রাসূল সা. বলেছেন:
- যে রামাদান মাসে ঈমানের সাথে প্রতিদানের আশায় সাওম পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। সহীহ আল বুখারী: ৩৮
- প্রত্যেক আদম সন্তানকে তার নেক আমল দশগুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়া হবে। আল্লাহ তা’লা বলেন, তা অবশ্য সিয়ামের প্রতিদান ছাড়া, কারণ সিয়াম আমার জন্য, আর আমিই তার প্রতিদান দেব। কেননা আমার কারণেই সিয়াম পালনকারী তার যৌনকার্য ও আহার বর্জন করে থাকে। সহীহ মুসলিম: ১১৫১
- আর সেই মহান সত্ত্বার শপথ, যাঁর মুঠিতে মুহাম্মাদের প্রাণ! আল্লাহর কাছে রোযাদারের মুখের গন্ধ কস্তরীর খোশবু থেকেও উত্তম। রোযাদারের খুশীর বিষয় দু’টি। যখন সে ইফতার করে তখন একবার খুশীর কারণ হয়। আরেকবার যখন সে তার রবের সাথে সাক্ষাত করে রোযার বিনিময় পেয়ে খুশী হবে। সহীহ আল বুখারী: ১৭৬৯
- আল্লাহর রয়েছে প্রতি ফিতরে (ইফতারের সময় জাহান্নাম থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত বান্দারা। মুসনাদে আহমাদ: ৫/২৫৬
- যে রামাদান মাসে সিয়াম পালন করল, এরপর শাওয়ালের ছয়দিন সাওম পালন করল, তবে তা সারা জীবন সাওম রাখার সমতুল্য। সহীহ মুসলিম: ১১৬৪
- এ মাসে উমরা করা হজ্জ করার সমতূল্য। সহীহ মুসলিম: ১২৫৬
- যে কোন সাওম পালনকারীকে ইফতার করায়, তার (যে ইফতার করালো) তার (সাওম পালনকারীর) সমান সওয়াব হবে, অথচ সেই সাওম পালনকারীর সওয়াব কোন অংশে কমে যাবে না। আত তিরমিযী: ৬৪৭
- বেহেশতে ‘রাইয়ান’ নামক একটি দরজা আছে, কিয়ামতের দিন এটি দিয়ে রোযাদাররা (জান্নাতে) প্রবেশ করবে। রোযাদার ছাড়া আর কেউ এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। (কিয়ামতের দিন রোযাদারকে ডেকে) বলা হবে, রোযাদাররা কোথায়? তখন তারা উঠে দাঁড়াবে। তারা ছাড়া আর একজন লোকও সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাদের প্রবেশের পরই তা বন্ধ করে দেয়া হবে যাতে ঐ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে। সহীহ আল বুখারী: ১৭৬১
- সিয়াম ও কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। সিয়াম বলবে, হে আল্লাহ! আমি তাকে পানাহার ও যৌনাচার থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কোরআন বলবে, আমি রাতের ঘুম থেকে তাকে বিরত রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। মুসনাদে আহমাদ: ৬৬২৬
তাহলে দুনিয়া ও আখেরাত কল্যাণের জন্যই আমাদের এই রামাদান মাসকে কাজে লাগানোর জন্য এখনি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।