো?
৭। এবার আবার নিজেকে প্রশ্ন করিঃ
তাওহীদের শিক্ষায় নিজেকে প্রশিক্ষিত করতে পেরেছি কি?
সকল কাজের পিছনে নিয়্যত শুধুমাত্র একমাত্র আল্লাহর খুশীর জন্য করছিতো?
আগের তুলনায় ফরয সালাতে যত্নশীল হয়েছি কি?
সকল ফরয কাজ নিজের জীবনে বাস্তবায়নে পদক্ষেপ কতটো আন্তরিকতার সাথে নিয়েছি ও পেরেছি কতটুকু?
মহান রবের কাছে বেশী বেশী ইস্তেগফার করছিকি?
প্রতিদিন কুর’আনের সাথে সম্পর্কিত হচ্ছিতো? কুর’আন বুঝার জন্য প্রচেষ্টা আছেতো?
প্রতিদিন সাদাকা করছিতো?
নিজ পরিবার, অধিনস্থঃদের কুশলাদি প্রতি নিয়্যত নিচ্ছিতো?
ওয়াদা আমানতের ব্যপারে সচেষ্ট হয়ে ভূমিকা রাখছিতো?
নিজ কথা ও কাজের সাথে মিল রেখে চলছিতো?
অন্যকে বিশেষভাবে পরিবার ও আত্মীয় প্রতিবেশীর মাঝে দাওয়াত/হাদিয়া/উপহার বিনিময় হচ্ছেতো?
পরিবার, আত্মীয়, পরিচিতদের কাছে নিজ ত্রুটির জন্য বা অজান্তে ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেই কি?
অন্যের ভালো ব্যবহারে কৃতজ্ঞতা জানানো হয় কি?
সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি ও যিকরে থাকার চেষ্টা করি কি?
অন্যের কল্যানে কাজ করছি কি?
দুনিয়ার চাওয়া পাওয়াকে ত্যাগ করে কল্যান কাজে ব্যায় করার কতটুকু প্রচেষ্টা চালাচ্ছি?
অহংকার,হিংসা,লোভ থেকে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার চেষতা ও আল্লাহর সাহায্য নিয়মিত চাইতো?
দুনিয়ার সফলতার উর্ধ্বে আখেরাতের সফলতার সিদ্ধান্ত আছেতো?
মহান রবের কাছেই অন্তর পরিশুদ্ধি ও শিরকমুক্ত থাকার দুয়া প্রতিনিয়ত করছি কি?
পরিবারের হক্ব আদায়ে যত্নশীল আছিতো?
প্রতিদিন আত্মউপলব্ধি ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেকে উন্নততর মুসলিম হওয়ার প্রতিদিন করছি কি?
৮। রমাদানের(আমল )করনীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কি কি রেখেছি, তা বাস্তবায়নে কি প্রয়োজন সেটা এখনই ঠিক করে ফেলা যেমনঃ
কুর’আন পড়া ও শুনার জন্য কুর’আন মাজীদ অ মোবাইল এপ রেডি করা, মসজিদে সালাত আদায় করার জন্য এখনই নির্ধারন করে শরু করে দেয়া।
ডায়াবেটিক রোগী বা অন্য রোগী দের কি লাগবে সেটার ব্যবস্থা করা,
৯। রমাদানে যেনো শপিং এ যেতে না হয় এখনই সেই প্রস্তুতি নেয়া।
১০। পরিবারের সদস্যদের মোটিভেশন করা যে সাওম সংযমের শিক্ষা দেয়, তাই এই ব্যপারে পারস্পরিক সহযোগীতার পরিকল্পনা করা। কম খাওয়া, কম ঘুম ও ইবাদাতে কুর’আন পাঠ, দানের গতি বাড়িয়ে দেয়া।
১১। ইতিকাফের পরিকল্পনা এখনই নিয়ে রাখতে পারেন,প্রয়োজনে সময়মতো ছুটির ব্যবস্থা এখনি করে রাখা।
১২। মহান আল্লাহর কাছেই বেশী করে চাওয়া যেনো রমাদানে সুস্থ থেকে ইবাদাত করতে পারি ও রবের ক্ষমা পেতে পারি।
মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।