মহান আল্লাহ তা’লা বলেছেন:
বলুন, প্রত্যেকেই নিজ প্রকৃতি অনুযায়ী কাজ করে থাকে। সূরা বনী ইসরাঈল: ৮৪
রাসূল সা. বলেছেন:
হে লোক সকল! আপনাদের উচিৎ আপনাদের সাধ্যমত কাজ করা, আল্লাহ ততক্ষন ক্লান্ত হন না যতক্ষন না আপনারা ক্লান্ত হন। আর আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের কাজ হল যা নিয়মিত করা হয়, তা যতই অল্প হোক না কেন। সহীহ মুসলিম
রামাদান মাস চলে যাওয়াতে মনে কষ্ট পান যারা, তারা হলেন সাওমের ও রামাদান মাসের সুমিষ্ট স্বাদ উপলব্ধি করেছেন, মহান আল্লাহ তা’লার আনুগত্যে সে সবরের আত্মতৃপ্তিসহ সহজ সরল জীবনের আনন্দ লাভ করেছে। মহান আল্লাহ যেন আমাদের হিদায়াত, তাকওয়া অর্জন, ভালো কাজে নিয়োজিত থাকা, আমাদের কাজ কবুল করা এবং এই পথে অটল অবিচল থাকার তাওফিক দান করেন।
রাসূল সা. বলেছেন: বলো, আমি আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম, এরপর (সে পথে) অটল অবিচল থাকো। সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম
যারা বলে, আমাদের রব আল্লাহ, এরপর (সে পথে) অটল-অবিচল থাকে, নিশ্চয়ই তাদের কোন ভয় নেই, তারা দুঃখও করবে না। সূরা আহকাফ: ১৩
মহান আল্লাহর পথে খালেস নিষ্ঠার সাথে যারা অটল থাকতে চান এইভাবেই দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ তাদের সাহায্য, দয়া ও করুণা করেন যেভাবে রামাদানেও করেছিলেন। মহান আল্লাহ বলেন:
যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদেরকে মজবুত করবেন মজবুত বাক্য দ্বারা এই দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে, আর আল্লাহ যুলুমকারীদের বিপথগামী করেন আর আল্লাহ যা ইচ্ছা তা করেন। সূরা ইবরাহীম: ২৭
তাই আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিয়মিতভাবে মহান আল্লাহর আনুগত্যে অটল থাকতে হবে। রাসূল সা.বলেছেন:
নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তি জান্নাতবাসীদের মত কাজ করতে থাকে যা আপাতদৃষ্টিতে মানুষের কাছে মনে হয় অথচ সে জাহান্নামবাসী, একইভাবে কোন ব্যক্তি জাহান্নামবাসীদের কাজ করতে থাকে যা আপাতদৃষ্টিতে মানুষের কাছে মনে হয় অথচ সে জান্নাতবাসী। সহীহ আল বুখারী: ৪২০৭
সত্যিকার অর্থে ঈমান ও ইখলাসের সাথে কেউ জান্নাতবাসীদের কাজ করতে থাকলে নিশ্চয়ই আল্লাহকে তিনি তার ব্যাপারে সুবিচারক, পরম দয়াময় পাবেন।
মহান আল্লাহ তা’লা আমাদের ক্ষমা করে তাঁর অনুগত বান্দা হিসেবে দুনিয়া ও আখেরাতে কবুল করে নিন। আমীন।