রমাদান-২০২১ কে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুতি । পর্ব-২

আসসালামু’আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

আলহামদুলিল্লাহ, আমরা রজব মাসকে অতিক্রম করে শা’বান মাসের দিকে ধাবিত হচ্ছি। আগামী ১৫ই মার্চ ২০২১ (চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তনীয়) ইন শা আল্লাহ শা’বান মাস শুরু।

ইসরা ও মেরাজ

 

 

 

কুর’আন জানা বুঝার সাথে সাথে যা করা প্রয়োজন-

সপ্তাহের করণীয়ঃ  (৭ইমার্চ- ১৩ই মার্চ)(২২ শে রজব- ২৮শে রজব)

১।  সাউম(রোজা) ভংগের কারন, যাকাত সংক্রান্ত  জ্ঞানার্জন করি।

২। মুখস্থ-সালাতে পঠিত ৫টি সূরার শাব্দিক অর্থসহ, দু’আ মাসুরাসহ অন্যান্য দু’আ যা সালাম ফেরানোর আগে করা যেতে পারে- শাব্দিক অর্থসহ শেখা।

৩। প্রতিদিন রাতে সুরা মূলক পাঠ, সূরা সাজদাহ, এবং শুক্রবার সূরা কাহাফ পাঠে অভ্যস্থ হওয়া

৪। পারিবারিক তালিম, অধিনস্থ(গৃহ কর্মী ও দাড়োয়ান, ড্রাইভার) দের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া।

৫। তাহাজ্জুদ অন্তত ৩ দিন

৬। কোন বস্তি বা গরীব বা মিসকীন পরিবারে খাদ্য দান।

৭। ভাংতি রোজা(পূর্বের ফরয অনাদায়কৃত) থাকলে তা আদায় করায় সচেষ্ট হওয়া।

৮। আত্মীয়দের মাঝে কুর’আন শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়া।

৯। শরীয়তে পর্দার বিধান পূর্ণ অনুসরন করা।

১০।   সময় নষ্ট করা থেকে দূরে থাকা।

সপ্তাহের করণীয়ঃ  (১৪ইমার্চ- ২০শে মার্চ)(২৮ শে রজব- ৬ ই শা’বান)

১। শবে মেরাজ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করি। বিদ’আত থেকে দূরে থাকি।

২। বিতর সালাত সহিহ করি ও দু’আ কুনুত শব্দের অর্থসহ শিখি।

৩। পূর্বের সকল নিয়মিত ইবাদাতসমূহ বজায় রাখছি কি না তা পর্যালোচনা করি।

৪। কারো সাথে সম্পর্কের ত্রুটি থাকলে তা মিটিয়ে নেই।

৫। সকাল ও বিকালের যিকর সমূহ নিয়মিত আদায় করি।

৬। ফরয সালাতান্তের যিকর সমূহ পাঠ করি।

৭। সাওম রাখি বেশী বেশী(যেহেতু শা’আবন মাসে রাসূল সা রোজা রাখতেন বেশী।

৮। অতিরিক্ত ঘুম পরিত্যাগ করি।

৯। শা’বান মাস সংক্রান্ত সহিহ হাদীস জানি(বুখারী মুসলিম থেকে)

সপ্তাহের করণীয়ঃ  (২১শে মার্চ- ২৭শে মার্চ)(৭ ই শা’বান- ১৩ই সা’বান)

১। শা’বান মাসে নফল সাওম সমূহ রাখি।

২। ভাংতি সাওম আদায় করে নেই।

৩। ১৫ই শা’বান সম্পর্কে সহিহ জ্ঞানার্জন করি ও বিদ’আত থেকে নিজে মুক্ত থাকি ও অন্যকেও জানাই।

৪। রমাদানের জন্য শুকনো ইফতার আত্মীয় গরীব ও মিসকীন যারা ঊরে থাকেন তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করি।

৫। একটি পরিকল্পনা করে নেই- কোন কোন পরিবারে বেসিক চাহিদা পূরন করতে পারছে না, তাদের লিষ্ট করে সেই বাড়িতে চাহিদা পূরনের সরঞ্জামাদি পাঠানোর ব্যবস্থা করি রোজা আসার আগেই।

৬। ঈদের জন্য প্রয়োজনীয় কেনা কাটা এখনই সমাপন করি।

৭। রমাদানের জন্য আমলের একটি চার্ট এখনই করে নেই।

৮। এখন থেকেই সময়ের সিডিওল সাজিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে নেই।

৯। সাওম সংক্রান্ত কুর’আন হাদীসের বানী বেশী করে পড়ি ও বুঝি।

১০। আত্মীয়ের মাঝে প্রয়োজনীয় বই পাঠানোর ব্যবস্থা করি।

১১। যাকাত কাকে দিলে উপকার হবে তা খুজে নেই।

১২। পূর্বের নিয়মিত আমল সমুহ বজায় রাখি।

মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।

শা’বান মাসকে জানি।