রজব থেকে রামাদান ডায়েরী-১৬ (শাওয়ালের রোজার মর্যাদা)

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

যে রামাদান মাসে সাওম পালন করল, তা দশ মাসের (সাওম পালনের) সমতূল্য আর ঈদুল ফিতরের পর (শাওয়াল মাসের) ছয়দিন সাওম পালন করা গোটা বছরের সমতূল্য। ইমাম আহমাদ: ২১৯০৬

কোন ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখলো, অতঃপর শাওয়ালের ছয় দিন রোযা রাখল, সে যেন সারা বছরই রোযা রাখল। সহীহ মুসলিম, জামে আত তিরমিযী: ৭০৭

মহান আল্লাহ তা’লা বলেছেন:

তোমাদের মাঝে কেউ যদি একটা সৎকাজ নিয়ে (আল্লাহ তা’লার সামনে) আসে, তাহলে তার জন্যে দশগুণ বিনিময়ের ব্যাবস্থা থাকবে। অপরদিকে কেঊ যদি একটা গুনাহের কাজ  নিয়ে (আল্লাহ তা’লার) কাছে আসে, তাকে একটাই প্রতিফল দেয়া হবে, (সেদিন) তাদের কারো অপরই যুলুম করা হবে না।  সূরা আল আন’আম: ১৬০

তাহলে এই আয়াত অনুসারে কোন মু’মিন কোন ভাল কাজ করলে আল্লাহ তা’লা তাকে দশগুন সাওয়াব দেন। সুবহানাল্লাহী ওয়া বিহামদিহী! তাই রামাদান মাসে ৩০ দিন সাওম পালনের অর্থ দাড়ায় (৩০x১০) = ৩০০ দিন অর্থাৎ দশ মাস সিয়াম পালন করা, আর শাওয়ালের ছয়দিন (৬x১০ = ৬০) অর্থাৎ দুই মাস সিয়াম পালন করা। সুতরাং রামাদান ও এর পরবর্তী শাওয়ালের ছয় দিন সাওম পালন করা ১২ মাস বা গোটা বছরের সমতূল্য।

মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:

আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান করেন। সূরা আন নূর: ৩৮

রামাদান মাসের সব সাওম রাখার পর যে শাওয়ালের এই ছয়টি সাওম করবেন তিনিই এই পুরষ্কার লাভ করবেন ইনশা’আল্লাহ। যে নারী বা পুরুষের শরীয়তের কোন কারণে রামাদানের ফরয সাওম বাকী রয়ে গিয়েছে, তিনি সেই ফরয সাওম আদায় করার পর শাওয়ালের ছয়টি সাওম করতে হবে যদি তিনি সারা বছরের সাওমের সাওয়াব পেতে চান। হাদীসের আলোকে শর্ত হলো রামাদানের ফরয রোযা পূর্ণ আদায়কারী হতে হবে।

মহান আল্লাহ আমাদের তাঁর দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য অন্তরকে জাগিয়ে দিন।